রায়ান হাইন্ডস
রায়ান ও’নীল হাইন্ডস (ইংরেজি: Ryan Hinds; জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১) সেন্ট জেমসের হোল্ডার্স হিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৯ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রায়ান ও’নীল হাইন্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হোল্ডার্স হিল, সেন্ট জেমস, বার্বাডোস | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জেসন হাইন্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪১) | ৩১ জানুয়ারি ২০০২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০৯) | ১৬ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রায়ান হাইন্ডস।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রায়ান হাইন্ডসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। শুরু থেকেই তাকে প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় হিসেবে ভাবা হতো। পরবর্তীতে, ব্যাট ও বল হাতে নিয়ে খেলায় বিজয়ী দলের সদস্য হবার প্রমাণ রাখেন। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইন্স তার ব্যাটিং কৌশলকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের সেরা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তবে, বল হাতে নিয়ে নাটকীয়ভাবে নিজের প্রতিভার স্ফূরণ ঘটিয়েছিলেন।
১৯৯৮ সালে ঠিক ১৭ বছর বয়সে কমনওয়েলথ গেমসে বার্বাডোসের সদস্যরূপে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ২০০০ সালে যুবদের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাইশ বছর বয়সে বার্বাডোসের পক্ষে বোলিং রেকর্ড গড়েন। ২০০১ সালে বুস্টা কাপে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলায় ১৫ উইকেট লাভ করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৯/৬৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ও বার্বাডোসের রেকর্ড হিসেবে বিবেচ্য। এরপর ২০০৫-০৬ মৌসুমে একই দলের বিপক্ষে উভয়ে ইনিংসে ১৬৮ ও ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, প্রথম বার্বাডীয় হিসেবে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বহিতে স্থান করে নেন।
২০০৭ সালে ক্যারিব বিয়ার কাপে বার্বাডোস দলের অধিনায়ক হিসেবে দলকে শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। তবে, পরবর্তী সেপ্টেম্বরেই তাকে দায়িত্ব পালন করা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের বিপক্ষে বার্বাডোসের অধিনায়ক হিসেবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ফলে, নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন তিনি। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ডব্লিউআইসিবি পরিচালক ডেরেক মারে মন্তব্য করেন যে, আঞ্চলিক খেলায় তার দেখা সবচেয়ে বাজে আচরণ ছিল। তবে, খেলার প্রতিবেদন বেশ দেরীতে দেয়া হয়েছিল।[১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্ট ও চৌদ্দটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রায়ান হাইন্ডস। ৩১ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে শারজায় পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৭ জুলাই, ২০০৯ তারিখে সেন্ট জর্জেসে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০১-০২ মৌসুমে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। প্রায় তিন বছর পর ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্যে টেস্ট দলে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বিতর্কিত ভূমিকা
সম্পাদনাপাশাপাশি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এর পরপরই অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়া হয়। ফলশ্রুতিতে, আঞ্চলিক পর্যায়ের সীমিত ওভারের চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা থেকে দূরে সরে থাকার কথা ঘোষণা করেন।[২] পরবর্তীকালে জানা যায় যে, রায়ান হাইন্ডস মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ও চিকিৎসা নেয়ার কথা ভাবছিলেন।[৩]
২০১২ সালে ২৮ বছর বয়সী মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্ত হন ও তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, গ্রেফতারের পরপরই তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ryan Hinds escapes ban for misconduct
- ↑ Ryan Hinds contemplating a break from cricket
- ↑ "Hinds down and out"। ১৫ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০।
- ↑ "WI cricketer charged with rape"। Cricbuzz। ২৯ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১২।
- ↑ "West Indies cricketer Ryan Hinds charged with rape"। Times of India। ২৯ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১২।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- ওয়াভেল হাইন্ডস
- সিরিল ক্রিস্টিয়ানি
- টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিকের তালিকা
- ২০১০ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
- ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহ
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রায়ান হাইন্ডস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রায়ান হাইন্ডস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)