রাম রে
রাম রে(ইংরেজি: Ram Ray) (জন্ম: ২৭ জানুয়ারি ১৯৪৩ - মৃত্যু: ১২ নভেম্বর ২০১৯) ভারতীয় বিজ্ঞাপন জগতের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি বিজ্ঞাপন জগতে ৫০ বছরেরও অধিক সময় কাজ করেছেন। তাঁকে বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় সত্যজিৎ রায়ের সাথে তুলনা টানা হয়।[১][২]
রাম রে | |
---|---|
জন্ম | ২৭ জানুয়ারি ১৯৪৩ |
মৃত্যু | ১২ নভেম্বর ২০১৯(বয়স ৭৬) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সি কলেজ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হাসি রে |
সন্তান | রাশি রে |
জীবনী
সম্পাদনারাম রে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ছিলেন।[৩] কিন্তু তার সৃষ্টিশীল মনের পরিধি সাহিত্যের সাথে ফোটোগ্রাফি,টাইপোগ্রাফি গ্রাফিক্স ইত্যাদির দিকে বিস্তৃত ছিল। তাই তিনি চলে এলেন বিজ্ঞাপন জগতে। তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা জে. ওয়াল্টার থম্পসনের ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র শাখায় কাজ করেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন ও সান ফ্রান্সিসকো শাখার প্রধান ছিলেন। তিনি একমাত্র অমার্কিনি হিসেবে জে. ওয়াল্টার থম্পসনের বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৪] এছাড়া, তিনি প্রতিষ্ঠানটির কলকাতা, মাদ্রাজ ও ব্যাঙ্গালোর শাখার প্রধান ছিলেন। দেশে ফেরার পর ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলেন নিজের সংস্থা রেসপন্স গ্রুপ।।[৫] বাংলা বিজ্ঞাপনে সত্যজিৎ রায়ের পর এত অভিনব ভাবনার বৈচিত্র্য বুদ্ধির দীপ্তি ও প্রতিভার ঝলক এনেছেন। বিজ্ঞাপনের ভাষা ডিজাইন ট্রাইপফেস নান্দনিকতা প্রযুক্তি প্রত্যেকটিতে ছিল তার অসাধারণ দখল। তিনি "আনন্দ" নামে বাংলা ও ইংরাজীর জন্য নতুন ধাঁচের হরফ সৃষ্টি করেন। এছাড়া, তিনি ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞাপনী সংস্থা ক্লারিয়ন (বেটস) এর সিএইচআই অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬] তিনি উইসিউইগ কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন।[৭] কাজের সুবাদে ধারাবাহিক ভাবে পেয়েছেন সম্মাননা । ২০১৩ সালে অ্যাডভার্টাইজিং ক্লাব অব ক্যালকাটা রাম রে কে তাদের "হল অব ফেমে" অন্তর্ভুক্ত করে।[৮] নিজের সাফল্যের পাশাপাশি কাজ শিখিয়েছেন সুহেল শেঠ, সুমন্ত্র চ্যাটার্জি কাঞ্চন দত্ত সহ ভবিষ্যত প্রজন্মকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। একসাথে কাজ করেছেন প্রায় দশ বৎসর।
রাম রে হাসির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি কন্যা ছিল। তাদের কন্যার নাম রাশি রে।[৯] রাম রে দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। অবশেষে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ৭৬ বৎসর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হন।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রয়াত বিজ্ঞাপনের প্রবাদপুরুষ রাম রে"। আজকাল। ২২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "প্রবাদপ্রতিম অ্যাড গুরু রাম রে র জীবনাবসান"। এই সময়। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "প্রয়াত রাম রে, রয়ে গেল প্রজন্মজয়ী বিজ্ঞাপন"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Ram Ray, renaissance man of brand advertising, no more"। The Times of India। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "বিজ্ঞাপন জগতে নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন সৃজনশীল রাম রে"। সংবাদ প্রতিদিন। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Advertising guru Ram Ray passes away"। The Hindu। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "'Giant of Indian advertising', Ram Ray passes away"। The Free Press Journal। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Ad gurus speak"। The Telegraph। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "'জ়িরো বাজেট' দিয়েই তাক লাগাচ্ছেন বিজ্ঞাপন জগতের তরুণ প্রতিভা রাশি রে"। ফেমিনা। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "'বোরোলিন-ফ্রুটি-কুকমি...', বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞা বদলে বিদায় নিলেন রাম রে!"। এই সময়। ১২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।