মুহাম্মদ এনামুল হক

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

মুহম্মদ এনামুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী।[]

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
মুহম্মদ এনামুল হক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ
কাজের মেয়াদ
২০০৮ – ২০১৪
পূর্বসূরীশাহজাহান মিয়া
উত্তরসূরীগোলাম রাব্বানী
প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১ আগস্ট ২০০৯ – ৫ জানুয়ারি ২০১৪
পূর্বসূরীতপন চৌধুরী
উত্তরসূরীনসরুল হামিদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1947-01-01) ১ জানুয়ারি ১৯৪৭ (বয়স ৭৭)
শিবগঞ্জ, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদBangladesh-army-OF-6 ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
ইউনিটইএমই কোর
যুদ্ধবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

প্রথম জীবন

সম্পাদনা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ এনামুল হক ১০ জানুয়ারি ১৯৪৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় শাহবাজপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোজাহার হোসেন এবং মাতা ফেরদৌস মহলের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ। তিনি বিয়ে করেছেন জিনাত এনামকে। তাদের একমাত্র কন্যা আনিকা হক।[]

তিনি তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হুমায়ুন রেজা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৬৮ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেট্রিক্যাল) এ ডিগ্রী অর্জন করেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

মুহম্মদ এনামুল হক ১৩ই জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিলিটারী একাডেমীতে যোগ দিয়ে ইএমই কোরে কমিশন প্রাপ্ত হয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির এডিসি নিযুক্ত হন।[]

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনার অফিসার হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[]

তিনি ১৯৯৩-১৯৯৭ সময়কালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনার অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৫ সালে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[] ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।[] ১ আগস্ট ২০০৯ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Exploration; no export"thedailystar.net। ৯ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. "Constituency 43"parliament.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-২৪ 
  3. "চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৭