রজতকুমার সেন
রজতকুমার সেন (১৯১৩ - ৬ মে, ১৯৩০) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম শহীদ বিপ্লবী। গুপ্ত বিপ্লবী দল 'ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি'র তিনি সদস্য ছিলেন। বিপ্লবী দলের সদস্য হিসেবে ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ৪ দিন পর ২২ এপ্রিল তারিখে সংঘটিত জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে বিজয়ী বাহিনীর অন্যতম ছিলেন। ৬ ই মে পাঁচ সঙ্গীর সাথে চট্টগ্রামে ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমন করতে গিয়ে সতর্কতার বহর দেখে নিজের বাড়ি চলে এলেও পুলিশ তাদের পিছু নেয় ও লেলিয়ে দেয় গ্ৰামবাসীদেরকে , 'তারা আসলে ডাকাত' এই পরিচয় দিয়ে। তাড়া খেয়ে তাঁরা জুলধা গ্ৰামের শরবনে আশ্রয় নেন ও পুলিশের সাথে তাদের খন্ডযুদ্ধ হয়। যখন তাদের বন্দুকের গুলি প্রায় শেষ হয়ে যায়, তখন এই ঘৃণিত শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ না করে আত্মবিসর্জনের পদ্ধতি গ্ৰহণ করেন ও একে অপরকে গুলি করেন। এভাবেই শহিদ হন রজত সেন। স্বদেশ রায়, মনোরঞ্জন সেন ও দেবপ্রসাদ গুপ্তও শহিদ হন। শরবনে আশ্রয় নেওয়ার পূর্বে তাদের দুই সঙ্গী সুবোধ চৌধুরী ও ফণীন্দ্র নন্দী ধরা পড়েন পুলিশের কাছে।[১][২]
রজতকুমার সেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৩ |
মৃত্যু | ৬ মে, ১৯৩০ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
পেশা | স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনারজতকুমার সেনের জন্ম চট্টগ্রামে। তার পিতার নাম রঞ্জনলাল সেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬১৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২৮৬।