মোস্তফা চরিত
মোস্তফা চরিত বাংলা ভাষায় সিরাতচর্চায় একটি বিশ্বমানের গ্রন্থ।[১][২] ১৯৩২ সালে মোহাম্মাদ আকরম খা এটি রচনা করেন, তবে বর্তমানে বইটি ২০১৪ সালে খোশরোজ কিতাব মহল থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং বইটির ৫ম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।[৩] লেখক দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করে বইটি লিখেছেন, তিনি বইটি ঐতিহাসিক সত্যতা ও কুরআন ও হাদিসের উপর জোর দিয়ে সীরাত গ্রন্থটি রচনা করেন। তিনি প্রতিটা তথ্য নিখুতভাবে বিশ্লেষণ করে তারপরে সংযুক্ত করেছেন।[৪]
লেখক | মোহাম্মদ আকরম খাঁ |
---|---|
দেশ | ব্রিটিশ ভারত, বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | মুহাম্মাদের জীবনচরিত |
ধরন | সীরাতগ্রন্থ |
প্রকাশিত |
|
প্রকাশক | খোশরোজ কিতাব মহল |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৯০৪ |
আইএসবিএন | ৯৮৪৪৩৮১১৬৯ |
বিষয়বস্তু
সম্পাদনামোহাম্মাদ আকরম খা ইসলামের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদকে নিয়ে একটি সীরাত গ্রন্থ লেখার চেষ্টা চালান। তিনি এই বই লেখার সময় ঐতিহাসিক সত্যতার ব্যপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছেন, এবং রাসুলের ব্যপারে যেন কোন মিথ্যা অপলাপ ও অপমান না ছড়িয়ে যায় সেও ব্যপারেও সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। লেখক বইটিতে এমন কিছু গ্রহণ করেননি যেগুলোর ঐতিহাসিক সত্যতা নেই, আবার ইতিহাসে পাওয়া যায় কিন্তু আল কুরআনের বিপরীত তথ্য বা স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক ভুল এমন কিছুই গ্রহণ করেননি।
তিনি বইটিতে উল্লেখ করেছেন, আমাদের সমাজে রাসুল সম্পর্কে আমরা অনেক ঘটনা জানি, কিন্তু সেগুলো মিথ্যায় পরিপূর্ণ, সেগুলোতে বইতে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, যদি কোন হাদিস বুখারী বা মুসলিমে পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিপরীত তাহলে সেগুলো গ্রহণ করা যাবেনা। বরং বুখারী বা মুসলিম শরীফের হাদিস সংগ্রাহক যেভাবে হাদিস পেয়েছে, এতটুকু পরিবর্তন না করে সেভাবেই হাদিস উল্লেখ করেছেন, এটা তাদের আমানতদারীতার চিহ্ন।
মোহাম্মাদ আকরম খা বইয়ের ভূমিকা অংশে উল্লেখ করেন,
“ | সিরাতচর্চায় আমরা শুধু ঐতিহাসিক গ্রন্থ যেমন তাবারি, তাবাকাত, ইবনে হিশাম বা ওয়াকীদির লেখার ওপর নির্ভর করে থাকি। তবে এসব ঐতিহাসিক বর্ণনার সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, এগুলো হাদিস শরীফের মতো শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করা হয়নি। ফলে সিরাতচর্চায় ঐতিহাসিকদের লেখা বিনাবিচারে গ্রহণ করা আমি নিরাপদ মনে করিনা।
তিনি আরো বলেছেন, সীরাতের নির্ভরযোগ্য প্রথম উৎস হলো কোরআন দ্বিতীয় উৎস হলো হাদিস, তৃতীয় উৎস হলো ইতিহাস। তবে দেখা গেছে, সীরাতচর্চায় কিছু কিছু ঐতিহাসিকের বর্ণনা এমনভাবে ঢুকে গেছে যার গ্রহণযোগ্যতা কোরআন-হাদিসের মতোই নিরেট সত্য হিসেবে মুসলমানদের কাছে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠিত কিছু বর্ণনার মাঝে কিছু ব্যপার খাঁটি সত্যের পোশাক পরে মুসলমানদের সামনে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেগুলো কুরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। |
” |
— মওলানা আকরম খা |
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ আখতারুজ্জামান, যুবায়ের বিন (১৯৭০-০১-০১)। "বিশ্বনবীর জীবনী জানতে সহায়তা করবে যে ৭ 'সিরাতগ্রন্থ'"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৫।
- ↑ আহমাদ, নূর। "মওলানা আকরম খাঁর 'মোস্তফা চরিত"। Protidiner Sangbad। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৫।
- ↑ খাঁ, মোহাম্মদ আকরম। মোস্তফা চরিত (৩য় সং সংস্করণ)। ঢাকা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। আইএসবিএন 9844381169।
- ↑ "মোস্তফা চরিত : নির্ভুল সিরাত চর্চায় নির্ভরযোগ্য সংযোজন"। alokitobangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৫।