রাফে ইবনে খাদিজ
রাফে ইবনে খাদিজ নবী মুহাম্মদের আনসার সাহাবি এবং বনু হারেসার গোত্রপ্রধান ছিলেন।
রাফে ইবনে খাদিজ | |
---|---|
رافع بن خدیج | |
অন্য নাম | আবু আব্দুল্লাহ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | রাফে ইবনে খাদিজ হিজরী পূর্ব ১০ সাল |
মৃত্যু | ৭৪ হিজরি মদিনা |
সমাধিস্থল | মদীনা |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | আরব |
অন্য নাম | আবু আব্দুল্লাহ |
নাম এবং বংশ
সম্পাদনানাম: রাফে। উপনাম: আবু আবদুল্লাহ। তিনি আউস গোত্রের। বংশধারা: রাফে ইবনে খাদিজ ইবনে রাফে ইবনে আদী ইবনে যায়েদ জাসম ইবনে হারেসা ইবনে হারেস ইবনে খাজরায ইবনে আমর ইবনে মালিক ইবনে আউস।[১]
মাতা: হালিমা বিনতে উরওয়া ইবনে মাসউদ ইবনে সিনান ইবনে আমের ইবনে আদী ইবনে উমাইয়া ইবনে বায়াদাহ। রাফের পিতা, পিতামহ বনু হারেসার সরদার ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তার উপর ন্যস্ত হয় বনু হারেসার নেতৃত্বের ভার। তিনি জীবনভর সেই পদে বহাল ছিলেন। হিজরতের সময় তিনি ছোট ছিলেন।
জন্ম
সম্পাদনাতিনি হিজরি পূর্ব ১২ সালে তিনি ইয়াসরিবে (বর্তমান মদীনায়) জন্মগ্রহণ করেন।
নবীর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাতিনি বদর, উহুদ, খন্দকের যুদ্ধসহ অধিকাংশ যুদ্ধে তিনি মুহাম্মদের সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[২][৩] বদরের যুদ্ধে একটি তীর তাকে বুকে আঘাত করেছিল যা হাড় ভেঙে ভিতরে ডুকে পড়েছিল। লোকেরা যখন এটি টেনে বের করার চেষ্টা করছিলো তখন ডগাটি ভিতরে রয়ে যায়। মুহাম্মাদ তা দেখে বললেন, আমি কিয়ামতের দিন তোমার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করব। তিনি সিফফিনের যুদ্ধে হজরত আলীকে সমর্থন করেছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনামৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮৬ বছর। মৃত্যু সন নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম বুখারী তারীখে আওসাতে লিখেন- তিনি আমীরে মুয়াবিয়ার শাসনকালে মৃত্যুবরণ করেন। তবে অন্যান্য ঐতিহাসিকদের মতে তিনি ৭৪ হিজরির শুরুর দিকে আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের খিলাফতকালে মৃত্যুবরণ করেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমর তার জানাজার নামাজ পড়ান।
হাদীস বর্ণনা
সম্পাদনাহাদীসের গ্রন্থসমূহে তার সনদে ৭৮টি হাদিস বর্ণিত রয়েছে। তার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে সাহাবা ও তাবেয়ীন উভয় দলেরই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাদের নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর, মাহমুদ বিন লাবিদ, সায়েব বিন ইয়াজিদ, আসিদ বিন জহির, মুজাহিদ, আত্তার, শাবি, আবায়া বিন রিফায়াহ, ওমরাহ বিনতে আবদুর রহমান, সাইদ বিন মুসাইব, নাফি বিন যুবায়ের, আবু সালমা বিন আবদুল রহমান, আবুন নাজাশি, সুলায়মান বিন ইয়াসার, ঈসা, উসমান বিন সাহল, হারির বিন আবদুল রহমান, ইয়াহইয়া বিন ইসহাক, থাবিত বিন আনাস বিন জহির, হানযালা ইবনে কাইস, নাফে, ওয়াসি বিন হিব্বান, মুহাম্মদ বিন ইয়াহিয়া বিন হিব্বান, ওবায়দুল্লাহ বিন আমর বিন উসমান।[৪]
আখলাক
সম্পাদনাসৎকাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধের ক্ষেত্রে তিনি রাসূলের পরিপূর্ণ আনুগত্য করতেন। একবার নোমান আনসারীর গোলাম কারও বাগান থেকে একটি ছোট খেজুর গাছ উপড়ে ফেলল। মারওয়ানের আদালতে মামলা দায়ের করা হলে, সে চুরির দায়ে হাত কাটার সিদ্ধান্ত নিলেন। অতঃপর রাফে ইবনে খাদিজ শোনার পর বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ফলের মধ্যে কোন হাত কাটা নেই। [৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "إسلام ويب - سير أعلام النبلاء - الصحابة رضوان الله عليهم - رافع بن خديج- الجزء رقم2"। islamweb.net (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯।
- ↑ اسد الغابہ:2/354
- ↑ طبری:3/1392
- ↑ "رافع بن خديج"। ويكيبيديا (আরবি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-০৫।
- ↑ مسند بن حنبل:4/141