মিতা বশিষ্ঠ
মিতা বশিষ্ঠ (জন্ম: ২ নভেম্বর ১৯৬৭)[১] একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং থিয়েটার অভিনেত্রী। তিনি ভারতীয় টেলিভিশনে স্পেস সিটি সিগমা, পচপন খাম্বে লাল দিওয়ারেঁ, স্বাভিমান, কাহিনী ঘর ঘর কী এবং কালা টীকার মতো বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একই সাথে তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেছেন।[২]
মিতা বশিষ্ঠ | |
---|---|
জন্ম | [১] | ২ নভেম্বর ১৯৬৭
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮৭–বর্তমান |
পুরস্কার | স্ক্রিন পুরস্কার, বিএফডব্লিউএ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনামিতা বশিষ্ঠ ১৯৬৭ সালের ২রা নভেম্বর তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে ক্যাপ্টেন রাজেশ্বর দত্ত বশিষ্ঠের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এবং মা মীনাক্ষী মেহতা বশিষ্ঠ ছিলেন একজন শিক্ষিকা এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত গায়িকা।
তিনি ১৯৮৭ সালে, দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে স্নাতক[৩] এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। মিতা বেশ কয়েক বছর ধরে (১৯৯০-২০১০) ভারতের প্রধান ডিজাইন, ফিল্ম এবং থিয়েটার ইনস্টিটিউটের অনুষদেও কাজ করেছিলেন; এদের মধ্যে আছে: এনআইএফটি (দিল্লি), এফটিআইআই (পুনে), এনএসডি (দিল্লি) এবং এনআইডি (আহমেদাবাদ)। তিনি যুক্তরাজ্যে (লন্ডন, বার্মিংহাম, লেস্টার) এবং দামেস্কের থিয়েটার কর্মশালাও পরিচালনা করেছেন। তিনি তার থিয়েটার কৌশল ব্যবহার করে ফ্যাশন ডিজাইন, চলচ্চিত্রের নির্দেশনা এবং অভিনয় বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করেন।[৪]
পেশা
সম্পাদনাবশিষ্ঠ তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রচনা ও প্রযোজনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: দ্য নেম অফ এ রিভার, যেটি বিএফআই (লন্ডন), এনএফডিসি (ভারত) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজনায় নির্মিত।
২০০১ সালের জুন মাসে, বশিষ্ঠ মন্ডলা প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি হচ্ছে একটি চারুকলা সহযোগিতা গবেষণা ও শিক্ষাকেন্দ্র। এর লক্ষ্য ছিল শিল্পকলায় নতুন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া, বিভিন্ন কর্মকাণ্ড মঞ্চস্থ করা, সমাজে পরিবেশন শিল্পকর্মকে আলাদা করা (তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার হামলার মুখে এই অপরিহার্য বিষয়টিকে বিবেচনা করেন) এবং শৈল্পিকভাবে সহযোগিতা করা।
মন্ডলার অধীনে তার প্রথম প্রকল্পটি তাঁকে এক অস্বাভাবিক মোড়ে এনে দিয়েছিল। মুম্বইয়ের রিমান্ড হোমে পাচার হওয়া নাবালিকাদের নিয়ে যে একটি থিয়েটারভিত্তিক কর্মশালা করা হয়েছিল, সেখানে নাবালিকাদের স্ব-ক্ষমতায়ন ও পুনর্বাসনতার আড়ালে পুনরায় পাচার করার কাজে চার বছর ধরে তার পূর্ণ-সময় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল (পাচার হওয়া নাবালিকা অর্থাৎ নাগরিক পতিতালয়ের পতিতাবৃত্তি থেকে নাবালিকা মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে)।
মন্ডলার শৈল্পিক পরিচালক হিসাবে তিনি মন্ডলা টিএএম (থিয়েটার আর্টস মডিউল) তৈরি করেছিলেন, এটি পরিবেশন শিল্পকর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি এমন একটি প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, যা পাচার হওয়া নাবালিকাকে মানসিক, শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধিগতভাবে নিরাময় করতে অত্যন্ত সফল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Kolwankar, Gayatri (২৬ এপ্রিল ২০১৬)। "TV actors and their birthday bash pictures"। The Times of India। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Mita Vashisht: My new show Kaala Teeka launches on my birthday 2nd November - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৭।
- ↑ Ferral, Glacxy (২৫ নভেম্বর ২০০৮)। "Mita reveals it all"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-৩০।
- ↑ "For the love of the stage"। The Hindu। ১১ নভেম্বর ২০১২।