মুহাম্মাদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে আকিল
মুহাম্মাদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে আকিল (আরবি: محمد بن أبی سَعید بن عَقيل) মাত্র সাত বছর বয়সে[১] কারবালার যুদ্ধ-এ শহীদ হয়েছিলেন।
মুহাম্মাদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে আকিল محمد بن أبی سَعید بن عَقیل | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মৃত্যু | মহরররম এর ১০ তারিখ, ৬১ হিজরি / ১০ অক্টোবর, ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ |
মৃত্যুর কারণ | কারবালার যুদ্ধ-এ নিহত |
সমাধিস্থল | ইমাম হুসাইন মাজার, কারবালা, ইরাক |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা | |
যে জন্য পরিচিত | হুসাইন ইবনে আলি-এর একজন সঙ্গী হওয়ার জন্য পরিচিত |
নাম
সম্পাদনাকিছু কিছু শিয়া রিজাল বিশেষজ্ঞরা তার নাম মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন,[৩] এবং অন্য কিছু সূত্রে তার নাম মুহাম্মাদ ইবনে আবু সাঈদ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।[৪] তবে, কিছু গবেষক আবদুল্লাহ ইবনে আকিল-এর কুনিয়া আবু সাঈদ বলে মনে করেছেন এবং মনে করেন যে মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ আসলে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আকিল হতে পারেন।[৫]
কারবালার যুদ্ধে
সম্পাদনাহুসাইন ইবনে আলি-এর শহীদ হওয়ার পর, বালক মুহাম্মাদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে আকিল তাঁবুর বাইরে বেরিয়ে এলেন এবং ভীত ও উদ্ভ্রান্তভাবে চারপাশে তাকালেন। উমর ইবনে সাদ-এর সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক ইবনে আয়াস (নাশির) আল-জুহানি তাকে আক্রমণ করে এক আঘাতে হত্যা করে।[৬] জিয়ারাত শুহাদা-এ তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে এইভাবে:
মুহাম্মাদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে আকিল-এর প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহ তার হত্যাকারী ইবনে নাশির আল-জুহানি-কে অভিশাপ দিন।"[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bayḍūn। Mawsūʿat Karbalā। 1। পৃষ্ঠা 529।
- ↑ Badruddīn, Amir al-Hussein bin (১৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।
- ↑ Ibn Shahrāshūb। Manāqib Āl Abī Ṭālib। 3। পৃষ্ঠা 259।
- ↑ Ibn Ṭāwūs। al-Iqbāl bi-l-aʿmāl al-ḥasana। 3। পৃষ্ঠা 243।
- ↑ Kāshānī। Tadhkirat al-shuhadā। 1। পৃষ্ঠা 154।
- ↑ Samāwī। Ibṣār al-ʿayn। পৃষ্ঠা 91।
- ↑ Ibn Ṭāwūs। al-Iqbāl bi-l-aʿmāl,। 3। পৃষ্ঠা 76।