যাদবপুর
যাদবপুর দক্ষিণ কলকাতার একটি পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।[১] অঞ্চলটি উত্তরে ঢাকুরিয়া, পশ্চিমে টালিগঞ্জ, পূর্বে সন্তোষপুর এবং দক্ষিণে গড়িয়া অঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই অঞ্চলে মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষেরা বসবাস করেন। এই অঞ্চলের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
যাদবপুর | |
---|---|
কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল | |
সুলেখা মোড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ গেট ৮বি বাস স্ট্যান্ড | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
শহর | কলকাতা |
রেলওয়ে স্টেশন | যাদবপুর |
উচ্চতা | ১১ মিটার (৩৬ ফুট) |
সময় অঞ্চল | ভারত মান সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৭০০০৩২ |
এলাকা কোড | +৯১ ৩৩ ২৪১৫/২৪১৬/২৪৭২ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৭৬ সালে মহেন্দ্রলাল সরকার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে যাদবপুরে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স নামক সাধারণ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২][৩][৪]
১৯০৬ সালে রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক, ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ইত্যাদির দানের টাকায় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্বদেশী উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্তারের জন্য যাদবপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিল।[৫] বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (বিটিআই) প্রথমদিকে মানিকতলায় প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে যাদবপুরে স্থানান্তরিত করে হয়েছিল, যা তখন এক শান্ত শহরতলি এলাকা ছিল। পরে এর নাম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি রাখা হয়েছিল এবং ১৯৫৫ সালে এর নাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছিল।[৬]
১৯৮৪ সালে জানুয়ারিতে লাগু হওয়া কলকাতা পৌর প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৮০-এর ফলে যাদবপুর, দক্ষিণ শহরতলি এবং গার্ডেন রিচ পৌরসভা কলকাতা পৌরসংস্থার অন্তর্গত হয়েছিল, যার ফলে ওয়ার্ড সংখ্যা ১০০ থেকে ১৪১-এ বৃদ্ধি পেয়েছিল।[৭][৮]
সাউথ সিটি
সম্পাদনাসাউথ সিটি হল কলকাতায় নির্মিত ৩১.১৪ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এক বহুতল কমপ্লেক্স। এটি কোলকাতায় যোধপুর পার্ক ও টালিগঞ্জ এলাকার নিকটবর্তী প্রিন্স আনয়ার শাহ রোডের ওপর অবস্থিত। এই বহুতল কমপ্লেক্সটি কোলকাতা শহরের একদম হৃদয়ে অবস্থিত।[৯]
এই বহুতলে আছে বিশাল এলাকা জুড়ে এক আবাসিক কমপ্লেক্স, যেখানে পাওয়া যায় বিনোদনমূলক সুবিধাবাদি, স্কুল, হাসপাতাল, শপিং মল এবং একটি সামাজিক ক্লাব।
এই আবাসিক কমপ্লেক্সে আছে ৫ টি আবাসিক টাওয়ার- ৩৬ তলা বিশিষ্ট ৪ টি আবাসিক টাওয়ার এবং ১৬ তলা বিশিষ্ট ১ টি আবাসিক টাওয়ার। ২০১৩ র হিসেব অনুযায়ী সাউথ সিটি পূর্ব ভারতের বৃহত্তম শপিং মল এবং এই আবাসিক টাওয়ার টি পূর্ব ভারতের উচ্চতম টাওয়ার ঠিক আর্বানা-এর পরেই। সাউথ সিটি আবাসিক কমপ্লেক্সটি ১১৭ মিটার উচ্চ। এর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ টাওয়ারের নামগুলো হল যথাক্রমে ওক, পাইন, ম্যাপেল ও সিডার। কমপ্লেক্সের মধ্যে বৃষ্টির জল ফসল করার ও ব্যবস্থাপনা আছে। ১৭০০ এর কাছাকাছি পরিবার এই আবাসিক কমপ্লেক্সে বসবাস করে।
সাউথ সিটি কোলকাতা শহরে একটি বেশ বড়ো ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে।
সাউথ সিটি স্কুল ভারতীয় স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত এবং সেইসাথে একটি আন্তর্জাতিক বোর্ডের সাথেও যুক্ত।
সাউথ সিটি ক্লাবে কলকাতার সবচেয়ে বড় সুইমিং পুল আছে বলে ভাবা হয়। ক্লাবের সদস্য পদ এই টাওয়ারের বাসিন্দাদের জন্যও করা হয়েছে।তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "যাদবপুর অঞ্চল"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৩।
- ↑ "Indian Association for the Cultivation of Science, Kolkata"। dst.gov.in। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Uma Dasgupta (২০১১)। Science and Modern India: An Institutional History, C. 1784-1947। Pearson Education India। আইএসবিএন 9788131728185।
- ↑ Bernhard Joseph Stern (১৯৭৮)। Science and Society। পৃষ্ঠা 84।
- ↑ চিত্তব্রত পালিত (২০১২)। "জাতীয় শিক্ষা কাউন্সিল ১৯০৬"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Chaudhuri, Sukanta, "Education in Modern Calcutta", in "Calcutta, The Living City" Vol II, Edited by Sukanta Chaudhuri, Pages 203, 205, First published 1990, 2005 edition, আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৩৬৯৭-X
- ↑ "স্মৃতির সরণি বেয়ে"। কলকাতা সম্বন্ধে। কলকাতা পৌরসংস্থা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ "কলকাতার পৌর ইতিহাস"। কলকাতা পৌরসংস্থা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ South City Projects (Kolkata) Limited