গ্লাডিস লুইস স্মিথ (ইংরেজি : Gladys Louise Smith (৮ই এপ্রিল ১৮৯২ - ২৯শে মে ১৯৭৯), যিনি পেশাগতভাবে ম্যারি পিকফোর্ড নামে পরিচিত, হলেন একজন কানাডীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও প্রযোজক। তিনি ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কসের সাথে যৌথভাবে পিকফোর্ড-ফেয়ারব্যাঙ্কস স্টুডিওজ, ফেয়ারব্যাঙ্কস, চার্লি চ্যাপলিনডি ডব্লিউ গ্রিফিথের সাথে যৌথভাবে ইউনাইটেড আর্টিস্ট্‌সের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাৎসরিক একাডেমি পুরস্কার আয়োজনের জন্য প্রতিষ্ঠিত একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ৩৬ জন প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।[]

ম্যারি পিকফোর্ড
Mary Pickford
১৯২১ সালে পিকফোর্ড
জন্ম
গ্ল্যাডিস লুইস স্মিথ

(১৮৯২-০৪-০৮)৮ এপ্রিল ১৮৯২
মৃত্যুমে ২৯, ১৯৭৯(1979-05-29) (বয়স ৮৭)
সমাধিফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল
নাগরিকত্ব
  • কানাডীয়
  • মার্কিন[]
পেশাঅভিনেত্রী, প্রযোজক
কর্মজীবন১৯০৫–১৯৪৯
দাম্পত্য সঙ্গী
সন্তান
পিতা-মাতাজন চার্লস স্মিথ
শার্লত হেনেসি
আত্মীয়লটি পিকফোর্ড (বোন)
জ্যাক পিকফোর্ড (ভাই)

তার কর্মজীবনের শীর্ষে থাকাকালীন তিনি "যুক্তরাষ্ট্রের সুইটহার্ট"[][][] ও "কোকড়ানো চুলের তরুণী"[] নামে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি শুরুর দিকের হলিউড চলচ্চিত্রে কানাডীয় অগ্রদুতদের একজন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। পিকফোর্ড শুরুর দিকের অন্যতম তারকা, যার নিজের নামে ছবি মুক্তি পেত এবং ১৯১০ ও ১৯২০ এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যাকে "চলচ্চিত্রের রাণী" নামে অভিহিত করা হত।

তিনি একাডেমি পুরস্কারের দ্বিতীয় আয়োজনে ককোট (১৯২৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৭৬ সালে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন। মার্কিন চলচ্চিত্রে তার অবদান বিবেচনায় আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট ১৯৯৯ সালে করা ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্র যুগের সেরা নারী তারকা তালিকায় তাকে ২৪তম স্থান প্রদান করে।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা
 
অভিনেত্রী ম্যারি পিকফোর্ড।

ম্যারি পিকফোর্ড ১৮৯২ সালের ৮ই এপ্রিল অন্টারিওর টরন্টোর ২১১ ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম গ্লাডিস লুইস স্মিথ।[] তার পিতা জন চার্লস স্মিথ ছিলেন একজন ইংরেজ মেথডিস্ট ধর্মাবলম্বী অভিবাসী এবং তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। তার মাতা শার্লট হেনেসি ছিলেন আইরিশ ক্যাথলিক বংশোদ্ভূত। পিকফোর্ডের দুই ছোট ভাইবোন ছিল, শার্লট লটি (জ. ১৮৯৩) ও জন "জ্যাক" চার্লস (জ. ১৮৯৬), তারাও অভিনয়শিল্পী ছিলেন। পিকফোর্ডের মাতা তার স্বামী আত্মীয়স্বজনদের খুশি করার জন্য তার সন্তানদের তাদের পিতার ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী মেথডিস্ট হিসেবে অভিসিঞ্চন করান। জন চার্লস মদ্যপ ছিলেন এবং তিনি তার পরিবার ছেড়ে চলে যান ও ১৮৯৮ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি নায়াগ্রা বাষ্পীয়জাহাজে কাজ করাকালীন কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মারা যান।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Photoplay, Volume 18, Issues 2–6। Macfadden Publications। ১৯২০। পৃষ্ঠা 99। 
  2. "অবিচুয়ারি", ভ্যারাইটি, ৩০ মে ১৯৭৯।
  3. বল্ডউইন, ডগলাস; বল্ডউইন, প্যাট্রিশিয়া (২০০০)। The 1930s। উইগল। পৃষ্ঠা ১২। আইএসবিএন 1-896990-64-9 
  4. ফ্লোম, এরিক এল. (২০০৯)। Silent Film Stars on the Stages of Seattle: A History of Performances by Hollywood Notables। ম্যাকফারল্যান্ড। পৃষ্ঠা ২২৬। আইএসবিএন 0-7864-3908-4 
  5. সনেবর্ন, লিজ (২০০২)। A to Z of American Women in the Performing Arts। ইনফোবেজ। পৃষ্ঠা ১৬৬। আইএসবিএন 1-4381-0790-0 
  6. হুইটফিল্ড, এইলিন (১৯৯৭)। Pickford: the Woman Who Made Hollywood। কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৮, ২৫, ২৮, ১১৫, ১২৫, ১২৬, ১৩১, ৩০০, ৩৭৬। আইএসবিএন 0-8131-2045-4 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা