মালিক দীনার
মালিক দীনার (আরবি: دينار رضي الله عنه, ইংরেজি: Malik Deenar এছাড়াও Mālik Dīnār) (মৃত্যু: ৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দ)[২] হলেন ইসলামের একজন স্কলার ও সাধক যিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য ভারতে এসেছিলেন।[৩][৪] তিনি ছিলেন পারসিক পণ্ডিত এবং ভ্রমণকারী। তিনি রাজা চেরামান পেরুমালের বিদায়ের পরে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে ভারতে আগত প্রথম পরিচিত মুসলমানদের মধ্যে একজন ছিলেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মালিক দীনার رضي الله عنه | |
---|---|
মুহাম্মাদের শিষ্য (صحابة), ইসলামী ধর্মপ্রচারক, ধর্মতত্ত্ববিদ | |
জন্ম | কূফা, ইরাক[১] |
মৃত্যু | প্রায় ৭৪৮ খৃস্টাব্দ [২] সম্ভবত থালাঙ্গারা, কসরগোদ, কেরল, ভারত |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | ইসলাম |
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান | মালিক দীনার মসজিদ, থালাঙ্গারা, কসরগোদ, কেরল, ভারত |
যার দ্বারা প্রভাবিত | আলী ইবনে তালিব, বসরার হাসান |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনা1.মালিক দীনার বংশ পরম্পরায় সাহাবা পরবর্তী প্রজন্ম অর্থাৎ একজন তাবেঈ ছিলেন|
2.মালেক ইবনে দিনার যার তওবার কাহিনী আপনার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে।
একটি স্বপ্ন মহান দরবেশ মালিক ইবনে দিনার রহঃ কে তাওবার দিকে নিয়ে যায়। তাঁকে তাঁর তাওবার পিছনের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি ছিলাম পুলিশের লোক এবং মদ্যপায়ী। দাসীর গর্ভে জন্ম নেয়া একটি মেয়ে দুই বছর বয়সে মারা যায়। স্বপ্নে তিনি মেয়েকে দেখলেন। তার পর দীর্ঘ স্বপ্ন বৃত্তান্ত। স্বপ্নে মেয়েটি আমার কোলের উপর বসে আমার দাড়িতে হাত বুলিয়ে বললো, ‘আব্বা! যারা মুমিন তাদের জন্য কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তার কারণে হৃদয় বিগলিত হবার সময় আসেনি?’ (সূরা আল-হাদীদ, আয়াত ১৬) আমি কাঁদতে শুরু করলাম। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম সে কোথা থেকে কুরআন শিখলো। সে বললো এখানকার শিশুরা পৃথিবীতে যা জানতো তাঁর চাইতে বেশি জানে। আমি তখন আমার পিছনে আসা সাপটি সম্পর্কে জানতে চাইলাম। সে জানালো, সেটি হলো আমার খারাপ আমল যা আমাকে দোযখে নিয়ে যেত। আমি তখন সেই বুড়ো লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আমার মেয়ে বললো, সে হলো আমার ভালো আমল যা এত দুর্বল যে আমাকে সাপটি থেকে রক্ষা করতে পারলো না। মালিক বলেন, আমি আতংকে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। আমি আমার মদের সব বোতল ভেঙ্গে ফেললাম আর আল্লাহর কাছে তাওবা করলাম। এই হচ্ছে আমার তাওবার কাহিনী।
মালিক দীনারের সমুদ্রযাত্রার পেছনে কারণ
সম্পাদনাইসলাম প্রচার ও প্রসার ছিল তার একমাত্র উদ্দেশ্য। বিশ্বনবী ছ. এর প্রচারিত শান্তির বাণী ভূবনময় ছড়িয়ে দিতেই মালিক বিন দিনার এর এই হিজরত।
চন্দ্র দ্বিখণ্ডন এবং চেরামন পেরুমল
সম্পাদনামৃত্যু
সম্পাদনাযদিও ঐতিহাসিকরা তাঁর মৃত্যুর সঠিক স্থানটি নিয়ে একমত নন, তবুও এটি ব্যাপকভাবে মেনে নেওয়া যায় যে তিনি কাসারগোদে মারা গিয়েছিলেন এবং তাঁর ধ্বংসাবশেষগুলি কাসারগোড়ের থালঙ্গার মালিক দিনার মসজিদে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তাবি'র প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত, মালিককে সুন্নি উত্সগুলিতে একটি নির্ভরযোগ্য ঐতিহ্যবাদী বলা হয়, এবং বলা হয় যে মালিক ইবনে আনাস এবং ইবনে সিরিনের মতো ব্যক্তিত্ত্বের কাছ থেকে সঞ্চারিত হয়েছিল। তিনি কাবুলের পার্সিয়ান দাসের পুত্র যিনি হাসান আল-বাসরির শিষ্য হয়েছিলেন। ৭৪৮-৪৯ খ্রিস্টাব্দে বসরায় মহামারীর ঠিক আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন, বিভিন্ন সূত্রে দ্বারা প্রাপ্ত তাঁর মৃত্যু সন ৭৪৪-৪৫ বা ৭৪৭-৪৮ খ্রিস্টাব্দে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |