রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস
এই নিবন্ধে কপিরাইটকৃত উপাদানের অত্যাধিক অথবা অনুপযুক্ত ব্যবহার থাকতে পারে। (নভেম্বর ২০১৮) |
ময়মনসিংহ শহরের সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পাশেই রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস অবস্থিত। ময়মনসিংহ শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য তৎকালীন মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী এই ওয়াটার ওয়ার্কস স্থাপন করেন।
অবস্থান | ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ |
---|---|
শুরুর তারিখ | ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ |
সম্পূর্ণতা তারিখ | ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ |
ইতিহাস
সম্পাদনাকথিত আছে একবার রাজার স্ত্রী রাজ রাজেশ্বরী দেবী কঠিন দুরারোগ্য পীড়ায় আক্রামত্ম হন। চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দেন তাকে পানীয়জল না খেতে। অবশেষে এই পরামর্শের দরুন পানি না খেতে পেয়ে তার মৃত্যু হয়। [১]
রাজা তার স্ত্রীকে গভীর ভালবাসার দরুন তার স্মৃতিকে অমর করার জন্য জনগণের কল্যাণে এটি নির্মাণ করেন। ময়মনসিংহ শহরে এটিই ছিল প্রথম পানীয়জলের যান্ত্রিক উপায়ে সরবরাহকেন্দ্র। ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে এটি নির্মাণ করতে সময় লাগে প্রায় এক বছর। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয় সে সময়কার ১,১২,৫০০/- টাকা এবং সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিলো ১,৪২,২৭৮/- টাকা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর প্রথম তিন বছর রাজা বাহাদুরের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। পরে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে এই ওয়াটার ওয়ার্কসের দায়িত্ব স্থানান্তর করা হয় ময়মনসিংহ পৌরসভার উপর।ময়মনসিংহ শহরে প্রায় আশি বছর যাবৎ পানীয়জলের প্রধান সরবরাহকেন্দ্র ছিল এটি। [১]
ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে পানি তুলে প্রথমে তা বিভিন্ন জলাধারে রাখা হত। তারপর জলাধারে কয়েক দিন রেখে পানি শোধন করা হতো। শোধনকৃত সেই পানি যান্ত্রিক উপায়ে পানির ট্যাংকে তোলা হত। পরে তা বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো। ঐথিহাসিক একটি নিদর্শন হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ ওয়াটার ওয়ার্কসটি একটি দর্শনীয় বস্ত্ত হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছিলো। এটি দেখতে এখানে প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় জমাতেন। [১]
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। ময়মনসিংহ শহরে পানি সবরাহের দায়িত্ব ন্যস্ত হয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের ‘‘পঞ্চ জেলা পানি সরবরাহ পরিকল্পনার’’ অধীনে। [১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে,ময়মনসিংহ জেলা।