মিনজিরি
মিনজিরি একটি ফুলের নাম। এর অন্যান্য নামের মধ্যে Siamese Senna (সিয়ামিস সেন্না), Siamese cassia(সিয়ামিস ক্যাসিয়া), Seemia(সিমিয়া), Kassod(কাসড) উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক নাম Senna siamea এটি Caesalpiniaceae (Gulmohar family) পরিবারের একটি উদ্ভিদ। বিশ্বে ক্যাশিয়ার অনেক জাত ছড়িয়ে আছে। সে তুলনায় আমাদের দেশে খুব বেশি নেই। যে ক'টি জাত বাংলাদেশে আছে তার মধ্য মিনজিরি তুলনামূলকভাবে দুষ্প্রাপ্য। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে কয়েকটি গাছ আছে। দেখতে অনেকটা কনকচূড়ার মত। ভালো করে লক্ষ্য করলে পার্থক্যটা বুঝা যায়। পাতা ও কান্ডের রং আলাদা, গাছ তুলনামূলক উঁচু এবং ফুলগুলো থাকে অনেক উপরে। ইদানীং সড়ক বিভাগ নতুন নতুন বৃক্ষায়নের ক্ষেত্রে মিনজিরিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
Senna siamea | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
উপপরিবার: | Caesalpinioideae |
গোত্র: | Cassieae |
উপগোত্র: | Cassiinae |
গণ: | Senna |
প্রজাতি: | S. siamea |
দ্বিপদী নাম | |
Senna siamea (Lam.) Irwin et Barneby | |
প্রতিশব্দ | |
|
বিবরণ
সম্পাদনাএটি লম্বায় প্রায় ১৫-২০ মিটার হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস ধরা হয় বার্মা, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়াকে। মাঝারি আকারের, ১২ থেকে ১৪ মিটার উঁচু হয়। চিরসবুজ গাছ। গ্রীষ্ম থেকে শীত পর্যন্ত ফুল হয়। শরতে বেশি হয়। ডালের আগায় হলুদ ফুলের বড় বড় থোকা থাকে। বীজ অনেক। সাধারণত বীজেই চাষ। গাছটি ভঙ্গুর। বৃষ্টি বাতাসে ভেঙ্গে যায়।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://www.theplantlist.org/tpl/record/ild-1117
- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ৩৪,আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