রিভারভিউ থিয়েটার
রিভারভিউ থিয়েটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের হাউই আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি অভ্যন্তরীণ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ। লিবেনবার্গ এবং কাপলান দ্বারা নকশাকৃত প্রেক্ষাগৃহটি ১৯৪৮ সালে প্রেক্ষাগৃহ মালিক বিল এবং সিডনি ভোক কর্তৃক তৈরি হয়। কিছু অত্যাধুনিক ধরনের প্রেক্ষাগৃহ তৈরির পর ভোক ভ্রাতৃদ্বয় ১৯৫৬ সালে রিভারভিউতে ফিরে আসেন এবং এটির লবির জায়গাটিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নবায়ন ও হালনাগাদ করেন। রিয়ারভিউ মিনিয়াপোলিস–সেইন্ট পল এলাকার টিকে থাকা গুটিকয়েক একক পর্দার চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের একটি এবং সাধারণত ২ ডলার বা ৩ ডলার দিয়ে দ্বিতীয়বার চলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে। ২০০০-এর দশকের প্রথম থেকে এটি সিটি পেজেস কর্তৃক এলাকার অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ হিসেবে নিয়মিত স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।
ঠিকানা | ৩৮০০, ৪২তম অ্যাভিনিউ দক্ষিণ মিনিয়াপোলিস, এমএন ৫৫৪০৬[১] |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৪৪°৫৬′০৩″ উত্তর ৯৩°১২′৪৭″ পশ্চিম / ৪৪.৯৩৪০৫১° উত্তর ৯৩.২১৩১৬° পশ্চিম[২] |
ধরন | অভ্যন্তরীণ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ |
আসনের ধরন | স্টেডিয়াম |
ধারণক্ষমতা | >৭০০ |
নির্মাণ | |
নির্মিত | ১৯৪৮ |
চালু | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৪৮ |
পুনঃসংস্কার | ১৯৫৬ |
স্থপতি | লিবেনবার্গ এবং কাপলান |
ওয়েবসাইট | |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনালিথুনীয় বংশোদ্ভূত ভোক ভ্রাতৃদ্বয়, বিল এবং সিডনি, ১৯২০ এর দশকের প্রথম দিকে মিনেসোটায় আসেন এবং মহামন্দার সময় এলাকার প্রেক্ষাগৃহগুলো কিনে চলচ্চিত্র ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়। ১৯৪৬ সালে অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহ ব্যবস্থাপকদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভোক ভ্রাতৃদ্বয় যখন মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিল থেকে বারো বছরে প্রথম নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের অনুমতি লাভ করে তখন তারা প্রেক্ষাগৃহ তৈরি শুরু করে যা গ্রেটার অ্যামিউসমেন্ট প্রকাশক সংস্থা “প্রেক্ষাগৃহ তৈরির লাগামহীন উৎসব” হিসেবে উল্লেখ করে।[৩] রিভারভিউয়ের নকশা করেন স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান লিবেনবার্গ এবং কাপলান এবং এটি ১৯৪৮ সালে [১] স্ট্রিমলাইন মডার্ন রীতিতে তৈরি হয়।[৪] এটি ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সালে জুন ব্রাইডের প্রদর্শনীর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।[৪] একক পর্দার প্রেক্ষাগৃহটি স্টেডিয়াম সিটিং এর ব্যবহার করে যা তৎকালীন সময়ে খুব কম চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ ব্যবহার করত।[৫][৬]
তিন বছর পর ভোক ভ্রাতৃদ্বয় আবার রবিন্সডেল, মিনেসোটায় টেরাস থিয়েটার তৈরির জন্য লিবেনবার্গ এবং কাপলানকে ডাকেন, "যা আমেরিকার প্রথমদিকের অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ",[৭] এবং লেখক ল্যারি মিলেটের বিবেচনায় "তাদের শ্রেষ্ঠ কর্ম"।[৫] ফলাফলে খুশি হয়ে (এবং প্রাপ্ত অর্থে) ভোক ভ্রাতৃদ্বয় রিভারভিউতে ফিরে যায় এবং লিবেনবার্গ এবং কাপলানকে দিয়ে সফল টেরাসের আদলে এটিকে পরিবর্তন করে।[৮] এটি ঘটে প্রেক্ষাগৃহের প্রাথমিক নির্মাণের আট বছর পর।[১] নতুন লবি জায়গাটির উদ্দেশ্য ছিল একটি লিভিং রুমকে প্রতিফলন করা এবং এজন্য একটি আলাদা টিভি লাউঞ্জও যোগ করা হয়েছিল। [৬] এর প্রচুর সুযোগ-সুবিধা ছিল: "ডানবার টেবিল, ম্যাককব স্টুল, হারমান মিলার ডিভান এবং চেয়ার, পাতলা কাঠের উপর আখরোট কাঠের প্যানেল, মার্জিত আধুনিক বাতি, চমৎকার পর্দা।"[৮] থিয়েটারের ভিতরে আবার অগ্রমঞ্চ এবং আসনের খুব কমই পরিবর্তন হয়েছে।[৬]
রিয়ারভিউ মিনিয়াপোলিস–সেইন্ট পল এলাকার অবশিষ্ট থাকা গুটিকয়েক একক পর্দার চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের একটি; ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে মাত্র ছয়টি অবশিষ্ট ছিল[৯] এবং ১৯৯৮ সালের পর, এটি অবশিষ্ট থাকা চারটির একটি ছিল, বাকিগুলো হল আপটাউন থিয়েটার, পার্কওয়ে থিয়েটার এবং ওক স্ট্রিট সিনেমা।[ক][১১] যদিও ১৯৯৮ সালের পরে, বেশ কয়েকটি নতুন একক পর্দার থিয়েটার - ট্রিলন মাইক্রোসিনেমা এবং হাইটস থিয়েটার উন্মুক্ত করা হয়।[১২][১৩] ১৯৯৯ সালে মালিকপক্ষ নতুন আসনবিন্যাস স্থাপন করে যার ফলে পা রাখার জায়গা বাড়ে এবং দর্শকদের মাঝে জায়গা বৃদ্ধি পায়।[৪]
সমসাময়িক মর্যাদা
সম্পাদনারিভারভিউ মিনিয়াপোলিসের হাউই আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এবং এর আসনসংখ্যা ৭০০র বেশি।[৪] এটি সাধারণত $২ থেকে $৩ দিয়ে দ্বিতীয়বার চলা চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী দেখায় এবং এটির বিশেষ ছাড়ও "শহরতলির মাল্টিপ্লেক্সের চেয়ে অনেক সস্তা"।[১৪] মাঝে মাঝে অন্যান্য অনুষ্ঠানও (যেমন রাত্রিকালীন চলচ্চিত্র,[১৫] খেলার অনুষ্ঠান,[১৬] চলচ্চিত্র উৎসব,[১৭][১৮] এবং রাজনৈতিক ঘটনা যেমন বারাক ওবামার ২০০৯ সালে প্রথম অভিষেক অনুষ্ঠান) দেখানো হয়।[১৯] ট্রিপলন সিনেমার কাছাকাছি ১০০টি আসনের অপারেটর টেক আপ প্রোডাকশনগুলি কখনও কখনও ট্রাইলনের জন্য উপযুক্ত না হলে প্রদর্শনির জন্য রিভারভিউ ব্যবহার করা হয়।[২০] প্রেক্ষাগৃহটি ২০০০, ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে সিটি পেজেসের শ্রেষ্ঠ বাজেটের চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ পুরস্কার অর্জন করে এবং ২০১১ ও ২০১২ সাল ব্যতীত ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ পুরস্কার অর্জন করে।[২১] রিভারভিউয়ের লবিটি এর ১৯৫৬ সালের সংস্করণ থেকে অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।[১৫]
টীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ মিলেট ২০০৭, পৃ. ১৬০।
- ↑ গুগল (জুন ২৬, ২০১৪)। "3800 42nd Ave S Minneapolis, MN 55406" (মানচিত্র)। গুগল ম্যাপস। গুগল। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৬, ২০১৪।
- ↑ কেনি ২০০৭, পৃ. ১১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "রিভারভিউ থিয়েটার"। সিনেমা ট্রেজার্স। সিনেমা ট্রেডার্স, এলএলসি। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৪।
- ↑ ক খ মিলেট ২০০৭, পৃ. ১৬১।
- ↑ ক খ গ কেনি ২০০৭, পৃ. ১২১।
- ↑ কেনি ২০০৭, পৃ. ১১৯–১২০।
- ↑ ক খ কেনি ২০০৭, পৃ. ১২০।
- ↑ কেনি ২০০৭, পৃ. ১৮৯-১৯০।
- ↑ রিগান, শীলা (মার্চ ৪, ২০১১)। "Oak Street Cinema destruction approved by unanimous vote of the Heritage Preservation Commission"। টুইন সিটিস ডেইলি প্ল্যানেট। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৬।
- ↑ কেনি ২০০৭, পৃ. ২০৯–২১০।
- ↑ নেলসন, রব (জুলাই ১০, ২০০৯)। "Screen of Dreams: Trylon microcinema set to open on Minnehaha"। মিনপোস্ট। জানুয়ারি ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫।
- ↑ স্ট্রাইকলার, জেফ (মে ২৫, ২০০২)। "Owners of Heights Theater taking control of Apache 6"। স্টার ট্রিবিউন। সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৬ – হাইবিম রিসার্চ-এর মাধ্যমে।
- ↑ বার্গার ২০০৮, পৃ. ১১৭-১১৮।
- ↑ ক খ বার্গার ২০০৮, পৃ. ১১৮।
- ↑ সিঙ্কার, হাওয়ার্ড (মে ৯, ২০০৩)। "গেম ৭; ওয়াইল্ড এট কেনাক্স"। স্টার ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৪। – via প্রোকুইস্ট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ আর্ম্ব্রুস্টার, জেসিকা (মার্চ ৬, ২০১৩)। "জি-ফেস্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল"। সিটি পেজেস। ২০১৪-০৭-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৪।
- ↑ উল্ফ, এরিকা (জুন ৭, ২০১২)। "48 Hour Film Project movie-making competition comes to Minneapolis this weekend"। সিটি পেজেস। ২৬ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৪।
- ↑ টুন্ডেল, নিক্কি (জানুয়ারি ২০, ২০০৯)। "Hundreds gather in Mpls to watch inauguration"। মিনেসোটা পাবলিক রেডিও নিউজ। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৪।
- ↑ লুমিস, অ্যাডাম (অক্টোবর ২৭, ২০১৪)। "Trylon Microcinema Offers Two Unusual Halloween Frights This Week"। সিটি পেজেস। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২, ২০১৬।
- ↑ "রিভারভিউ থিয়েটার"। সিটি পেজেস। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৪।
উদ্ধৃতি
সম্পাদনা- কেনি, ডেভ (১ নভেম্বর ২০০৭)। টুইন সিটিস পিকচার শো: আ সেঞ্চুরি অব মুভিগোয়িং। সেন্ট পল, মিনেসোটা: মিনেসোটা হিস্টোরিক্যাল প্লেস। আইএসবিএন 978-0-87351-595-5।
- মিলেট, ল্যারি (১৫ মে ২০০৭)। এআইএ গাইড টু দ্য টুইন সিটিস: দ্য এসেনশিয়াল সোর্স অন দ্য আর্কিটেকচার অব মিনিয়াপোলিস অ্যান্ড সেইন্ট. পল। সেন্ট পল, মিনেসোটা: মিনেসোটা হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-87351-540-5।
- বার্গার, টড আর. (১৭ জুলাই ২০০৮)। ইনসাইডার্স গাইড টু দ্য টুইন সিটিস (৬ষ্ঠ সংস্করণ)। গিলফোর্ড, সিটি: গ্লোব পাকুট। আইএসবিএন 0-7627-4788-9।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে রিভারভিউ থিয়েটার সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।