রন হামেন্স
রোনাল্ড আর্থার হামেন্স (ইংরেজি: Ronald Arthur Hamence; জন্ম: ২৫ নভেম্বর, ১৯১৫ - মৃত্যু: ২৪ মার্চ, ২০১০) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হাইন্ডমার্শ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য রন হামেন্স ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেও খেলেছিলেন। খাঁটো গড়নের অধিকারী হামেন্স দলে মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। পিছনের পায়ে ভর রেখে দর্শনীয় ভঙ্গীমায় খেলতেন।[২] জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলীয় হলেও ২০০৮ সালে বিল ব্রাউনের দেহাবসানের পর ২০১০ সালে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সর্বাপেক্ষা বয়োঃজ্যেষ্ঠ অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছেন তিনি।[৩][৪]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রোনাল্ড আর্থার হামেন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হাইন্ডমার্শ, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৫ নভেম্বর ১৯১৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ মার্চ ২০১০ অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৯৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৬) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জানুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৬–৫০ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাঅ্যাডিলেডের উপকণ্ঠে হাইন্ডমার্শ এলাকায় হামেন্সের জন্ম। তার কাকাতো ভাই চার্লি ওয়াকারও অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন। ১৫ বছর ২৫ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ জেলা ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররূপে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান। ১৯৩০ সালে অ্যাডিলেড ক্লাবের সদস্য হিসেবে তার অভিষেক ঘটে ওয়েস্ট টরেন্সের বিপক্ষে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া দলে খেলা অবস্থায় সরকারী প্রিন্টিং অফিসে চাকরি করছিলেন। প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙ্গে কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। কিন্তু ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে তার বেশ দূর্বলতা ছিল।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দারুণ সফল ছিলেন। ১৯৫০ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বাপেক্ষা সফল ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিতি পান। ১৯৩৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ৯৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। ৫,২৮৫ রান সংগ্রহকালে ১১ সেঞ্চুরিসহ ইনিংসপ্রতি তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩৭.৭৫। এছাড়াও, প্রথম ও সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সেঞ্চুরির সন্ধান পান।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনাজাতীয় দলের পক্ষে কেবলমাত্র তিনটি টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সফলতা পাওয়ায় সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে খেলার জন্য দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।[৫][৬] দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি মাত্র ১ রান তুললেও অস্ট্রেলিয়া দল জয়লাভে সক্ষম হয়।[৭]
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন। উভয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিনি ২৫ রান করে সংগ্রহ করেছিলেন। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ তারিখে অনুষ্ঠিত টেস্টটি ড্র হওয়ায় তাকে পুনরায় মাঠে নামতে হয়নি।[৮] ১ জানুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে শুরু হওয়া টেস্টে ডন ব্র্যাডম্যান ও আর্থার মরিসের সেঞ্চুরির সুবাদে দল জয়লাভ করে। ঐ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি।[৯] পরবর্তী দুই টেস্টে নীল হার্ভে'র পরিবর্তে তাকে দলে নেয়া হয়।[২]
১৯৪৮ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। অপরাজেয় নামে খ্যাত অস্ট্রেলিয়া দল কোন খেলাতেই পরাজিত হয়নি। কিন্তু ঐ সফরে কোন টেস্টে খেলার জন্য তাকে মাঠে নামানো হয়নি।[৬]
টেস্টে অবদান
সম্পাদনাব্যাটিং[১০] | বোলিং[১১] | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রতিপক্ষ | খেলা | রান | গড় | সর্বোচ্চ | ১০০ / ৫০ | রান | উইকেট | গড় | সেরা (ইনিংসে) |
ইংল্যান্ড | ১ | ৩১ | ৩১.০০ | ৩০* | ০/০ | – | – | – | – |
ভারত | ২ | ৫০ | ২৫.০০ | ২৫ | ০/০ | – | – | – | – |
সর্বমোট | ৩ | ৮১ | ২৭.০০ | ৩০ | ০/০ | – | – | – | – |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Obituary The Times, 27 March 2010.
- ↑ ক খ Pollard, p. 506.
- ↑ "Oldest living players"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১৯।
- ↑ "Oldest Test player dies aged 94"। ABC News। Australian Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১০।
- ↑ "Match by Match statistics - Ron Hamence"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২০।
- ↑ ক খ Allen, pp. 76–79.
- ↑ "Australia v England – 5th Test 1947"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২০।
- ↑ "Australia v India – 2nd Test 1947/1948"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২০।
- ↑ "Australia v India – 3rd Test 1948"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২০।
- ↑ "Statsguru - RA Hamence - Test matches - Batting analysis"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-১৯।
- ↑ "Statsguru - RA Hamence - Test Bowling - Bowling analysis"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-১৯।
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Allen, Peter (১৯৯৯)। The Invincibles: The Legend of Bradman's 1948 Australians। Mosman, New South Wales, Australia: Allen and Kemsley। আইএসবিএন 1-875171-06-1।
- Alexander, J. A. (১৯৫০)। Australia: The Herald Year Book। Australia: The Herald & Weekly Times Ltd.।
- Barnes, Sid (১৯৫৩)। It Isn't Cricket। London and Sydney: Collins।
- Bradman, Don (১৯৯৪) [1950]। Farewell to cricket। Sydney: Editions Tom Thomas। আইএসবিএন 1-875892-01-X।
- Cashman, R. (ed.) (1997). The A-Z of Australian cricketers, Oxford University Press: Melbourne.
- Pollard, Jack (১৯৮৮)। Australian Cricket: The Game and the Players। Sydney: Angus & Robertson। আইএসবিএন 0-207-15269-1।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রন হামেন্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রন হামেন্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)