মেহেদী আলী ইমাম
মেহেদী আলী ইমাম (১২ জুন ১৯৪৯ - ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।[১]
মেহেদী আলী ইমাম | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১২ জুন ১৯৪৯ |
মৃত্যু | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ | (বয়স ৪৯)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পরিচিতির কারণ | বীর বিক্রম |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনামেহেদী আলী ইমাম ১৯৪৯ সালের ১২ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী গ্রামে। তার বাবার নাম আবু মোহাম্মদ মোদাদ্দের বিল্লাহ এবং মায়ের নাম আনোয়ারা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা বেগম। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।
কর্মজীবন
সম্পাদনামেহেদী ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৭ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমান পাকিস্তান)। তখন তার পদবি ছিল ক্যাপ্টেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে তাকে মেজর পদে উন্নীত করা হয়। তিনি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।[২]
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
সম্পাদনামেহেদী আলী ইমাম জুলাই মাস থেকে মুক্তিবাহিনীর ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি সাব সেক্টরের পটুয়াখালী গেরিলা ঘাঁটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনামৃত্যু
সম্পাদনামেহেদী আলী ইমাম কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জার্মানিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে বনানী কবরস্থনে দাফন করা হয়।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১৮-০৪-২০১২[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ঝাঁপ দিন: ক খ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। "বরিশাল বিভাগের ইতিহাস" (দ্বিতীয় খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।
- ↑ "একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা", দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১৩।