রহস্যকাহিনি একটি সাহিত্যবর্গ যেটাতে কোনো রহস্যময় খুন বা অপরাধের সমাধান করা হয়। এটি সাহিত্যের অপেক্ষাকৃত নতুন শাখা। রহস্যকাহিনি কখনো কখনো গোয়েন্দা কাহিনিতে রূপ নিতে পারে, তবে এটি প্রায়শই "হার্ড-বয়েলড" গল্পের তীব্র বাস্তবতা ও মারামারির বিপরীতে রহস্যময় অথচ যৌক্তিক জগৎ উপস্থাপন করে।

মিস্ট্রি, ১৯৩৪ সালের রহস্যকাহিনি সাময়িকীর প্রচ্ছদ

সাহিত্যে অপেক্ষাকৃত নতুন শাখা এই রহস্যকাহিনির ধারা গড়ে উঠেছে গত ২০০ বছর ধরে। ইংরেজ রেনেসাঁর সময় স্বাক্ষরতা বেড়ে যায়, লোকে বই পড়া শুরু করে আর ফলে তারা তাদের চিন্তাভাবনায় ক্রমশ ব্যক্তিবাদী হয়ে ওঠে। এই চিন্তাধারায় তারা যুক্তিকে সম্মান করতে শেখে এবং সক্ষম হয় সমস্যার সমাধান করতে।[][]

১৮০০-র পূর্বে রহস্যকাহিনির না থাকার সম্ভাব্য একটি কারণ হলো প্রকৃত পুলিশ বাহিনীর অভাব। শিল্পবিপ্লবের আগে বহু শহরেই নিরাপত্তার জন্যে কনস্টেবল ও নৈশপ্রহরী ছাড়া কেউ থাকত না। স্বাভাবিকভাবেই, কনস্টেবলটি শহরের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে চিনত। তাই যেকোন অপরাধই হয় দ্রুত সমাধান হতো নইলে কখনোই হতো না। যেহেতু শিল্পায়নের ফলে লোকেরা শহরে এসে ভিড় করতে থাকলো, পুলিশও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিলো; প্রয়োজন পড়লো প্রাইভেট ডিটেকটিভের, আর এভাবেই সৃষ্টি হলো রহস্য উপন্যাস।[]

শ্রেণিবিভাগ

সম্পাদনা

রহস্যকাহিনিকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়: "প্রথাগত রহস্য", "আইনি থ্রিলার", "মেডিক্যাল থ্রিলার", "কোজি মিস্ট্রি", "পুলিশী তদন্ত", "হার্ড-বয়েলড" ইত্যাদি।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "A Short History of the Mystery"। ১৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Mystery Time Line" 
  3. Gilber, Elliot (১৯৮৩)। The World of Mystery Fiction। Bowling Green, OH: Bowling Green State University Popular Press। আইএসবিএন 0-87972-225-8 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা