মোল্লাহাট উপজেলা
মোল্লাহাট উপজেলা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে মোল্লাহাট উপজেলা গঠিত। দুুুইশো বছর আগেও এটি চুনখোলার অন্তর্গত একটি মোকাম ছিল।
মোল্লাহাট | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মোল্লাহাট উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৬′৩৫″ উত্তর ৮৯°৪২′১৬″ পূর্ব / ২২.৯৪৩০৬° উত্তর ৮৯.৭০৪৪৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | বাগেরহাট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৭৮.৮৮ বর্গকিমি (৬৯.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৩০,৮৭৮ |
• জনঘনত্ব | ৭৩০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৯৩৮০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ০১ ৫৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাআয়তন: ১৮৭.৮৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এই উপজেলার উত্তরে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট উপজেলা ও চিতলমারী উপজেলা, পূর্বে চিতলমারী উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা, চুনখোলা ইউনিয়ন ও রূপসা উপজেলা।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- আবুল খায়ের- গাড়ফা- পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সদস্য
- কে. এম আলী আজম- উদয়পুর- সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাইউনিয়ন সমুহ
ইতিহাস
সম্পাদনামোল্লাহাট থানা গঠিত হয় ১৮৬৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ২ জুলাই ১৯৮৩ সালে। তবে (মোল্লাহাট একসময় চুনখোলার অন্তর্গত একটি মোকাম ছিল)।
মোল্লাহাটের উৎপত্তি ও নামকরণঃ মোল্লাহাট উপজেলার নামকরণ সমন্ধে বিশেষ কোন তথ্য নাই। তবে এই উপজেলার নাম কেন মোল্লাহাট হল সেই সমন্ধে এলাকার মুরব্বিদের মুখে যা শোনা যায় তা হল বর্তমানে মোল্লাহাট থানা যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে পূর্বদিকে চুনখোলা ইউনিয়নের শাসনে বনিয়াদী মোল্লাবাড়ি ছিল। যেখানে দক্ষিণ শাসন প্রাইমারী বিদ্যালয়টি অবস্থিত তার নিকটবর্তী কোথাও মোল্লাহাট থানা অবস্থিত ছিল, আবার কারো মতে প্রাইমারী বিদ্যালয়টি থেকে তিন পাইল দুরে অর্থাৎ উদয়পুরে উত্তর পাড়ায় মোল্লা বংশের বেশ খানিক নামকাম ও প্রভাব ছিল সেখানে প্রথম মোল্লাহাট থানা ছিল। মোট কথা এদেশে বৃটিশের আগমনের পূর্বে মোল্লাহাট থানা দুই জায়গায় যে কোন স্থানে অবস্থিত ছিল। বৃটিশ আগমনের পর যখন আঠারো বাকী নদীর স্রোত
কমে গিয়েছিল তখন মধুমতি নদীর তীরে মোল্লাহাট থানাটি অবস্থান করে।
বহুযুগ আগে ভারত উপমহাদেশে বিবাহ বা নিকাহ পড়াতে মৃত ব্যক্তির সৎকার্য সমাধান কল্পে মসজিদ বা ইদগাহে নামাজের ইমামতি কাজে এবং আরো বহুবিদ মুসলিম ধর্মীয় কাজের জন্য মুসলমান সমাজে একটি পরায়ন দল বেসরকারীভাবে সংঘবদ্ধ ছিলেন। তারা হযরত মুহাম্মদ(সং) এর বিধি বিধান অনুযায়ী চলতেন ও অন্যদের চলার বা মানার জন্য সৎ পরামর্শ ও উপদেশ দিতেন এবং মুসলমান সমাজের উন্নতির জন্য অনেক সংস্কারমুলক কাজ করতেন। তা ছাড়া মসজিদ বা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় একাগ্রতা প্রকাশ ও ইসলাম ধর্মীয় বহুবিদ কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতেন। সম্ভবতঃ সেই শ্রেনী ভূক্ত দলটি যুগের গতি পেরিয়ে আধুনিক কালে মোল্লা শ্রেনীভূক্ত সম্প্রদায়ে প্রতিষ্ঠিত। বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ আছে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত । মোল্লা শ্রেনী ভূক্ত ব্যক্তিবর্গ যে সব সময় মসজিদকে কেন্দ্র করে মসজিদ সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকতেন, উল্লিখিত প্রবাদ বাক্যটিই তার যথার্থ প্রমাণ।
সেই মোল্লা বংশের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি যার দাম্ভিকতায় এলাকার বাঘ মহিষ এক ঘাটে পানি পান করত, যার ধন ও ঐশ্বর্যে আঞ্চলিকতার প্রভাব ছিল। যার যশ ও মান অত্র এলাকার পথে প্রাত্মরে ও জনমনে গেঁথে থাকতো, যার হুংকারে সাত গ্রামের লোক ভয়ে থর থর করে কাঁপতো। কথিত আছে সেই প্রভাবশালী ধনবান ও দাম্ভিক ব্যক্তি হাজী মুহাম্মদ তমিজ উদ্দিন মোল্লা নামে খ্যাত। এই তমিজ উদ্দিন মোল্লার বংশধরগণ আজও মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর ও বাশাবাড়ী গ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। সম্ভবতঃ এই মোল্লা বংশেরনাম অনুসারেই অত্র এলাকার নাম করণ হয়েছে‘‘মোল্লাহাট’’। যা আজও কাগজে কলমে মোল্লাহাট নামটি অলিখিত শাসনতন্ত্রের মত মৌজা শুন্য হয়ে পরিচিত।
আজকের এই মোল্লাহাটের ঐতিহাসিক পটভূমি বর্ণনা করতে গিয়ে অতীত ইতিহাসের দিকে ফিরে দু একটি প্রমান্যচিত্র তুলে ধরে অতীত কাহিনী বর্ণনা করে যুক্তি প্রদর্শন করা হলোঃ- মোল্লাহাট নামকরণের কয়েকটি জনশ্রুতি আছে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যেটি মনে হয়...
- আঠারো শতাব্দীর শেষদিকে গাড়ফা গ্রামে একজন ধার্মিক লোক বাস করতেন। তখন ছিল ইংরেজ আমল। তিনি মসজিদে ইমামতি করতেন। তাকে সবাই মোল্লা সাহেব বলে সম্মোধন করতেন। সে সময় গাড়ফা গ্রামে তিনি একটি দোকানঘরের গোড়াপত্তন করেন বলে শেনা যায়। পরবর্তী সময়ে তখনকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় ঐ গ্রামে একটি হাট বসানো হয়। মোল্লা সাহেব মারা যাবার পর সকলের সম্মতিতে ঐ হাটের নাম "মোল্লারহাট" নামকরণ করা হয়। পরবর্তীকালে "মোল্লারহাট" থেকে বিবর্তিত হয়ে "মোল্লাহাট" হয়ে যায়।
আরেকটি মত হলো: উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক সম্ভবতঃ ১৮২০ সালে যশোর জেলার তদানীত্মন কালেক্টর বাহাদুর সি,এস,ভি রোজারী লাল পাগড়ী মাথায় পরে, হাতে ছড়ি ঘুরায়ে লঞ্চযোগে তখনকার ভরা যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে নালুয়া নদী দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ তার চোখে পড়ে একটি বাংলোবাড়ী, আর সেটি ছিল তমিজ উদ্দিন মোল্লার বাংলো, তখন বাহাদুর তার সফর সঙ্গিদের নিয়ে ঐ বাংলোবাড়ীর ঘাটে লঞ্চ ভিড়ান। উক্ত তমিজ উদ্দিন মোল্লার বৈঠকখানায় আলোচনায় বসেন বাহাদুর সি,এস,ভি রোজারী, তখন এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য একটি পুলিশ ফাড়ী করার সিদ্ধান্ত নেন। তখনকার দিনে প্রতিকুল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাগেরহাট হতে ২৬ মাইল দুরে অত্র এলাকা শাসন করা কঠিন ও দুরহ ব্যাপার ছিল। সম্ভবতঃ ১৮৩২ সালে উক্ত পুলিশ ফাড়ীর গুরত্ব দিনদিন বৃদ্ধি পায়। ফলে যোগাযোগ বাসস্থান ও খাদ্য সামগ্রীর অপ্রাচুর্য্য দেখা দেয়। পুলিশ ফাড়ীকে কেন্দ্র করে দোকান পাট ও পন্য সামগ্রীর কেনা বেচার কেন্দ্র গড়ে উঠে। যুগের আবর্তে উক্ত স্থানের গড়ে উঠা বহুল কেন্দ্রটি ‘‘মোল্লাহাট’’ নামে আখ্যায়িত হয়। ক্রমে ক্রমে উক্ত হাটে দোকান পাট ঘরবাড়ী গড়ে উঠে এবং পন্য সামগ্রীর আমদানী ও রপ্তানীর বিস্তার লাভ করে। পুলিশ ফাড়িটি ও কলেবরে বৃদ্দি হয়ে দালান কোঠায় পরিণতি হয়।
নালুয়া নদীর গতি ধারা বন্দ হয়ে যাওয়ার ফলে উক্ত পুলিশ ফাড়ী ‘‘মোল্লাহাট’’ নামক ব্যবসা কেন্দ্রটির গুরত্ব কমতে থাকে যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা দেখা দেয়,পন্য দ্রব্যাদিও পরিবহন ব্যবস্থা কঠিন হয়ে পড়ে। দুর দুরামত্ম হতে আগত হাটুরেদের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে, ফলে উক্ত পুলিশ ফাড়ী এবং সেই কথিত হাটটি স্থানামত্মরের প্রশ্ন দেখা দেয়। ওদিকে মধুমতি নামে নদীর গতিধারা উত্তাল তরঙ্গে বহমান। কালের চক্রে প্রয়োজনের তাগিদে সম্ভবতঃ ১৮৫৭ সালে উল্লিখিত হাজী তমিজ উদ্দিন মোল্লার উঠান হতে পুলিশ ফাড়ীতে ও হাটের দোকান পাট গুটিয়ে যৌবনা লাম্যময়ী খরস্রোতা মধুমতির চরে নতুন ভাবে নতুন হাট গড়ে ওঠে। উল্লেখ্য যে সেই তমিজ উদ্দিন মোল্লার বৈঠকখানার পুলিশ ফাড়ীর দালানকোঠার জরাজীর্ন ধংসাবিশেষ ও হাটের ভগ্নাংশের ইতিচিত্র এখনো কাহালপুরস্থিত মৌজায় বিদ্যমান রয়েছে এবং সেখানকার বাড়ী গুলিকে এখনো অনেকে ‘‘হাট খোলার বাড়ী’’ বলে জানেন। প্রকাশ থাকে যে, বর্তমানের মোল্লাহাট বাজার তথা গাড়ফা হাটকে ভুল করে ‘‘চরেরহাট’’ বলে আখ্যায়িত করেন। তাছাড়া বর্তমানের উপজেলা ভবন, রূপলী ব্যাংক, গাড়ফা প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা ‘‘চরপাড়া’’ বলে আখ্যায়িত। বর্তমানের মোল্লাহাট মধুমতির তীরে অবস্থিত। উলিস্নখিত কথিত কথাতেই তার যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায়।
মোল্লাহাট থানা দপ্তরের নথিপত্রানুযায়ী প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ
যে ১৮৬৭ সালে কাহালপুরস্থিত তমিজ উদ্দিন মোল্লার বৈঠক খানা হতে সাবেক পুলিশ ফাড়িটি স্থানাত্মরিত হয়ে মধুমতির চরে পুলিশ স্টেশন নামে নতুন ভাবে রুপ দেয় ও স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতীতের জরাজীর্ন কংলালসার রূপকে অতল গহবরে ফেলে দিয়ে নবজাত শিশুর ন্যায় মধুমতির তীরে তদানীত্মন জাতীয় পতাকা উড়িয়ে জেংকে বলে এ মোল্লাহাট থানা সদর দপ্তর যা বর্তমানে মোল্লাহাট উপজেলা নামে খ্যাত। সবচেয়ে মজার কথা হল মোল্লাহাট উপজেলার মানচিত্রে মোল্লাহাট নামের কোট মৌজা না থানা সত্বে ও মোল্লাহাট নামের উপজেলাটি বাংলাদেশ মানচিত্র উপজেলা সদরের সারিতে স্থান দখল করে আছে। ১৯৫৯ সালের পূর্বে উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়সরকারের অস্তিত্ব ছিলনা। ১৯৫৯ সালেই প্রথম থানা/ উপজেলা পর্যায়ে থানা কাউন্সিল গঠন করা হয়। কালের ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসন পূনর্গঠন অধ্যাদেশের আওতায় ০২-০৭-১৯৮৩ সালে মোল্লাহাটকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাজনসংখ্যা ১২৬২১৮; পুরুষ ৬৪৭৩১, মহিলা ৬১৪৮৭। মুসলিম ৯৮৯৭০, হিন্দু ২৭১৫১, বৌদ্ধ ৬৭ এবং অন্যান্য ৩০।
উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%) শহর গ্রাম শহর গ্রাম - ৭ ৫৯ ১০২ ১১৭১২ ১১৪৫০৬ ৬৭২ ৫৩.৩ ৪৮.৪ উপজেলা শহর আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%) ৮.৭৯ ৮ ১১৭১২ ১৩৩২ ৫৩.৩ ইউনিয়ন ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%) পুরুষ মহিলা চুনখোলাঃ ২৮ ৫৪১৬ ৮২১৭ ৭৫৬৫ ৭০.৫০ আটজুরি ০৯ ৬৬৯১ ১০৪৬৫ ১০৬৪৭ ৫০.৬২ উদয়পুর ৯৫ ৫৬৬৭ ১১১৭৮ ১০৭৬৬ ৫৩.৭৩ কুলিয়া ৮৫ ৪৩০৯ ৮৮৩৪ ৮২৬৭ ৪৪.৮০ কোদালিয়া ৭৬ ৭৬১৯ ৯৩৯০ ৯০২৩ ৪৭.৪৫ গাওলা ৪৭ ১০১৩৮ ৭৪৫১ ৬৮৩৪ ৬১.১০ গাঙনী ৩৮ ৩৮৩৩ ৯১৯৬ ৮৩৮৫ ৪১.৫২ সূত্র: আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৮.৯%; পুরুষ ৭১.৫%, মহিলা ৬৬.১%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২, মাদ্রাসা ১০।
অর্থনীতি
সম্পাদনাজনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.১৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৮%, শিল্প ০.৮৩%, ব্যবসা ১০.৩৮%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৩.২৪%, চাকরি ৬.৭৭%, নির্মাণ ০.৫৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫৯% এবং অন্যান্য ৫.৪৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৫৮%, ভূমিহীন ৩৫.৪২%। শহরে ৪৫.৬২% এবং গ্রামে ৬৬.৫১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, গম, তিল, পান, ডাল, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলূপ্তপ্রায় ফসলাদি তামাক।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার চিংড়ি ঘের ১০০০০, হাঁস-মুরগি।
শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি, বিড়ি কারখানা, স’ মিল, রাইস মিল।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, বেতের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা, খেজুর পাতার পাটি।
হাটবাজার ও মেলা: হাটবাজার ৩৩, মেলা ৪। চুনখোলা হাট(মোল্লাহাটের ঐতিহ্যবাহী সবথেকে বড় হাট), উদয়পুর গরুর হাট,গাড়ফা হাট,চরকুলিয়া হাট, নগরকান্দি হাট, গাংনী হাট, নাশুয়াখালি হাট, কোদালিয়া হাট ও চাঁদের হাট এবং পদ্মডাঙ্গার কালী পূজার মেলা, ঐতিহ্যবাহী চুনখোলার ফুলগাছা মেলা,উল্লেখযোগ্য। প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পান, আখ, খেজুর গুড়, নারিকেল, সুপারি, কলা, পেঁপে,টমেটো, করলা,চিংড়ী মাছ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মোল্লাহাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাখুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |