মুক্ত বাংলা (ভাস্কর্য)
মুক্ত বাংলা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরনার্থে বাংলাদেশের একটি অন্যতম ভাস্কর্য।[১][২] এই ভাস্কর্যটি ১৯৯৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশেই নির্মাণ করা হয়।[৩][৪] চিত্রকর রশিদ আহমেদ এই ভাস্কর্যটির নকশা করেছিলেন।[৫][৬] ভাস্কর্যটি ইসলামী স্থাপত্য ও আধুনিক ধারনার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।[৭] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য মুহাম্মাদ ইনাম-উল হক এই ভাস্কর্যটি ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন।[৮][৯]
মুক্ত বাংলা ভাস্কর্য | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
স্থাপত্যশৈলী | ইসলামী ও আধুনিক স্থাপত্য |
অবস্থান | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কুষ্টিয়া জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′২৪″ উত্তর ৮৯°০৯′১২″ পূর্ব / ২৩.৭২৩২৫০৫° উত্তর ৮৯.১৫৩২৯০৩° পূর্ব |
উদ্বোধন | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৬ |
স্বত্বাধিকারী | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | সিরামিক ইট, সাদা, কালো ও মোজাইক পাথর |
তলার সংখ্যা | ৭টি স্তম্ভ |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | রশিদ আহমেদ |
পরিচিতি | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ |
অবস্থান
সম্পাদনামুক্ত বাংলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের উত্তর পাশে অদূরেই অবস্থিত।[৭] ভাস্কর্যটির পশ্চিম পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও দক্ষিণ পাশে শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ ভাস্কর্য মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব অবস্থিত।[১০]
তাৎপর্য
সম্পাদনামুক্ত বাংলার প্রবেশ পথেই রয়েছে বৃত্তাকার কালো রঙের একটি প্লেট।[১১] মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যটির সাতটি স্তম্ভ সংবলিত গম্বুজের ওপর রয়েছে দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার রাইফেল নিয়ে, যা সাত সদস্যের ১৯৭১ সালের অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার প্রতীক। প্রতিটি স্তম্ভ বিস্তৃত প্রসারিত হাত ধরাধরি উল্লাসিত অবয়বে ইসলামী স্থাপত্য ভিত্তিক আর্চে নির্মিত হয়েছে।[১২][১৩]
চোখে লাল সূর্য উদয়ের প্রত্যাশা সর্বনিম্নের বিস্তৃত সিরামিক বড় ইট লাগাতার আন্দোলনের নির্দেশক।[১৪] উপর থেকে চতুর্থ ধাপে লাল সিরামিক ইট আন্দোলন ও যুদ্ধের প্রতীক, দ্বিতীয় ধাপে কালো পাথর শোক ও দুঃখের প্রতীক, তৃতীয় ধাপে সাদা মোজাইক সন্ধি ও যোগাযোগের প্রতীক এবং বেদির মূল মেঝে সবুজ মোজাইক নীল টাইলস শান্তির প্রতীক। আর সম্পূর্ণ অবকাঠামোটি সাতটি আর্চ সংবলিত একটি অর্ধ উদিত সূর্য বুঝানো হয়েছে।[৭][১৫]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের একটি চিত্র
-
মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের উদ্বোধনী স্মারক, ১৯৯৬
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন 'মুক্ত বাংলা '"। Risingbd Online Bangla News Portal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "কুষ্টিয়া জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "মুক্ত বাংলা কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ"। সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৫।
- ↑ "মুক্ত বাংলা"। onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ভাস্কর্যে ভাস্বর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন মুক্ত বাংলা"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ ক খ গ "ইবির ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "ইবির 'মুক্ত বাংলা ' ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়"। Barta24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "campus corner"। campus corner | theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "Mukto Bangla at IU - Eduvista - observerbd.com"। The Daily Observer। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য 'মুক্ত বাংলা ' - Jamuna.News"। jamuna.news। ২০২১-১২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি"। সরকারি ওয়েবসাইট। ১৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অগাস্ট ২০২১।
- ↑ "রচনা : ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ"। www.myallgarbage.com/। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।
- ↑ "মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ইবির 'মুক্ত বাংলা'"। www.bd24live.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩।
- ↑ "নান্দনিক ভাস্কর্য | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২০।