ক্ষেপণাস্ত্র
আধুনিক সমরাস্ত্রে ক্ষেপণাস্ত্র (ইংরেজি: missile) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে স্ব-প্রণোদিত (সেলফ প্রপেলড) সিস্টেম। ক্ষেপণাস্ত্র চারটি অংশ নিয়ে গঠিত: টার্গেটিং অথবা গাইডেন্স, ফ্লাইট সিস্টেম, ইঞ্জিন এবং ওআর হেড। ক্ষেত্রবিশেষে নানারকম কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরিকৃত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যেমন: ভুমি থেকে ভুমি এবং আকাশ থেকে ভুমি, আকাশ থেকে আকাশ, ভুমি থেকে আকাশ অথবা অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র।
নামকরণ এবং ব্যবহার
সম্পাদনাক্ষেপণাস্ত্র শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রিয়াপদ মিটের অর্থাৎ "কিছু পাঠানো" থেকে। সমরাস্ত্রে কোনো কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রক্ষেপন করাকে কয়েকভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়:
- নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছোড়া শক্তিশালী গাইডেড গোলাবারুদকে ক্ষেপণাস্ত্র অথবা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বলে।
- শক্তিশালী কিন্তু গাইডেড নয় এরকম প্রক্ষেপন করা যায় এইরকম গোলাবারুদকে রকেট বলে।
প্রকারভেদ
সম্পাদনাব্যালিস্টিক
সম্পাদনাক্রজ
সম্পাদনাআন্টি শিপ
সম্পাদনাআন্টি ট্যাঙ্ক
সম্পাদনাসারফেস টু এয়ার
সম্পাদনাআন্টি এয়ারক্রাফট
সম্পাদনাআন্টি ব্যালিস্টিক
সম্পাদনাএয়ার টু এয়ার
সম্পাদনাহাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র
সম্পাদনারাশিয়া নতুন এক ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করার দাবি করেছে যার নাম আভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চলে শব্দের চেয়ে বিশগুণ বেশি গতিতে। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি উরাল পর্বতমালা থেকে উৎক্ষেপিত হয়ে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে দূরপ্রাচ্যের কানচাকায় গিয়ে আঘাত হানে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের পর খুব দ্রুত উপরে উঠে আবার দ্রুত নেমে আসে। এরপর আনুভূমিকভাবে বায়ুমন্ডলের মধ্যেই চলতে থাকে এবং চলমান অবস্থাতেও গতিপথ পরিবর্তন করা যায়, যা ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে ভিন্ন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "রাশিয়ার নতুন হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র যেভাবে বদলে দিতে পারে বিশ্বে সামরিক শক্তির ভারসাম্য"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |