রবার্ট বয়েল
রবার্ট বয়েল এফআরএস[৫] (২৫ জানুয়ারি ১৬২৭ – ৩১ ডিসেম্বর ১৬৯১) ছিলেন একজন অ্যাংলো-আইরিশ[৬] প্রাকৃতিক দার্শনিক, রসায়নবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, আলকেমিবিদ এবং উদ্ভাবক। বয়েলকে প্রথম আধুনিক রসায়নবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি হলেন আধুনিক রসায়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং আধুনিক পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অন্যতম প্রবর্তক। বয়েলের সূত্রের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত।[৭] বয়েলের প্রদত্ত সূত্রটি হলো, স্থির তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন ঐ গ্যাসের উপর প্রযুক্ত চাপের ব্যস্তানুপাতিক।[৮] তার রচনাগুলির মধ্যে দ্য স্কেপটিকাল চিমিস্ট গ্রন্থটিকে রসায়নের ক্ষেত্রে একটি আদি গ্রন্থ হিসাবে দেখা হয়। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ অ্যাংলিকানবাদি ছিলেন। ধর্মতত্ত্বেও তিনি তার কাজের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন।[৯][১০]
রবার্ট বয়েল | |
---|---|
জন্ম | লিসমোর দূর্গ,লিসমোর, ওয়াটারফোর্ড, আয়ারল্যান্ড | ২৫ জানুয়ারি ১৬২৭
মৃত্যু | ৩১ ডিসেম্বর ১৬৯১ লন্ডন, ইংল্যান্ড | (বয়স ৬৪)
শিক্ষা | ইটন কলেজ |
পরিচিতির কারণ |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | রয়েল সোসাইটি |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | রবার্ট হুক |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন |
|
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন | আইজ্যাক নিউটন [৪] |
জীবনী
সম্পাদনাপ্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনারবার্ট বয়েল আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি ওয়াটারফোর্ডের লিসমোর ক্যাসেলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম আর্ল অফ কর্ক ('দ্য গ্রেট আর্ল অফ কর্ক') এবং ক্যাথরিন ফেন্টনের সপ্তম পুত্র এবং চতুর্দশ সন্তান।[১১] আর্ল অফ কর্ক হলো আয়ারল্যান্ডের একটি শিরোনাম।রবার্টের বাবা লর্ড কর্ক তখন কেবল রিচার্ড বয়েল নামে পরিচিত ছিলেন। রিচার্ড বয়েল ১৫৮৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ডাবলিনে চলে আসেন। সেখানে ডেপুটি এস্কেটর হিসাবে একটি চাকরি পান। রবার্টের জন্মের সময় তিনি প্রচুর ধন সম্পদ এবং জমিজমার মালিক হন। ১৬২০ সালের অক্টোবরে রিচার্ড আর্ল অফ কর্ক হন। রিচার্ডের স্ত্রী ক্যাথরিন ফেন্টন ছিলেন আয়ারল্যান্ডের প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং লেখক স্যার জিওফ্রে ফেন্টন (১৫৩৯ - ১৬০৮)-এর কন্যা।[১২]
অন্য বড় ভাইদের মতো শৈশবে একজন ধাত্রী মায়ের কাছে বয়েলের বেড়ে ওঠা।[১৩] বয়েলের বয়স যখন আট বছর সেইসময় তিনি গৃহশিক্ষকের কাছে ল্যাটিন, গ্রীক এবং ফরাসি ভাষা শিক্ষার সুযোগ পান। তার মায়ের মৃত্যুর পর তাকে এবং তার ভাই ফ্রান্সিসকে ইংল্যান্ডের ইটন কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে তার বাবার বন্ধু স্যার হেনরি ওয়াটন তখন কলেজের প্রভোস্ট ছিলেন।[১১]
এই সময়ে ইটনে তার বাবা ছেলেদের ব্যক্তিগত গৃহশিক্ষক হিসাবে রবার্ট কেয়ারু নামে একজন গৃহশিক্ষককে নিয়োগ করেন। এই গৃহশিক্ষকের আইরিশ ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান ছিল। যদিও শুধু মাত্র রবার্ট বয়েলই আইরিশ ভাষা শিখতে চান। অন্যরা ফরাসি এবং ল্যাটিন শিখতে চেয়েছিলেন।[১৪] ইটনে তিন বছরেরও বেশি সময় কাটানোর পর, রবার্ট বয়েল একজন ফরাসি গৃহশিক্ষকের সাথে বিদেশ ভ্রমণ করেন। ১৬৪১ সালে তারা ইতালিও ভ্রমণ করেন এবং সেই বছরের শীতকালে ফ্লোরেন্সে যান।[১১]
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৬৪৪ সালের মাঝামাঝি রবার্ট বয়েল বৈজ্ঞানিক গবেষণায় গভীর আগ্রহ নিয়ে মহাদেশীয় ইউরোপ থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।[১৫] তার বাবা লর্ড কর্ক আগের বছর অর্থাৎ ১৬৪৩ সালে মারা যান। মারা যাবার আগে লর্ড কর্ক রবার্টকে ডরসেটের স্টালব্রিজের জমির পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি লিমেরিকে উল্লেখযোগ্য সম্পত্তি দিয়ে গিয়েছিলেন। রবার্ট সেগুলি অধিগ্রহণ করেন। ১৬৪৪ থেকে ১৬৫২ সালের মধ্যে স্টলব্রিজ হাউসে রবার্ট তার বাসস্থান তৈরি করেন এবং সেখানে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগারও স্থাপন করা হয়।[১৬] সেই সময় থেকে রবার্ট তার জীবনকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উৎসর্গ করেন। এই স্থানটি শীঘ্রই অনুসন্ধানকারীদের কাছে "অদৃশ্য কলেজ" নামে বিশিষ্ট স্থান হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। যারা "নতুন দর্শন" এর শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন, তারা প্রায়শই লন্ডনে মিলিত হতেন। প্রায়শই গ্রেশাম কলেজে এবং কিছু সদস্য অক্সফোর্ডেও মিটিং করতেন।[১১] ১৬৪৭ সালের শুরুতে আইরিশ এস্টেটে বেশ কয়েক বার পরিদর্শন করার পর ১৬৫২ সালে রবার্ট আয়ারল্যান্ডে চলে আসেন। যদিও রাসায়ন গবেষণার কাজে তেমন অগ্রগতি করতে না পারায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। একটি চিঠিতে তিনি আয়ারল্যান্ডকে বর্ণনা করেন একটি বর্বর দেশ হিসাবে যেখানে রাসায়নিক আত্মাগুলিকে ভুল বোঝানো হয়েছে এবং রাসায়নিক যন্ত্রগুলিও ঠিক ছিল না বলে।[১৭]
১৬৫৪ সালে বয়েল তার কাজ আরও সফলভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য আয়ারল্যান্ড থেকে অক্সফোর্ডে চলে আসেন। ১৬৫৭ সালে অটো ভন গুয়েরিকের এয়ার পাম্প পড়ে তিনি রবার্ট হুকের সহায়তায় এই যন্ত্রটির উন্নতির জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন। গুয়েরিকের এয়ার পাম্পটি বড় ছিল। তাই এই পাম্পটি চালাতে দুইজন শক্তিশালী লোকের অবিরাম শ্রমের প্রয়োজন হতো। বয়েল এই পাম্পের একটি সহজ সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। যেটি সুবিধাজনকভাবে চালানো যেতো।[১৮] ১৬৫৯ সালের শেষে বাতাসের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর তিনি অনেকগুলি পরীক্ষা করেন। এই সময় তিনি ফ্যাটিশিয়াস এয়ার শব্দটি চালু করেন। যার মানে কৃত্রিম বায়ু বা মানুষের তৈরি বায়ু।[৭][১১]
রবার্ট বয়েলের বায়ু পাম্প সংক্রান্ত কাজের একটি বিবরণ ১৬৬০ সালে নিউ এক্সপেরিমেন্টস ফিজিকো-মেকানিক্যাল, টাচিং দ্য স্প্রিং অফ দ্য এয়ার অ্যাণ্ড ইটস্ ইফেক্টস এই শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল।[১১]
এই বই সম্পর্কে যারা মতামত বা সমালোচনা করেছিলেন তাদের মধ্যে ফ্রান্সিস লাইন (১৫৯৫-১৬৭৫) নামে একজন জেসুইট ছিলেন। তার সমালোচনার উত্তর দেওয়ার সময় বয়েল গ্যাসের আয়তনের সঙ্গে চাপের সম্পর্কটি উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, গ্যাসের আয়তন ঐ গ্যাসের উপর প্রযুক্ত চাপের ব্যস্তানুপাতিকভাবে পরিবর্তিত হয়। ইংরেজিভাষী লোকেদের মধ্যে রবার্ট বয়েলের নাম অনুসারে এটি বয়েলের সূত্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।[১১] যদিও ১৬৬১ সালে যে ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে গ্যাসের আয়তন ও গ্যাসের উপর প্রযুক্ত চাপের এই বৈজ্ঞানিক অনুকল্পটি তুলে ধরেছিলেন তার নাম ছিলো হেনরি পাওয়ার। ১৬৬২ সালে বয়েল তার একটি গবেষণা পত্রে হেনরি পাওয়ারের লেখা তথ্যসূত্র হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেন কিন্তু ভুলবশত এতে রিচার্ড টাউনলির নাম এসে পড়ে। মহাদেশীয় ইউরোপে এই অনুকল্পটির সঙ্গে কখনও কখনও এডমে মারিওটের নামও উল্লেখ করা হয় যদিও তিনি এটি ১৬৭৬ সাল পর্যন্ত প্রকাশ করেননি। সম্ভবত সেই সময়ে বয়েলের গবেষণা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন।[১৯]
১৬৬৩ সালে রবার্ট বয়েলের সৃষ্ট অদৃশ্য কলেজটি দ্য রয়েল সোসাইটি অব লন্ডন ফর ইম্প্রুভিং ন্যাচারাল নলেজ হয়ে ওঠে। আগে রয়েল সোসাইটির নাম এটাই ছিল। ওই সময় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় চার্লসের অনুমোদনের পর রবার্ট বয়েলকে এই সোসাইটির কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হয়। ১৬৮০ সালে তিনি সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু শপথ সম্পর্কে একটি বিভ্রান্তির কারণে সেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন।[১১]
রবার্ট বয়েল ২৪টি সম্ভাব্য উদ্ভাবনের একটি "ইচ্ছা তালিকা" তৈরি করেছিলেন যার মধ্যে রয়েছে জীবনের দীর্ঘায়ণ, উড্ডয়নের শিল্প, স্থায়ী আলো, হালকা ও অত্যন্ত কঠিন বর্ম তৈরি, সব রকম বাতাসের গতিবেগ মোকাবিলা করর মতো একটি জাহাজ যেটি সহজে ডুবে যাবে না, দ্রাঘিমাংশ খোঁজার ব্যবহারযোগ্য এবং নির্দিষ্ট উপায়, কল্পনা-জাগ্রত বা স্মৃতিশক্তি পরিবর্তন বা উন্নীত করার এবং ব্যথা প্রশমিত করার শক্তিশালী ওষুধ প্রভৃতি। এই ২৪টি সম্ভাব্য উদ্ভাবনের মধ্যে কয়েকটি বাদে প্রায় সবই পরবর্তিকালে সত্য হয়েছে।[২০][২১]
১৬৬৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড থেকে লন্ডনে চলে আসেন। সেখানে পল মলে তিনি তার বড় বোন ক্যাথরিন জোন্স (লেডি রানেলাঘ)-এর বাড়িতে থাকতেন।[১১] ওই বাড়িতে ক্যাথরিন জোন্সের একটি পরীক্ষাগার ছিল। রবার্ট সেই পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন এবং বিজ্ঞানে আগ্রহী বুদ্ধিজীবীরা যারা ওই বাড়িতে আসতেন তাদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতেন। ভাইবোনরা "একটি আজীবন বৌদ্ধিক অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছিল"। তারা একে অপরের বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলিকে প্রচার করতেন এবং একে অপরের পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার কাজও করতেন।[২২] রবার্ট বয়েলের সমসাময়িক বিজ্ঞানীরা বয়েলেরে কাজের উপর ক্যাথরিনের প্রভাবকে ব্যাপকভাবে স্বীকার করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরবর্তীকালে ইতিহাসবিদরা ক্যাথরিনের প্রভাব এবং তার ভাইয়ের সাথে সম্পর্কের আলোচনা প্রসঙ্গ তাদের ইতিহাস থেকে বাদ দেন।
শেষজীবন
সম্পাদনারবার্ট বয়েল স্বাস্থ্যবান ছিলেন না। ১৬৬৯ সালে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। তিনি ধীরে ধীরে জনসমাগম থেকে সরে আসেন। রয়্যাল সোসাইটির সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। "অসাধারণ ঘটনা না হলে" তিনি আতিথেয়তা গ্রহণ করতেন না। এইভাবে অর্জিত অবসর সময়ে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক গবেষণা প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন যা তিনি পরবর্তীকালের জন্য রেখে যাওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। ১৬৯১ সালে তার স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে থাকে।[১১] সেই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তার জীবনাবসান হয়।[২৩] তার বড় বোন ক্যাথরিনের মৃত্যু হয় এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে ২৩ ডিসেম্বর। ক্যাথরিনের বাড়িতেই প্রায় কুড়ি বছরেরও বেশি তিনি ছিলেন। যার সাথে তিনি অনেক বৈজ্ঞানিক আলোচনা ভাগ করে নিয়েছিলেন। বয়েল পক্ষাঘাত রোগে মারা যান। তাকে সেন্ট মার্টিন-ইন-দ্য-ফিল্ডস-এর চার্চইয়ার্ডে সমাহিত করা হয়। বয়েলের অন্ত্যেষ্টির ধর্মোপদেশ তার বন্ধু বিশপ গিলবার্ট বার্নেট প্রচার করেন।[১১] বয়েল তার উইলে বেশ কিছু কথা লেখেন যা পরে বয়েল লেকচার নামে পরিচিতি পায়।
বৈজ্ঞানিক অন্বেষী
সম্পাদনাবৈজ্ঞানিক অন্বেষী হিসেবে বয়েলের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো যে , তিনি সেইসব নীতিগুলি পালন করেন যেগুলি ফ্রান্সিস বেকন তার নোভাম অর্গানাম বইয়ে সমর্থন করেছিলেন। তবুও বয়েল বেকনের অনুসারী বা অন্য কোন শিক্ষকের অনুসারী বলে নিজেকে স্বীকার করেন নি।[১১]
বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে দর্শনের যে কোনো আধুনিক তত্ত্বের বিচার করতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি পারমাণু, কার্টেসিয়ান সিস্টেম বা নোভাম অর্গানাম সম্পর্কে অধ্যয়ন থেকে বিরত ছিলেন। যদিও তিনি কিছু বিবরণ সম্পর্কে ক্ষণস্থায়ীভাবে পরামর্শ করার কথা স্বীকার করেছেন। জ্ঞান অর্জনই ছিল তার মূল লক্ষ্য তাই তিনি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছিলেন। তবে এর মানে এই নয় যে তিনি বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগের প্রতি কোন মনোযোগ দেননি।[১১]
রবার্ট বয়েল একজন আলকেমিস্ট ছিলেন।[২৫] তিনি মনে করতেন ধাতুকে রূপান্তর করা সম্ভব। এটি একটি সম্ভাবনাময় বিষয় বলে তিনি বিশ্বাস করতেন এবং তা অর্জনের আশায় তিনি অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন।[২৬][১১] তিনি পদার্থবিজ্ঞানে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছিলেন তার মধ্যে রয়েছে বয়েলের সূত্র, বায়ুতে শব্দের বিস্তার, বরফ গলা জলের প্রসারণ শক্তি, মাধ্যাকর্ষণ বিষয় এবং প্রতিসরণ শক্তি নিয়ে। স্ফটিক, বিদ্যুুৎ, রঙ, উদস্থিতিবিজ্ঞান ইত্যাদি অধ্যয়ন ও গবেষণার বিষয়ও তিনি যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন। এই সব অদ্ভূত বিষয় নিয়ে তার প্রথম বইটি ছিল দ্য স্কেপটিকাল কাইমিস্ট । বইটি ১৬৬১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, রসায়ন হলো পদার্থের গঠনের বিজ্ঞান, কেবল আলকেমিস্ট বা চিকিৎসকের শিল্পের সংযোজন নয়।[১১]
রাসায়নিক মৌল সম্পর্কে তিনি মনে করতেন সেগুলি বস্তুগত দেহের অপরিবর্তনীয় উপাদান। তিনি মিশ্র পদার্থ এবং যৌগের মধ্যে পার্থক্যের কথা তুলে ধরেন। উপাদান সনাক্তকরণের কৌশল নির্ণয়ে তার অবদান রয়েছে। উপাদান সনাক্তকরণের কৌশলে তিনি অ্যানালেসিসি বা "বিশ্লেষণ" শব্দটি প্রথম মনোনীত করেন। তিনি আরও অনুমান করেন যে রাসায়নিক মৌল বিভিন্ন ধরণের এবং আকারের কণার সমন্বয়ে গঠিত। তিনি দহন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের রসায়ন অধ্যয়ন করেন এবং শারীরবিদ্যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।[১১]
ধর্মতাত্ত্বিক আগ্রহ
সম্পাদনাদর্শনের পাশাপাশি ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে বয়েলের বিশেষ আগ্রহ ছিল। এই বিষয়ে তিনি অনেক সময় নিবেদন করেছেন। ধর্মতত্ত্বের ব্যবহারিক দিকটি নিয়ে তার বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। তবে এর বিতর্কিত দিকটির প্রতি উদাসীনতা দেখিয়েছেন। ১৬৬০ সালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় চার্লসের পুনরুদ্ধারের সময় তিনি আদালতের অনুকূলে ছিলেন। ১৬৬৫ সালে তিনি ইটন কলেজের প্রভোস্টশিপ নিতে চান নি।[১১]
বয়েল তার বৈজ্ঞানিক আগ্রহগুলিকে ধর্মতত্ত্বেও অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, প্রাকৃতিক দর্শন ঈশ্বরের অস্তিত্বের জন্য শক্তিশালী প্রমাণ প্রদান করতে পারে। ১৬৮৮ সালে ডিসকুইজিশন অ্যাবাউট দ্যা ফাইন্যাল কজেস্ অফ ন্যাচারাল থিংস[২৭] নামক তার লেখা বইয়ে উদাহরণস্বরূপ, তিনি সমসাময়িক দার্শনিকদের সমালোচনা করেছিলেন এর মধ্যে র্যনে দেকার্ত অন্যতম। এইসব দার্শনিকরা অস্বীকার করেছিলেন যে প্রকৃতির অধ্যয়ন ঈশ্বর সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারে এই ভবনাকে। পরিবর্তে বয়েলের যুক্তি ছিল যে, প্রাকৃতিক দার্শনিকরা পৃথিবীর সাথে ঈশ্বরের সম্পৃক্ততা প্রদর্শনের জন্য প্রকৃতির কিছু অংশে দৃশ্যত প্রদর্শনের নকশা ব্যবহার করতে পারে। বয়েল তার বৈজ্ঞানিক অনুশীলন থেকে উদ্ভূত পদ্ধতি ব্যবহার করে জটিল ধর্মতাত্ত্বিক প্রশ্ন মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি পুরো কর্মজীবন জুড়ে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন যে বিজ্ঞান খ্রিস্টধর্মকে সমর্থন দিতে পারে।[২৮]
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন পরিচালক[২৯] হিসেবে তিনি প্রাচ্যে খ্রিস্টান ধর্মের প্রসারে, মিশনারি সোসাইটিতে উদারভাবে অবদান রাখতে এবং বাইবেল বা এর কিছু অংশ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন।[১১] বয়েল এই নীতিকে সমর্থন করেছিলেন যে, বাইবেল মানুষের স্থানীয় ভাষায় পাওয়া উচিত। নিউ টেস্টামেন্টের একটি আইরিশ ভাষার সংস্করণ ১৬০২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কিন্তু বয়েলের প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে সেটি সহজলভ্য ছিল না। ১৬৮০-৮৫ সালে বয়েল ব্যক্তিগতভাবে আইরিশ ভাষায় ওল্ড এবং নিউ টেস্টামেন্ট উভয় বাইবেলের মুদ্রণের জন্য অর্থ ব্যায় করেন।[৩০] এক্ষেত্রে আইরিশ ভাষার প্রতি বয়েলের দৃষ্টিভঙ্গি সেই সময়ে আয়ারল্যান্ডের প্রোটেস্ট্যান্ট অ্যাসেন্ডেন্সি শ্রেণীর থেকে ভিন্ন ছিল। তারা সাধারণত ভাষার প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ভাব পোষণ করতেন এবং মূলত আইরিশ ভাষার ব্যবহারের বিরোধিতা করেন। বয়েলের দৃষ্টিভঙ্গি এর বিপরীত ছিল।[৩১]
