রিনপুং ডিজং
রিনপুং ডিজং ডিজং স্থাপত্যশিল্প নির্মিতি একটি বৃহত্তম বুদ্ধ মন্দির এবং ভুটানের পারো জেলার কাগ্যু গোত্রের দ্রুকপা বংশীয়দের সুরক্ষিত ভবন।এই প্রাসাদে জেলাটির মহান সাধকদের দেহাবশেষ এবং সে সাথে পারো ডিজংখাগের প্রশাসনিক দপ্তর অবস্থিত।
রিনপুং ডিজং Rinpung Dzong | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: | ২৭°২৫′৩৬″ উত্তর ৮৯°২৫′২৩.৮৯″ পূর্ব / ২৭.৪২৬৬৭° উত্তর ৮৯.৪২৩৩০২৮° পূর্ব |
মঠের তথ্য | |
অবস্থান | পারো, ভুটান |
প্রতিষ্ঠাতা | দ্রাং দ্রাং গিয়াল |
স্থাপিত | পনেরতম শতাব্দি |
নবরূপ দানের সময় | ১৬৪৪ সালে নাড়াওয়াং নামগিয়াল কর্তৃক সংস্কার করা হয় |
ধর্মীয় গোষ্ঠী | কাগ্যু গোত্রের দ্রুকপা বংশীয় |
ঐতিহ্য | দক্ষিণা দ্রুকপা |
স্থাপত্যশিল্প | ভুটানিয় ডিজং |
উত্সব | সেছু, ২য় দ্বিতীয় চন্দ্রমাস |
পারো ডিজং হিসেবে পরিচিত |
ইতিহাস
সম্পাদনাপনেরতম শতাব্দিতে স্থানীয় লোকজন পারোর হাংরেলের পবর্তশিঙ্গ লামা দ্রাং দ্রাং গিয়ালকে, পাজো দ্রুগুম ঝিগপুর বংশধর, উৎসর্গ করেন। দ্রাং দ্রাং গিয়াল সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করেন এবং পরবর্তীতে সেখানে পাঁচতলা বিশিষ্ট ডিজং বা দুর্গ গড়ে উঠে যা হাংরেল ডিজং নামে পরিচিত ছিল।[১]
সতেরতম শতাব্দিতে, তার বংশধরগণ, হাংরেলের স্বত্তাধিকারীরা, এই দুর্গটি দ্রুকপা বংশীয় পুরোহিতদেরকে দান করেন যাতে তার আধ্যাত্বিক ও অনাধ্যাত্বিক প্রতিষ্ঠান নাগাওয়াং নামগিয়াল, ঝাবদ্রাং রিনপোছের পরিচিতি ঘটে। ১৬৪৪ সালে ঝাবদ্রাং পুরানো ডিজংটি ভেঙ্গে নতুন ডিজং এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।[২] ১৬৪৬ সালে পশ্চিমাঞ্চলের প্রশাসনিক ভবন এবং আশ্র্রম হিসেবে পুনরায় উৎসর্গ এবং প্রতিষ্ঠা করেনস এবং এটি রিনপুং ডিজঙ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। [৩] ১৯৯৩ সালে লিটল বোদ্ধা নামে একটি ছবির কিছু দৃশ্য এখানে চিত্রায়িত হয়।
সমাধি এবং উপাসনালয়
সম্পাদনারিংপুন ডিজং এর অভ্যন্তরে চৌদ্দটি সমাধি ও উপসানলায় রয়েছে:
- কুনগারওয়া
- বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সভা কক্ষ
- স্যান্ডলউড স্টুপা
- সংরক্ষকের সমাধি
- প্রধান বৌদ্ধ সন্নাসীর কক্ষ
- আমিতাভার কক্ষ।
- স্বফটিক স্বচ্ছ সমাধি
- আশ্রমের প্রধানের কক্ষ
- আকশোভ্যিয়ার কক্ষ
- কোষাধক্ষের মন্দির
- রাজার কক্ষ
ডিজং এর বাহিরে প্রধান ডিজংটি হল দিয়াংখা মন্দির। ১৬৪৯ সালে পাহাড়ে রিনপুং ডিজং এর উপরে সাততলা বিশিষ্ট একটি পাহারা দুর্গ বা তা ডিজং নিমার্ণ করা হয়েছিল।১৯৬৮ সালে এটিকে ভুটান জাতীয় জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
উৎসব
সম্পাদনাভুটানের সনাতন চন্দ্র মাসের দিনপঞ্জিকার এগার থেকে পনের তারিখ (গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুযায়ী মার্চ বা এপ্রিলে) পর্যন্ত রিনপুং ডিজং এ একটি বৃহৎ বার্ষিক উৎসব বা শেছু অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় প্রচুর পবিত্র চিত্র ধারণ করা হয়।আশ্রমের পুরোহিতদের দ্বারা কয়েকদিন যাবত পর্যন্ত বিভিন্ন ছদ্মবেশ নিয়ে নৃত্য অনুষ্ঠিত হয় যা বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনীকি নির্ভর করে হয়ে থাকে।
পনেরতম দিনের সকালে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বেই, একটি বৃহৎ ধর্মীয় থংদ্রেল ব্যানার থাংকা, যা পদ্মাসাম্বাভার আটটি রূপকে চিত্রায়িত করেছে, সকালের প্রথম প্রহরেই জনসাধারণের সম্মুখে প্রদর্শিত হয়ে থাকে যাতে প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী দিনের সূর্যের আলো ঐ ব্যানারের উপর না এসে পড়ে।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Lopon Kunzang Thinley (2008) p.4
- ↑ Dasho Sangay Dorji (2008) p.166
- ↑ Lopon Kunzang Thinley (2008) p.5
- ↑ Ardussi, John A. (১৯৯৯)। "Gyalse Tenzin Rabgye and the Founding of Taktsang Lhakhang" (pdf)। Journal of Bhutan Studies। Thimphu: Centre for Bhutan Studies। 1 (1): 28। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-১২।
- ↑ "The Paro Tsechu"। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৭।
- ↑ "The Paro Tsechu – the Thondrol of Guru Rincpoche"। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৭।
উৎসসমূহ
সম্পাদনা- Dorji, Sangay (Dasho) (২০০৮)। The Biography of Zhabdrung Ngawang Namgyal: Pal Drukpa Rinpoche। Kinga, Sonam (trans.)। Thimphu, Bhutan: KMT Publications। আইএসবিএন 99936-22-40-0।
- Thinley, Lopon Kunzang; KMT Research Group (২০০৮)। Seeds of Faith: A Comprehensive Guide to the Sacred Places of Bhutan. Volume 1। Thimphu: KMT Publications। আইএসবিএন 99936-22-41-9।