মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যাদুঘর

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক একটি জাদুঘর। এটি বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এটি ঢাকার এফ-১১/এ-বি, সিভিক সেক্টর, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘরের উদ্বোধন হয় ১৯৯৬ সালের ২২ শে মার্চ। মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুর্লভ বস্তু আছে এই জাদুঘরে ।

মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত২২ এপ্রিল ১৯৯৬ (1996-04-22)
অবস্থানএফ১১-এ/এফ১১-বি, শেরে-বাংলা নগর , নাগরিক কেন্দ্র , আগারগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৩′৫৫″ উত্তর ৯০°২৪′২৪″ পূর্ব / ২৩.৭৩১৮৬২° উত্তর ৯০.৪০৬৮০০° পূর্ব / 23.731862; 90.406800
সংগ্রহের আকার২১,০০০
ওয়েবসাইটwww.liberationwarmuseumbd.org

ইতিহাস

সম্পাদনা
 
স্থায়ী ভবনে স্থানান্তরের পূর্বে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ সেগুনবাগিচার একটি সাবেকী ভবন ভাড়া নিয়ে যথাযথ সংস্কার শেষে দ্বার উদ্‌ঘাটন হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের এই প্রয়াস গোড়া থেকেই ব্যাপক মানুষের সমর্থন ও সহায়তায় ধন্য হয়েছে। বর্তমানে জাদুঘরের সংগ্রহভাণ্ডারে জমা হয়েছে ১৫,০০০-এরও বেশি স্মারক।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিরপুরে মুসলিম বাজার ও জল্লাদখানা বধ্যভূমি খননের কাজ সম্পন্ন করে এবং পরে (২০০৮ সালে) জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিপীঠ নির্মাণ করে। ‘মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশন’এর অংশীদারত্বে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রদর্শনীর বিশেষ আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের রয়েছে গ্রন্থাগার ও তথ্য ভাণ্ডার এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল সেন্টার।

ভাড়া বাড়িতে জাদুঘরের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় স্থান-স্বল্পতার কারণে সংগৃহীত স্মারকসমূহ যথাযথভাবে প্রদর্শন করা সম্ভব না হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় জাদুঘর ট্রাস্টের অনুকূলে ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়। নভেম্বর ২০০৯-এ উন্মুক্ত স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থাপত্য-নকশা নির্বাচন চূড়ান্ত করে।

২০১১ সালের ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্ভোধন করেন। ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এই ২তলা ভবন।[]

গ্যালারি

সম্পাদনা

প্রায় দুই বিঘা জায়গার ওপর নির্মিত এই ভবনের ব্যবহারযোগ্য আয়তনের পরিমাণ ১ লাখ ৮৫ হাজার বর্গফুট। নতুন ভবনে ছয়টি গ্যালারি রয়েছে। জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান গ্যালারিতে নিদর্শন উপস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। গ্যালারিগুলো ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায়।

প্রথম গ্যালারিতে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত কালপর্বে এই জনপদের প্রতিনিধিত্বমূলক প্রত্ননিদর্শন রয়েছে।

দ্বিতীয় গ্যালারিতে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ঘটনা থেকে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় প্রবাসী সরকার গঠন পর্ব পর্যন্ত রয়েছে। এই গ্যালারিতে শব্দ ও আলোর প্রক্ষেপণের একটি বিশেষ প্রদর্শনী আছে। এতে ২৫ মার্চ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার বর্বরতা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণা, ৪ এপ্রিল কুষ্টিয়ার যুদ্ধ এবং সারা দেশের গণহত্যার নিদর্শন রয়েছে এই গ্যালারিতে। আরো রয়েছে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া বাঙালিদের শরণার্থী হিসেবে ভারতে যাত্রা, সেখানে আশ্রয়, জীবনযাপনের ঘটনাবলি।

চতুর্থ গ্যালারিতে বিভিন্ন পর্যায়ে বাঙালির প্রতিরোধ গড়ে তোলার নিদর্শন রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, গণমানুষের দুরবস্থা, যৌথ বাহিনীর অভিযান, বিভিন্ন অঞ্চলে বিজয়, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ঢাকায় পাকিস্তানি দখলদারদের আত্মসমর্পণ—এই ক্রমানুসারে সাজানো হয় শেষ গ্যালারিটি।

বাছাই করা নিদর্শন গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের পুরো ঘটনা। বাকিগুলো সংরক্ষিত রয়েছে জাদুঘরের আর্কাইভে। ভূগর্ভে রয়েছে তিনটি তলা। ওপরের ছয়টি তলায় অফিস মিলনায়তন, পাঠাগার, গবেষণাকেন্দ্র, ক্যানটিন, প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে। শিখা অনির্বাণ রয়েছে প্রথম তলায়।

জাদুঘরের কর্মকাণ্ড

সম্পাদনা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে যথাযথভাবে উপস্থাপন। এর বিশেষ লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিষয়ে সচেতন করে তোলা, যার ফলে তারা মাতৃভূমির জন্য গর্ব ও দেশাত্ববোধে উদ্দীপ্ত হবে এবং উদার অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হবে।

আউটরিচ কর্মসূচি

সম্পাদনা

ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় শিক্ষার্থীদের পরিবহন যোগে জাদুঘর পরিদর্শনে নিয়ে আসা হয়। তারা ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র দেখে, গ্যালারি পরিদর্শন করে, কুইজ পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সবশেষে আলোচনায় মিলিত হয়। আউটরিচ কর্মসূচির যাত্রা সূচিত হয় ১৯৯৭ সালে। আউটরিচ কর্মসূচিতে এপর্যন্ত অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫০১, শিক্ষার্থী ১,২২,০২১ (ডিসেম্বর ২০১০)।

ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর

সম্পাদনা

একটি বৃহৎ আকারের বাসের অভ্যন্তরে প্রদর্শনী সাজিয়ে একে পরিণত করা হয়েছে খুদে জাদুঘরে। বাংলাদেশ জুড়ে পরিভ্রমণ দ্বারা বাসটি জেলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে। ২০০১ থেকে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর বাসটি বিভিন্ন জেলায় যেতে শুরু করেছে। ২০০৩ সাল থেকে বিশেষভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। এ-পর্যন্ত ৩২টি জেলার ২০৬ উপজেলায় ৬৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩,৫৫,১৬৩ জন ছাত্রছাত্রী প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। (ডিসেম্বর ২০১০) ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি শিক্ষার্থীর কাছে বিশেষ উপস্থাপনা করে থাকে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের তাদের পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে যাঁরা একাত্তরের দিনগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের কোনো একজনের অভিজ্ঞতার বিবরণী শুনে তা নিজ ভাষায় লিখে জাদুঘরে প্রেরণ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ১৬,০০০-এরও বেশি প্রত্যক্ষ্যদর্শী ভাষ্য সংগৃহীত হয়েছে ও তা আরকাইভে সংরক্ষিত হচ্ছে।

জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ

সম্পাদনা

পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের সহযোগী আল বদর, আল শামস দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বহু বধ্যভূমি তৈরি করেছিল। এমনি একটি মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ‘বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ’ গড়ে তুলেছে। একই সাথে এখানে বাংলাদেশের সকল বধ্যভূমি ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গণহত্যার পরিচয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

সম্পাদনা

একাত্তরের ভয়াবহ গণহত্যার বাস্তবতা বিশ্বসমাজের কাছে মেলে ধরা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচার, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আহরণ ও সহায়তা গ্রহণ ইত্যাদি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে আসছে ২০০৮ সাল থেকে। সম্মেলনে প্রণীত সুপারিশমালা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়।

মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব

সম্পাদনা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব আয়োজন করে আসছে। যুদ্ধ, গণহত্যা, মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ক তথ্যচিত্র এতে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

বজলুর রহমান স্মৃতিপদক

সম্পাদনা

প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত বজলুর রহমান ফাউণ্ডেশনের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান চালু করেছে ২০০৮ থেকে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য প্রতিবছর সংবাদপত্রের জন্য একজন এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের জন্য একজনকে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কারের অর্থ-মূল্য এক লক্ষ টাকা।

শান্তি ও সহনশীলতা বিষয়ক এশীয় তরুণদের ক্যাম্প

সম্পাদনা

২০০৬ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সবরমতী গান্ধী আশ্রম, আহমেদাবাদের সহযোগিতায় সেই ঐতিহাসিক স্থানে যুব ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছে। ক্যাম্পে প্রতি বছর বিভিন্ন এশীয় দেশের যুব প্রতিনিধি শান্তি এবং সহনশীলতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। বিগত দুই বৎসর একই ধারায় বাংলাদেশের ৩০ থেকে ৩৫ জন যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে বাংলাদেশে বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বেচ্ছাকর্মী

সম্পাদনা

জাদুঘরের নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘স্বেচ্ছাকর্মী দল’ গঠন করেছে। স্বতঃর্স্ফূত আন্তরিক ও দক্ষ স্বেচ্ছাকর্মীর দল বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনায় সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখছে।

মুক্তির উৎসব

সম্পাদনা

আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ঢাকা নগরীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর বিশালভাবে ‘মুক্তির উৎসব’ আয়োজন করা হয়। এতে বিশিষ্টজনেরা যোগ দেন এবং নিবেদিত হয় চিত্তাকর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। র‌্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে দিনভর অনুষ্ঠান শেষ হয়। মুক্তির উৎসব শুরু হয় ২০০১ সালে, প্রতিবছর এতে অংশ নেয় প্রায় ১৫,০০০ কিশোর-তরুণ বয়েসী ছেলেমেয়েরা।

অন্যান্য অনুষ্ঠান

সম্পাদনা

স্বাধীনতা উৎসব/বিজয় উৎসব/ বইমেলা/ চিত্র প্রদর্শনী/বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎবরণ দিবস/তাজউদ্দীন আহমদ জন্ম দিবস/মিরপুর মুক্ত দিবস/মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ প্রতিষ্ঠা দিবস/শিক্ষক সম্মেলন/ গণঅভ্যুত্থান দিবস/সার্জেন্ট জহুরুল হক দিবস/বিশ্ব মানবাধিকার দিবস/ বিশ্ব জাদুঘর দিবস/বিশ্ব শরণার্থী দিবস/ হিরোশিমা দিবস/বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

সম্পাদনা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আন্তর্জাতিক জাদুঘর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব সাইট্স্ অব কনসান্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব মিউজিয়ামের সদস্য। আইকম-বাংলাদেশের সদস্য।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং কর্মসূচিসমূহের অর্থায়ন

সম্পাদনা

শুরু থেকেই ট্রাস্টিগণ সাধারণ জনগণের নিকট স্মারক সামগ্রী, আর্থিক অনুদান এবং অন্যান্য সাহায্যের জন্য আবেদন করলে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়। যার ফলে সত্যিকার অর্থেই এটি ‘জনগণের জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সক্ষম হয়। ১৯৯৯ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার বার্ষিক থোক অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে অর্থ সাহায্য করেছে।

ট্রাস্ট্রিবৃন্দ

সম্পাদনা
  1. রবিউল হুসাইন: স্থপতি এবং কবি
  2. মফিদুল হক : লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী
  3. আসাদুজ্জামান নূর : সংসদ সদস্য, নাট্যব্যক্তিত্ব ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ
  4. সারা যাকের : নাট্যব্যক্তিত্ব ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ
  5. জিয়াউদ্দীন তারিক আলী : প্রকৌশলী ও সমাজকর্মী
  6. আক্কু চৌধুরী : চিত্রকলা বিশ্লেষক, সংগ্রাহক এবং কর্পোরেট ব্যবস্থাপক
  7. ডা. সারওয়ার আলী : সাবেক বিএমএ মহাসচিব এবং কর্পোরেট ব্যবস্থাপক

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. রহমান, আশীষ উর (৫ নভেম্বর ২০১৭)। "মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: এক অনন্য উদ্যোগ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা