মালবিকা কানন
মালবিকা কানন (২৭ ডিসেম্বর ১৯৩০ – ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯) ছিলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী।[১][২]
মালবিকা কানন | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | মালবিকা রায় |
জন্ম | লখনউ, ভারত | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩০
মৃত্যু | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ ভারত | (বয়স ৭৮)
ধরন | ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত |
পেশা | কণ্ঠশিল্পী |
জীবনী
সম্পাদনামালবিকার জন্ম ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর বৃটিশ ভারতের অধুনা উত্তর প্রদেশের লখনউ-এ[১][৩] তাঁর পিতা সঙ্গীতশিল্পী রবীন্দ্রলাল রায় ছিলেন বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডের শিষ্য। মালবিকা ছোটবেলাতেই বেশ কয়েক বছর ধরে পিতার কাছে ধ্রুপদ, ধামার এবং খেয়াল প্রভৃতি গায়কী শৈলীতে অভ্যস্ত হন। এরপর শান্তিদেব ঘোষ এবং সুচিত্রা মিত্রের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিক্ষা লাভ করেন। তিনি পিতার সঙ্গে দেশের নানান স্থানে সঙ্গীত সম্মেলনে উপস্থিত হন। পনের বৎসর বয়সে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে রামকলি রাগের উপর প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরের বৎসরে তিনি মধ্য প্রদেশের তানসেন সংগীত সমারোহের অনুষ্ঠানে প্রথম মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।[১]
মালবিকা যখন শান্তিনিকেতনের ছাত্রী ছিলেন, তখনই প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অরকুট কান্নাভিরামের সঙ্গে আলাপ হয়। সেই আলাপেই তাঁদের বিবাহ হয় ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাসে। সেখানে সানাই বাজিয়েছিলেন আলি আহমেদ হোসেন এবং যুগলবন্দিতে মেতে উঠেছিলেন ভীমসেন জোশী ও পাত্র অরকুট কান্নাভিরাম স্বয়ং।[৪] তারা পরবর্তীতে কিরানা ঘরানার আদলে নতুন এক গায়কী শৈলী প্রস্তুত করেন। কানন মালবিকাকে ঠুমরি শেখান। তিনি ভজন গানে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। বহু রেডিও সঙ্গীত সম্মেলনে তিনি তা পরিবেশন করেন। আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ আকাদেমিতে যেখানে তার স্বামী এ টি কানন কর্মধারের ভূমিকায় ছিলেন, মালবিকা ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাস থেকে প্রশিক্ষক হিসাবে যোগ দেন এবং আকাদেমির বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য হন। মালবিকা কানন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রয়াত হন।[১]
পুরস্কার
সম্পাদনামালবিকা কানন ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে আইটিসি সঙ্গীত রিসার্চ আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন এবং ভারত সরকার ১৯৯৯-২০০০ খ্রিস্টাব্দের সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার প্রদান করে।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Vidushi Malabika Kanan passes away"। ITC Sangeet Research Academy। ১ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ The Illustrated Weekly of India। Times of India। জুলাই ১৯৭৬।
- ↑ Sruti। P.N. Sundaresan। ২০০১।
- ↑ "খেলতে খেলতে খেয়ালে"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৯।