বয়েলের জাতি উৎপত্তি সম্পর্কে একক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তিনি জাতি অধ্যয়নের ক্ষেত্রেও অগ্রগামী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের শারীরিক পার্থক্য যতই বৈচিত্র্যময় হোক না কেন, তারা একই উৎস থেকে এসেছে। সেই উৎসটি হলো অ্যাডাম এবং ইভ। তিনি বাবা-মায়ের বিভিন্ন রঙের অ্যালবিনোর জন্ম দেওয়ার গল্পগুলি অধ্যয়ন করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে, অ্যাডাম এবং ইভ-এর গায়ের রঙ মূলত সাদা এবং ককেশীয়রা বিভিন্ন রঙের জাতিকে জন্ম দিতে পারে। রবার্ট হুক এবং আইজ্যাক নিউটনের তত্ত্বগুলিকে বয়েল অপটিক্যাল প্রজেকশনের মাধ্যমে (পদার্থবিজ্ঞানে) পলিজেনেসিসের বক্তৃতায় আরও প্রসারিত করেন।[৩২]
বয়েল তাঁর উইলে খ্রিস্টান ধর্মের রক্ষার্থে একটি সিরিজ বক্তৃতার জন্য অর্থ প্রদান করেন। তাতে এই বিধান দেওয়া হয় যে ওই সব বক্তৃতায় খ্রিস্টানদের মধ্যে বিতর্কগুলিকে উল্লেখ করা হবে না।[৩৩][১১]
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা১৬৬৩ সালে রয়্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে, তিনি রয়্যাল সোসাইটির (এফআরএস) ফেলো নির্বাচিত হন।[৫] তার সম্মানে বয়েলের সূত্রের নামকরণ করা হয়েছে। রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি বিশ্লেষণাত্মক বিজ্ঞানে তার সম্মানে রবার্ট বয়েল পদক নামে একটি পুরস্কারের প্রচলন করে। ১৮৯৯ সালে বৈজ্ঞানিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য আয়ারল্যান্ডে বয়েল মেডেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। রয়্যাল ডাবলিন সোসাইটি এবং দ্য আইরিশ টাইমস যৌথভাবে এই মেডেল প্রদান করে।[৩৪] ২০১২ সালে চালু হওয়া রবার্ট বয়েল সামার স্কুলটি ওয়াটারফোর্ড ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি দ্বারা আয়োজিত এবং লিসমোর ক্যাসলের সহায়তায় প্রতি বছর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবার্ট বয়েলের ঐতিহ্যকে সম্মান জানায়।[৩৫]
গবেষণামূলক কাজ
সম্পাদনাতার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিম্নে দেওয়া হল:[১১]
- ১৬৬০ - নিউ এক্সপেরিমেন্টস ফিজিকো-মেকানিক্যাল, টাচিং দ্য স্প্রিং অফ দ্য এয়ার অ্যাণ্ড ইটস্ ইফেক্টস
- ১৬৬১ - দ্য স্কেপটিকাল চিমিস্ট
- ১৬৬২ - নিউ এক্সপেরিমেন্টস ফিজিকো-মেকানিক্যাল-এর দ্বিতীয় সংস্করণের বইয়ে-সংযোজন
- ১৬৬৩ - কনসিডারেশনস টাচিং দ্যা ইউজফুলনেস অফ এক্সপেরিমেন্টাল ন্যাচারাল ফিলোজফি
- ১৬৬৪ - অন্ধকারে চকচক করে এমন একটি হীরার উপর পর্যবেক্ষণসহ রং ও স্পর্শ করার পরীক্ষা এবং বিবেচনা
- ১৬৬৫ - ঠান্ডার উপর নতুন পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ
- ১৬৬৬ – হাইড্রোস্ট্যাটিকাল প্যারাডক্স[৩৭]
- ১৬৬৬ – অরিজিন অফ ফর্মস অ্যাণ্ড কোয়ালিটিস অ্যাকর্ডিং টু দ্যা কর্পাসকুলার ফিলজফি[৩৮]
- ১৬৬৯ - ভৌত-যান্ত্রিক নতুন পরীক্ষার ধারাবাহিকতা, বাতাসের ওজন এবং তাদের প্রভাব
- ১৬৭২ - রত্নের উৎপত্তি এবং গুণাবলী
- ১৬৮০ - দ্য এরিয়াল নকটিলুকা
- ১৬৮২ - বরফের নকটিলুকার উপর নতুন পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ
- ১৬৮৪ - মেমোরিয়াস্ ফর দ্যা ন্যাচারাল হিস্ট্রি অফ দ্যা হিউম্যান ব্লাড
- ১৬৮৫ - খনিজ জলের প্রাকৃতিক পরীক্ষামূলক ইতিহাস সম্পর্কিত
- ১৬৮৮ - ডিসকুইজিশন অ্যাবাউট দ্যা ফাইন্যাল কজেস্ অফ ন্যাচারাল থিংস
- ১৬৯০ - মেডিসিনা হাইড্রোস্ট্যাটিকা
- ১৬৯১ - পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ পদার্থবিদ্যা
রবার্ট বয়েলের ধর্মীয় ও দার্শনিক কয়েকটি লেখা হলো:
- ১৬৪৮ (১৬৫৯) - ঈশ্বরের প্রেমের কিছু উদ্দেশ্য এবং উদ্দীপনা সম্পর্কিত (১৬৪৮ সালে লেখা, কিন্তু ১৬৫৯ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি)
- ১৬৬৩ -ধর্মগ্রন্থের শৈলী স্পর্শ করার কিছু বিবেচনা
- ১৬৬৪ - প্রাকৃতিক দর্শনের সাথে ধর্মতত্ত্বের শ্রেষ্ঠত্ব তুলনা
- ১৬৭৫ - পুনরুত্থানের সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি আলোচনার সাথে যুক্তি এবং ধর্মের মিলনযোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বিবেচনা
- ১৬৯০ - দ্য খ্রিস্টান ভার্চুসো
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Vere Claiborne Chappell (ed.), The Cambridge Companion to Locke, Cambridge University Press, 1994, p. 56.
- ↑ Marie Boas, Robert Boyle and Seventeenth-century Chemistry, CUP Archive, 1958, p. 43.
- ↑ O'Brien, John J. (১৯৬৫)। "Samuel Hartlib's influence on Robert Boyle's scientific development"। Annals of Science। 21 (4): 257–76। আইএসএসএন 0003-3790। ডিওআই:10.1080/00033796500200141।
- ↑ Newton, Isaac (ফেব্রুয়ারি ১৬৭৮)। Philosophical tract from Mr Isaac Newton। Cambridge University।
But because I am indebted to you & yesterday met with a friend Mr Maulyverer, who told me he was going to London & intended to give you the trouble of a visit, I could not forbear to take the opportunity of conveying this to you by him.
- ↑ ক খ "Fellows of the Royal Society"। London: Royal Society। ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Robert Boyle"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ Acott, Chris (১৯৯৯)। "The diving "Law-ers": A brief resume of their lives."। South Pacific Underwater Medicine Society Journal। 29 (1)। আইএসএসএন 0813-1988। ওসিএলসি 16986801। Archived from the original on ২ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Levine, Ira N. (২০০৮)। Physical chemistry (6th সংস্করণ)। Dubuque, IA: McGraw-Hill। পৃষ্ঠা ১২। আইএসবিএন 9780072538625।
- ↑ MacIntosh, J. J.; Anstey, Peter। "Robert Boyle"।
- ↑ Tutor, Mac। "Robert Boyle"। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন One or more of the preceding sentences একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Boyle, Robert"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
- ↑ "Catherine Fenton", Family Ghosts, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১
- ↑ McCartney, Mark; Whitaker, Andrew (২০০৩), Physicists of Ireland: Passion and Precision, London: Institute of Physics Publishing
- ↑ Canny, Nicholas (১৯৮২), The Upstart Earl: a study of the social and mental world of Richard Boyle, Cambridge: Cambridge University Press, পৃষ্ঠা ১২৭
- ↑ See biographies of Robert Boyle at [১], "Robert Boyle"। ১৬ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০০৮।, "Boyle summary"। ১৩ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০০৮। and [২].
- ↑ "BBC - History - Robert Boyle"। BBC Online। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Silver, Brian L. (২০০০)। The ascent of science। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা ১১৪। আইএসবিএন 978-0-19-513427-8।
- ↑ B. West, John (২০১৫), "Robert Boyle's Landmark Book of 1660 with the First Experiments on Rarified Air", Essays on the History of Respiratory Physiology, New York, NY: Springer New York, পৃষ্ঠা ৩৭–৫৪, আইএসবিএন 978-1-4939-2361-8, ডিওআই:10.1007/978-1-4939-2362-5_4, সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৮
- ↑ Brush, Stephen G. (২০০৩)। The Kinetic Theory of Gases: An Anthology of Classic Papers with Historical Commentary। History of Modern Physical Sciences Vol 1। Imperial College Press। আইএসবিএন 978-1860943478।
- ↑ "Robert Boyle's prophetic scientific predictions from the 17th century go on display at the Royal Society"। Telegraph.co.uk। ৩ জুন ২০১০। ১২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Robert Boyle's Wish list"। Telegraph.co.uk। ১২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ DiMeo, Michelle (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "'Such a Sister Became Such a Brother': Lady Ranelagh's Influence on Robert Boyle"। Philadelphia Area Center for History of Science। ২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Hunter, Michael (২০০৩)। Robert Boyle Reconsidered (Reprint সংস্করণ)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা xvii। আইএসবিএন 978-0521892674।
- ↑ Boas Hall, Marie (আগস্ট ১৯৬৭)। "Robert Boyle"। Scientific American। 217 (2): ৯৬–১০২। আইএসএসএন 0036-8733। ডিওআই:10.1038/scientificamerican0867-96। বিবকোড:1967SciAm.217b..96B।
- ↑ More, Louis Trenchard (জানুয়ারি ১৯৪১)। "Boyle as Alchemist"। Journal of the History of Ideas। University of Pennsylvania Press। 2 (1): ৬১–৭৬। জেস্টোর 2707281। ডিওআই:10.2307/2707281।
- ↑ MacIntosh, J. J.; Anstey, Peter (২০১০)। "Robert Boyle"। Zalta, Edward N.। The Stanford Encyclopedia of Philosophy (Fall সংস্করণ)। note 4।
- ↑ U-M Library Digital Collections।
- ↑ Wragge-Morley, Alexander (২০১৮)। "Robert Boyle and the representation of imperceptible entities"। The British Journal for the History of Science। 51 (1): ১–২৪। আইএসএসএন 0007-0874। এসটুসিআইডি 4334846। ডিওআই:10.1017/S0007087417000899। পিএমআইডি 29103389।
- ↑ Cousin, John William (1910). "Boyle, The Hon. Robert". A Short Biographical Dictionary of English Literature. London: J. M. Dent & Sons
- ↑ Baines Reed, Talbot (১৮৮৭), A History of the Old English Letter Foundries, Elliot Stock, পৃষ্ঠা ১৮৯–৯০. Also Greenslade, S.L, সম্পাদক (১৯৬৩), The Cambridge History of the Bible: The West from the Reformation to the Present Day, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা ১৭২–৭৩, আইএসবিএন 9780521290166.
- ↑ Hastings, Adrian (১৯৯৭)। The Construction of Nationhood: Ethnicity, Religion, and Nationalism। Cambridge: Cambridge University। পৃষ্ঠা ৮৬।
- ↑ Boyle, Jen E. (২০১০)। Anamorphosis in early modern literature : mediation and affect। Farnham, Surrey, [England]: Ashgate। পৃষ্ঠা ৭৪। আইএসবিএন 978-1409400691।
- ↑ "The Boyle Lecture"। St. Marylebow Church।
- ↑ "RDS–Irish Times Boyle Medal for Scientific Excellence"। RDS.ie। ৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "The Robert Boyle Summer School"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Arthur W. J. G. Ord-Hume (২০০৬)। Perpetual Motion: The History of an Obsession। Adventures Unlimited Press। আইএসবিএন 1-931882-51-7।
- ↑ Cf. Hunter (2009), p. 147. "It forms a kind of sequel to Spring of the Air ... but although Boyle notes he might have published it as part of an appendix to that work, it formed a self-contained whole, dealing with atmospheric pressure with particular reference to liquid masses"
- ↑ Acott, C. (১৯৯৯)। "A brief history of diving and decompression illness."। South Pacific Underwater Medicine Society Journal। 29 (2)। আইএসএসএন 0813-1988। ওসিএলসি 16986801। Archived from the original on ২৭ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০০৯।