মোহাম্মদ রফিক (ক্রিকেটার)

বাংলাদেশী ক্রিকেটার

মোহাম্মদ রফিক (জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি সব ধরনের ক্রিকেট খেলতেন ও টেস্ট ক্রিকেটে তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন। তিনি একজন বাঁ-হাতি স্পিনার ছিলেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি টেস্ট ম্যাচে ১০০ উইকেট লাভ করেছিলেন।

মোহাম্মদ রফিক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মোহাম্মদ রফিক
ডাকনামরফিক
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট আর্ম অর্থডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৭)
৫ এপ্রিল ১৯৯৫ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং৭৭
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০১ঢাকা বিভাগ
২০০০–২০০১সিলেট বিভাগ
২০০৮ঢাকা ওয়ারিয়র্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওয়ানডে এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৩ ১২৫ ৬২ ১৬৪
রানের সংখ্যা ১,০৫৯ ১,১৯১ ১,৭৪৮ ১,৫৫১
ব্যাটিং গড় ১৮.৫৭ ১৩.৩৮ ১৮.০২ ১৩.১৪
১০০/৫০ ১/৪ ০/২ ১/৯ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ১১১ ৭৭ ১১১ ৭৭
বল করেছে ৮,৭৪৪ ৬,৪১৪ ১৬,৩০৪ ৮,৪৩০
উইকেট ১০০ ১২৫ ২৩৭ ১৮৪
বোলিং গড় ৪০.৭৬ ৩৭.৯১ ২৮.০১ ৩১.৮৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৭৭ ৫/৪৭ ৭/৫২ ৫/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭/– ২৮/– ২৩/– ৪৩/–
উৎস: ক্রিকেট আর্কাইফ, ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮

তিনি মাঝে মাঝে ব্যাট হাতে তার দলের জন্য ভূমিকা রাখতেন। যখন বাংলাদেশ দলের দ্রুত রানের প্রয়োজন হত, তখন তাকে ওপেনার হিসেবে পাঠানো হত।

ক্রিকেট বিশ্বে অবদানের জন্য রফিককে বিভিন্নভাবে সম্মানিত করা হয়েছে, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার সিরিজে তিনি বিশ্ব একাদশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং ২০০৭ সালে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে প্রদর্শনী সিরিজে তিনি এশিয়া একাদশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ২০২০-২১ রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে তিনি বাংলাদেশ লেজেন্ডস ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন।

ঘরোয়া খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের ২য় বিভাগ খেলায় বাঁ-হাতি সিমার হিসাবে তিনি খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে, তিনি বাংলাদেশ বিমান ক্রিকেট দলে যোগদান করেন। তারপর পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ওয়াসিম হায়দারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে স্লো অর্থোডক্স স্পিন বোলার হিসাবে তার রূপান্তর ঘটে।[] ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে ২য় সার্ক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নেন, সেখানে ভারতের দলের বিপক্ষে তিনি ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রাখেন।[] তিনি ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি বিজয়ী বাংলাদেশ দলের একজন সদস্য ছিলেন। সব মিলিয়ে তিনি ৯ ম্যাচে ১০.৬৮ গড়ে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তার সেরা ২৫ রানে ৪ উইকেট এসেছিল সেমি-ফাইনালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। তার স্পিন সহযোগী এনামুল হক মনি'র সাথে তিনি টুর্নামেন্টে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন। এছাড়াও কেনিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে তিনি ১৫ বলে মূল্যবান ২৬ রান করেছিলেন। ২০০৮ সালের আগস্টে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগ (আইসিএল) এ নাম লেখানোর কারণে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক রফিক ১৩ জন পেশাদার খেলোয়াড়দের সাথে দশ বছরের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু এক বছর পরে আইসিএল এর সাথে তিনি সম্পর্ক ত্যাগ করেন এবং নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে পুনরায় ফিরে আসেন। তিনি এখনও ঢাকা বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলছেন এবং সম্প্রতি ফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি বিগ বস টি-টুয়েন্টি প্রিমিয়ার লীগ শুরু করেন।

আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় রফিকের। ১৯৯৫ সালের ওয়ানডে অভিষেকেও প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৩ টেস্ট ও ১২৫ ওয়ানডে খেলেছেন রফিক। টেস্টে তার বোলিং গড় ৪০.৭৬ ও ওয়ানডেতে বোলিং গড় ৩৭.৯১ ।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Archived copy"। জুলাই ২৮, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৮, ২০০৮ "Playing for Bangladesh is the best thing that happened to my life" : An interview with Mohammad Rafique (সংগৃহীত ৫ আগস্ট ২০০৮)
  2. "Indian Cricket 1995" (Compiled by P.V. Vaidyanathan), Kasturi & Sons Limited,Madras. Published in December 1995.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা