মৌগাতি ইউনিয়ন
মৌগাতি ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। [১][২]
মৌগাতি | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
০১ নং মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে মৌগাতি ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′২৪″ উত্তর ৯০°৪৩′৪৭″ পূর্ব / ২৪.৮৭৩৩৩° উত্তর ৯০.৭২৯৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | নেত্রকোণা জেলা |
উপজেলা | নেত্রকোণা সদর উপজেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৫০ সাল |
আয়তন | |
• মোট | ২৫ বর্গকিমি (১০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১০ মিটার (৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২২,৫৮৩ |
• জনঘনত্ব | ৯০০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৪.০৪% (২০০১ সালের পরিসংখ্যান ) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ২৪০০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাভাষা,ধর্ম ও জাতি
সম্পাদনাভাষা:নেত্রকোনীয়া আঞ্চলিক ভাষা, বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি।
ধর্ম:ইসলাম এবং সনাতন ধর্ম।
জাতি: বাঙালি,হদি এবং চাঁটগাইয়া।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ
সম্পাদনাকলেজ:
- চুঁচুঁয়া পাবলিক কলেজ।
- মারাদিঘি গোলাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ। (প্রস্তাবিত)
উচ্চ বিদ্যালয়:
- মারাদিঘি গোলাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, চুঁচুঁয়া বাজার
- কে.এন.এফ উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চনপুর
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
- টি.খান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,নাটোরকোনা ( টিখুরিয়া )
কিন্ডার গার্টেন
- মেধাসিঁড়ি কিন্ডার গার্টেন, চুঁচুঁয়া বাজার
- প্রতিভা কিন্ডার গার্টেন, চুঁচুঁয়া বাজার
অন্যান্য
- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৯টি
- বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (রেজিঃ): ৬টি
- দাখিল মাদ্রাসা: ১টি
- হাফিজি মাদ্রাসা: ৫টি
ধর্মীয় উপাসনালয়
সম্পাদনামসজিদ: ৬৮টি (আনুমানিক)
মন্দির: ৬টি
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী
সম্পাদনামৌগাতি বাজার সংলগ্ন বাদে সুবুন্দিয়া গ্রামে বেশ কিছু হদি সম্প্রদায়ের পরিবার বসবাস করে। হদি সম্প্রদায় সনাতন ধর্মাবলম্বী (ক্ষত্রিয়) এবং বাঁশ-বেত শিল্পে খুবই দক্ষ। তারা বাঁশ ও বেত দিয়ে খাঁচা,ঝুড়ি,ডাইলা,কুলা,পাইলাম মাছ ধরার বাইড়সহ নানান ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করে চুঁচুঁয়া বাজারে বিক্রি করে এবং জীবিকা নির্বাহ করে।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা(১) চাতল বিল,চুঁচুঁয়া
(২) ভাওয়াল বিল,কাঞ্চনপুর
(৩) শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম
(৪) চাঁন মিয়ার মাজার শরীফ,খাটপুরা
(৫) এস.এস. ডেইরী এন্ড ফিশারিজ,তেলীগাতি-হাপানিয়া
(৬) কংস নদী, পূর্বডহর
খাদ্যাভ্যাস
সম্পাদনাখাদ্যাভ্যাস: এ অঞ্চলে ভাত,মাছ,শুটকি ও সিদল সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। এছাড়াও অন্যান্য বাঙালি খাবারও খাওয়া হয়। যেমন:-
• সিদল ভর্তা
• শুটকি ভর্তা
• কুমড়া পাতায় সিদলের পুলি
• মাছের ঝোল
• শাক-সবজি সহকারে সিদল/শুটকি
পিঠা: চই পিঠা (ম্যারা পিঠা),দামড়া পিঠা,তালের পিঠা,পোয়া পিঠা,চডা পিঠা,কড়কড়ি,পাপড়া ইত্যাদি।
রোদে শুকিয়ে খাদ্য সংরক্ষন: এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের মাছ থেকে শুরু করে গরুর মাংস,আম,বরই,জলপাই,পাটশাক,নিম পাতা ইত্যাদি খাবার রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার রেওয়াজ রয়েছে।
আচার ও সংস্কৃতি
সম্পাদনাএ অঞ্চলে লোকসংস্কৃতি ও বিভিন্ন গ্রামীণ রেওয়াজ পালিত হয়। মুসলিম এবং হিন্দু উভয় ধরনের বিয়েতেই নদী বা পুকুর থেকে কলসী ভরে আমপাতা দিয়ে পানি এনে বর,কনেকে গোসল/স্নান করানো হয় এবং বিয়ের লোকজ গীত গাওয়া হয়।এমনকি খাৎনার অনুষ্ঠানেও এই নিয়ম পালন করা হয়। আনুষ্ঠানিক গোসলে মাথায় ধান ও দূর্বা দিয়ে মঙ্গল কামনা করা হয়। অতিথি আপ্যায়নে চিরায়ত ধারা এখানেও বিদমান।
গৃহ
উৎসব ও অনুষ্ঠান
সম্পাদনাহাট-বাজার
সম্পাদনাচুঁচুঁয়া বাজার হলো মৌগাতী ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
আরো কিছু হাট-বাজার হলো:-
• হাটখলা বাজার
• আসনউড়া বাজার
• মৌগাতী বাজার
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাখেলাধুলা
সম্পাদনালোকজ বিভিন্ন খেলাধুলা (যেমন:-কাবাডি,দাড়িয়াবান্ধা,গোল্লাছুট,কাঠবৌচি,ইত্যাদি) এই অঞ্চলে জনপ্রিয়। আধুনিক খেলাধুলার মধ্যে ফুটবল এবং ক্রিকেট অতি জনপ্রিয়। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচের আয়োজন হয়।
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাবর্তমান চেয়ারম্যান- মোস্তাফিজুর রহমান আবুনি
ক্রমিক | নাম | মেয়াদ |
---|---|---|
০১ | ||
০২ | ||
০৩ | ||
০৪ | ||
০৫ | ||
০৬ | ||
০৭ |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মৌগাতি ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৪ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ "নেত্রকোণা সদর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২০।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |