রা

প্রাচীন মিশরীয় সূর্য দেবতা

রা (, রে উচ্চারণ করাও হয়, মিশরীয় *ri:ʕu) প্রাচীন মিশরীয় সূর্য দেবতা। তিনি নম্রুদ নামেও পরিচিত। পঞ্চম রাজবংশ দ্বারা সে প্রাচীন মিশরীয় ধর্মের একটি প্রধান দেবতাতে পরিণত হয়, মূলত মধ্য-দিবসের সূর্যের সঙ্গে সনাক্ত করা হতো।

রা
চিত্রলিপি
r
a
N5
Z1
C2
প্রধান অর্চনাকেন্দ্র centerহিলিয়াপলিস

মিশরীয় পঞ্চম রাজবংশের সময় রা'কে গুরুত্বপূর্ণ দেবতারূপে গন্য করা হত বিশেষত বিকেলের সূর্য্যের সাথে। পরবর্তী রাজবংশীয় সময়ে রা'কে হোরাসের সাথে মিলিয়ে ফেলা হয় যাকে রা-হোরাখটি (যার মানে হল রা যে হল দুই দিগন্তের হোরাস)। বিশ্বাস করা হত তিনি সৃষ্ট সমগ্র বিশ্বকে শাসন করেন: আকাশ, পৃথিবী এবং পাতাল। তাকে বাজপাখির সাথে চিহ্নিত করা হয়, অনেক ছবিতেই তাকে বাজপাখির মাথারূপি হিসেবে দেখা গেছে। এই ছবিগুলো হোরাসের ছবির থেকে আলাদা কেননা এগুলোতে রা'র মাথার উপর সূর্য্য রয়েছে।

ধর্মীয় ভূমিকা

সম্পাদনা

মিশরীয়দের কাছে সূর্য হল আলো, উষ্ণতা এবং বৃদ্ধির প্রতীক। এর ফলে সূর্য দেবতা রা'য়ের গুরুত্ব বেশি ছিল যেহেতু সূর্য্যই সৃষ্টি হওয়া সব কিছু শাসন করে। সূর্য্যের চাকতিকে রা'র শরীর বা চোখ হিসেবে দেখা হত। রা শু এবং টেফনাটতের পিতা যাদের তিনি নিজ তেজে জন্ম দিয়েছেন। শু হল বাতাসের দেবতা এবং টেফনাট হল বৃষ্টির দেবী। শেখমেত রায়ের চোখ এবং তাকে রায়ের চোখের আগুন থেকে বানানো হয়। শেখমেত হল হিংস্র সিংহী যাকে রায়ের সাথে যারা বেইমানি করেছে তাদের শাস্তির জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তিনিই অনেক শান্ত দেবী হয়ে ওঠেন যাকে হাথর নামে চেনা যায়।