রাবাত

মরক্কোর রাজধানী

রাবাত (/rəˈbɑːt/, ইউকে: /rəˈbæt/, ইউএস: /rɑːˈbɑːt/আরবি: الرِّبَاط), “আর্‌-রাবাত্‌”) মরক্কোর রাজধানী, প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র ও দেশের সপ্তম বৃহত্তম শহর, আনুমানিক শহুরে জনসংখ্যা ৫,৮০,০০০ (২০১৪)[] এবং মেট্রোর জনসংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এটি রাবাত-সালে-কেনিট্রা প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানীও। রাবাত আটলান্টিক মহাসাগরে বোউ রেগ্রেগ নদীর মুখে অবস্থিত।

রাবাত
শহর
রাবাতের পতাকা
পতাকা
রাবাতের অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
রাবাত মরক্কো-এ অবস্থিত
রাবাত
রাবাত
রাবাত আরব বিশ্ব-এ অবস্থিত
রাবাত
রাবাত
রাবাত আফ্রিকা-এ অবস্থিত
রাবাত
রাবাত
অবস্থান মরক্কো এবং আফ্রিকা
স্থানাঙ্ক: ৩৪°০২′ উত্তর ৬°৫০′ পশ্চিম / ৩৪.০৩৩° উত্তর ৬.৮৩৩° পশ্চিম / 34.033; -6.833[]
দেশ মরক্কো
RegionRabat-Salé-Kénitra
সরকার
 • MayorAsmaa Rhlalou
আয়তন
 • শহর১১৭ বর্গকিমি (৪৫.১৭ বর্গমাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা১৬০ মিটার (৫২০ ফুট)
সর্বনিন্ম উচ্চতা০ মিটার (০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৪)[]
 • শহর৫,৭৭,৮২৭
 • ক্রম7th in Morocco
 • জনঘনত্ব৪,৯০০/বর্গকিমি (১৩,০০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর২১,২০,১৯২
সময় অঞ্চলCET (ইউটিসি+1)
ওয়েবসাইটwww.rabatlacapitale.ma
প্রাতিষ্ঠানিক নামRabat, Modern Capital and Historic City: a Shared Heritage
ধরনCultural
মানদণ্ডii, iv
মনোনীত2012 (36th session)
সূত্র নং1401
RegionArab States
রাবাতে অবস্থিত সেন্ট-পিয়ের ক্যাথেড্রাল

রাবাত ১২ শতকে আলমোহাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলআলমোহাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শহরটি প্রথমে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল কিন্তু আলমোহাদের পতনের পর এটি প্রায় পরিত্যাক্তের পর্যায়ে চলে যায়। ১৭ শতকে, রাবাত বারবারী জলদস্যুদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। ফরাসিরা যখন ১৯১২ সালে মরক্কোর উপর উপনিবেশ স্থাপন করে, তখন তারা রাবাতকে এর প্রশাসনিক কেন্দ্র করে। ১৯৫৫ সালে মরক্কো স্বাধীনতা অর্জন করলে রাবাতকে রাজধানী করে।

রাবাত, তেমারা এবং সালে ১.৮ মিলিয়নেরও বেশি লোকের সমন্বয়ে গঠিত। পলি-সম্পর্কিত সমস্যাগুলি বন্দর হিসাবে রাবাতের ভূমিকাকে হ্রাস করেছে; যাইহোক, রাবাত এবং সালে এখনও টেক্সটাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং নির্মাণ শিল্পে গুরুত্ব বজায় রেখেছে। এছাড়াও, পর্যটন এবং মরক্কোর সমস্ত বিদেশী দূতাবাসের উপস্থিতি রাবাতকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবে গড়ে তুলেছে। সিএনএন তার "২০১৩ সালের শীর্ষ ভ্রমণ গন্তব্যে" জরীপে মরক্কোর রাজধানী দ্বিতীয় স্থানে রেখেছিল।[] এটি মরক্কোর চারটি ঐতিহাসিক সাম্রাজ্যিক শহরের মধ্যে একটি, এবং রাবাতের মদিনা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত। রাবাত রেলওয়ে নেটওয়ার্ক এবং নিকটবর্তী রাবাত-সালে বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রবেশযোগ্য।

ব্যুৎপত্তি

সম্পাদনা

রাবাত নামটি এসেছে আরবি শব্দ الرِّبَاط (er-Ribât) থেকে, যার অর্থ ধর্মশালা, একটি ইসলামিক ভিত্তি বা দুর্গ। এই নামটি رِبَاطُ الْفَتْح (রিবাতুল-ফেত) এর সংক্ষিপ্ত রুপ যার অর্থ বিজয়ের রিবাত বা বিজয়ের দুর্গ। ১১৭০ সালে আলমোহাদরা যখন শহরটিকে একটি নৌ ঘাঁটি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল তখন তাদের দেওয়া একটি উপাধি।[][]


ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রাচীন কাল

সম্পাদনা

খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দে ফিনিশিয়ানরা বর্তমান মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু এই এলাকায় সালা বা শাল্লাট নামে ফিনিশিয়ান বসতির অস্তিত্ব নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে বিভক্তি আছে।[][] খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা নব্য-পুনিক ভাষায় লিখতেন, কিন্তু অঞ্চলটি রোমের প্রভাভাধীন ছিল।[] খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রোম দ্বারা সংযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত এটি প্রাচীন বারবার মৌরেটানীয় রাজ্যের অধীনে ছিল।[] বর্তমান প্রাচীর ঘেরা শহরের ঠিক দক্ষিণে, যে এলাকা এখন চেল্লা নামে পরিচিত, রোমানরা সালা কলোনিয়া নামে একটি শহর তৈরি করেছিল। খনন থেকে জানা যায়, পুরানো মৌরেটানিয়ান কাঠামো,রোমান কাঠামো নির্মাণের আগে বিদ্যমান ছিল। [] মৌরেতানিয়া টিংগিটানা প্রদেশের প্রাচীন লিক্সাস শহরের সাথে, সালা কলোনিয়া ছিল আটলান্টিক উপকূলে রোমানদের দুটি প্রধান নৌ ঘাঁটির একটি। সালা বন্দর (বর্তমানে বিলুপ্ত) দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের আনফা এবং ইনসুলা পুরপুররিয়া (মোগাদর দ্বীপ) পর্যন্ত রোমান বাণিজ্যিক জাহাজের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হত।[১০]

এই অঞ্চলে পাওয়া ভিসিগোথিক এবং বাইজেন্টাইন উত্সের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি সালা এবং রোমান ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক যোগাযোগের অস্তিত্ব প্রমাণ করে, যেটি ৭ম শতাব্দীতে উত্তর আফ্রিকায় বাইজেন্টাইনদের উপস্থিতি প্রমান করে।[১১] যাইহোক, সালা ৫ম শতাব্দী থেকে পরিত্যক্ত হতে শুরু করে, যখন মুসলিম আরবরা ৭ম শতাব্দীতে এই অঞ্চলে আসে এবং ইসলামী প্রভাব প্রতিষ্ঠা করে।[১২]

মধ্যযুগীয় ইসলামী যুগ

সম্পাদনা

পরিবহন

সম্পাদনা

রাবাত সালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরের তথা দেশের প্রধান বিমানবন্দর।

চিত্রসম্ভার

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

পদটীকা

সম্পাদনা
  1. "Hong Kong Observatory"। Hong Kong Observatory। ২০১২-০৩-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৭ 
  2. "Population légale d'après les résultats du RGPH 2014 sur le Bulletin officiel N° 6354"Haut-Commissariat au Plan (আরবি ভাষায়)। ২০১৮-১২-২৬ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-১১ 
  3. "Top travel destinations for 2013 – CNN.com"। Edition.cnn.com। ২০১৩-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১২ 
  4. تاريخ رباط الفتح - عبد الله السويسي (আরবি ভাষায়)। 
  5. "دعوة الحق - رباط الفتح"www.habous.gov.ma। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৬ 
  6. Janet L. Abu-Lughod (১৯৮০)। Rabat: Urban Apartheid in Morocco। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 35, 37–38 (note 2)। আইএসবিএন 978-1-4008-5303-8 
  7. Martín, Alfredo Mederos (২০১৯)। "North Africa: from the Atlantic to Algeria"। Doak, Brian R.; López-Ruiz, Carolina। The Oxford Handbook of the Phoenician and Punic Mediterranean (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 630। আইএসবিএন 978-0-19-049934-1 
  8. Anna Gallina Zevi; Rita Turchetti (২০০৪)। Méditerranée occidentale antique: les échanges. Atti del seminario (Marsiglia, 14–15 maggio 2004). Ediz. francese, italiana e spagnola। Rubbettino Editore। পৃষ্ঠা 224। আইএসবিএন 978-88-498-1116-2 
  9. Mugnai, Niccolò (২০১৬)। Architectural Decoration and Urban History in Mauretania Tingitana (Morocco) (PhD thesis) (ইংরেজি ভাষায়)। School of Archaeology and Ancient History, University of Leicester। পৃষ্ঠা 156–183। 
  10. "Le province romane d'Africa in "Il Mondo dell'Archeologia""www.treccani.it (ইতালীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৪ 
  11. Boube, J. "Éléments de ceinturon wisigothiques et byzantins trouvés au Maroc".Bulletin d'archéologie marocaine, volume=XV, 1983–84.pages=281–297
  12. Salmon, Xavier (২০২১)। Fès mérinide: Une capitale pour les arts, 1276-1465। Lienart। পৃষ্ঠা 268–271। আইএসবিএন 9782359063356 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা