মোহাম্মদ আলী (বিচারক)

(মোহাম্মদ আলি (বিচারক) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।

মোহাম্মদ আলি
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৬ আগস্ট ১৯৯৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবিচারক

জীবনের প্রথমার্ধ

সম্পাদনা

আলী ১৯৬৯ সালের ১৫ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

আলী ১৬ আগস্ট ১৯৯৪ সালে জেলা আদালতের আইনজীবী হন।[]

আলী ১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[] তিনি ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন আইনজীবী হন।[]

আলী ৩১ মে ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন।[]

২০১৯ সালের আগস্টে, আলী এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সরকারকে প্রোটোকল প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের পরোয়ানা অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।[]

২০২০ সালে ৩০ মে তারিখে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আলীকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।[][]

আলী এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পাঁচ রাজনীতিবিদ আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, একেএম ফজলুল হক মিলন এবং আবুল হোসেন খানকে কারাগারে ডিভিশন স্ট্যাটাসের আদেশ দেন।[]

আলী এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের রায় দেন যে বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং বন্দীদের সেসব সেবা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।[] আলী এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে কেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনোনীত করা হয়নি সে বিষয়ে জানুয়ারিতে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন।[] ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আলী এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ঢাকার বাতাসের গুণমান উন্নত করার ক্ষমতায় সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।[] আলী ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের হজ প্যাকেজ ব্যয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানিতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হজের ব্যয়কে ‘অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেন।[][১০] ভবন ধসে ১১৩৬ জনের প্রাণহানির মামলায় এপ্রিলে আলী ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী রানা প্লাজার মালিককে জামিন দেন।[১১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  2. "Protocol to VIPs: Govt asked to follow warrant of precedence"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  3. Staff Correspondent (২০২০-০৫-৩১)। "18 High Court judges take oath"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  4. "President regularises appointment of 18 additional HC judges"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  5. "Nayapaltan clash: 5 BNP leaders get division in jail"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  6. "People in prisons have rights to health care: HC"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  7. "Why Hafiz not recognised as freedom fighter, HC questions"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  8. "'We are not satisfied with your action'"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  9. "This hajj package inhuman: High Court"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  10. BSS, Dhaka (২০২৩-০৪-০২)। "HC issues rule against hajj package cost"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১ 
  11. "HC grants Rana Plaza owner bail in murder case"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১১