ড. মো. আবদুল মজিদ বাংলাদেশি মৎস্য গবেষক যিনি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ছিলেন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে গবেষণায় একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেন।[] তিনি জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থায় চার বছর মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।[]

ডক্টর
মো. আবদুল মজিদ
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক
ব্যক্তিগত বিবরণ
পুরস্কারএকুশে পদক (২০২৩)

কর্মজীবন

সম্পাদনা

আবদুল মজিদ ১৫ বছর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই)। তার সম্পৃক্ততায় ও নেতৃত্ব বিপন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছের ৪০টি উন্নত মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। তিনি তেলাপিয়া এবং রুই মাছের পুষ্টি চাহিদা নিরূপণ করেন। তার নেতৃত্বে ইলিশ ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনার আওতায় ২৫ সে.মি. এর নিচে জাটকা ধরা, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা এবং কারেন্ট জালের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি, কাঁকড়া, লোনা টেংরাসহ অন্যান্য মাছের পরিবেশবান্ধব চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। তিনি জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থায় চার বছর মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। দেশের হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য পণ্যের মানোন্নয়নেও অবদান রাখেন।[]

তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারের ফেলো।[]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "একুশে পদক পাচ্ছেন ১৯ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠান"বণিক বার্তা। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩ 
  2. "মাছ বাঁচাতে চাই দূষণমুক্ত পানির মুক্ত জলাশয়: আবদুল মজিদ"somoynews.tv। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৩