মিয়াঁ তুফাইল মোহাম্মদ

মিয়াঁ তুফাইল মোহাম্মদ (উর্দু: میاں طفيل محمد‎‎: এপ্রিল ১৯১৪ - ২৫ জুন ২০০৯) একজন পাকিস্তানি ধর্মীয় নেতা, আইনজীবী, ইসলামি ধর্মতাত্ত্বিক এবং জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান দলের সাবেক মহাসচিব ও আমির ছিলেন।

মিয়াঁ তুফাইল মোহাম্মদ
میاں طفیل محمد
মহাসচিব, জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান
কাজের মেয়াদ মার্চ ১৯৪৪ – ডিসেম্বর ১৯৬৫
আমির, জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান শাখা
কাজের মেয়াদ জানুয়ারী ১৯৬৬ – অক্টোবর ১৯৭২
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	এপ্রিল ১৯১৪ কাপুরথালা, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু	২৫ জুন ২০০৯(2009-06-25) (বয়স ৯৫) লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তার
জাতীয়তা	ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯১৪–১৯৪৭) পাকিস্তানী (১৯৪৭–২০০৯)
রাজনৈতিক দল	জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থী	লাহোর সরকারী কলেজ(বি এ (অনার্স) ডিগ্রি, ফিজিক্স ও গণিত ১৯৩৫) পাঞ্জাব ল কলেজ (এল এল বি ডিগ্রি ১৯৩৭)
জীবিকা	আইনজীবী, ধর্মীয় নেতা

প্রাথমিক ও কর্মজীবন

তিনি ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের কাপুরথালায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লাহোরে শিক্ষা ও কলেজ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি জামায়াতে ইসলামী হিন্দের সক্রিয় সদস্য হন। মাওলানা নঈম সিদ্দিকীর মতো তিনিও আবুল আলা মওদুদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।

গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন

১৯৬৫ সালে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে যে যৌথ বিরোধী দল সংগঠিত হয়, তিনি ছিলেন এর অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা। সম্মিলিত বিরোধী দল জোটের অন্যান্য নেতাদের সাথে মিয়াঁ তুফাইল গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং একটি শক্তিশালী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করতে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তান উভয় দেশ সফর করেন।

বই

মিয়াঁ তুফাইল মোহাম্মদ আবুল আ'লা মওদুদি এবং আমিন আহসান ইসলাহির সাথে নিম্নলিখিত বইগুলি লিখেছেন:

১. কাশফুল মাহজুব: একটি উর্দু তাফসির
২. দাওয়াত-ই-ইসলামি এন্ডস ডিমান্ডস (উর্দু)

তার জীবন ও কর্মের ওপর রচিত হয়েছে বেশ কিছু জীবনী। উল্লেখযোগ্য নিম্নরূপ:

১. মুশাহিদাত (উর্দু)
২. "তুফাইল নামা" (উর্দু)
৩. "তুফাইল কাবিলা" (উর্দু)
৪. "রাহে নিজাত" (উর্দু)

মৃত্যু

৭ জুন ২০০৯-এ তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তিনি পাকিস্তানের লাহোরের শেখ জায়েদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোমায় থাকার পর তিনি ২৫ জুন ২০০৯ এ ৯৫ বছর বয়সে মারা যান। তার উত্তরাধীকারীদের মধ্যে আট কন্যা ও চার পুত্র ছিলেন।

উত্তরাধিকার

জামাতে ইসলামী হিন্দের ৭৫ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একজন হিসাবে তিনি সর্বদা দলীয় ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারও তার পারিবারিক বংশধারার মধ্যে চলমান আছে। তার জামাতা এজাজ চৌধুরী পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পাঞ্জাবের সভাপতি।

আরো দেখুন

• নঈম সিদ্দিকী
• আব্দুল গফুর আহমেদ
• খুরশিদ আহমদ
• মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমাল
• পাকিস্তানের রাজনীতি
• পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের তালিকা