মার্গারেট বি লেয়ার্ড
মার্গারেট ব্রাইডন লেয়ার্ড (১৮৭১ - ২৯শে নভেম্বর ১৯৬৮) নিউ জার্সির মহিলাদের ভোটাধিকার আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন। ১৯২০ সালে রিপাবলিকান হিসেবে নির্বাচিত নিউ জার্সি বিধানসভায় কাজ করা প্রথম দুই নারীর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।
মার্গারেট বি লেয়ার্ড | |
---|---|
জন্ম | 1871 |
মৃত্যু | নভেম্বর ২৯, ১৯৬৮ নেপচুন টাউনশিপ, নিউ জার্সি |
পেশা | নিউ জার্সি আইনসভা ; নার্স |
পরিচিতির কারণ | মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়ার বিষয়ে |
দাম্পত্য সঙ্গী | রেজিনাল্ড এম. লেয়ার্ড |
জীবন
সম্পাদনালেয়ার্ড ১৮৯৫ সালে নিউ জার্সির নিউয়ার্ক শহরের নিউয়ার্ক সিটি হাসপাতাল (বর্তমানে দ্য ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল) থেকে স্নাতক হয়ে একজন নার্স হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি রেজিনাল্ড এম. লেয়ার্ডকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি ছিলেন নিউয়ার্কের একজন ঔষধ বিক্রেতা। তাঁদের দুটি সন্তান ছিল।[১]
লেয়ার্ড সক্রিয়ভাবে মহিলাদের ভোটাধিকার সংগঠনে জড়িত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি উইমেন পলিটিক্যাল ইউনিয়নের উপ সভাপতি, ন্যাশনাল উইমেন ভোটাধিকার অ্যাসোসিয়েশনের নিউয়ার্ক অধ্যায়ের সভাপতি, ন্যাশনাল উইমেনস পার্টির রাজ্য কোষাধ্যক্ষ এবং নিউয়ার্ক উইমেন রিপাবলিকান ক্লাবের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯২০ সালে মহিলাদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে উনবিংশ সংশোধনী গৃহীত হবার জন্য প্রচারণা চালান।[১] [২]
১৯২০ সালে, জেনি সি. ভ্যান নেস এবং লেয়ার্ড এই দুজন মহিলা এসেক্স কাউন্টি রিপাবলিকান দলের হয়ে নিউ জার্সির সাধারণ পরিষদে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এই পরিষদ পরিচালনা করার জন্য বারোজন ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল। লেয়ার্ড ও ভ্যান নেস জিতেছিলেন, এবং প্রথম দুই মহিলা হিসেবে রাজ্যের বিধানসভায় যোগদান করেছিলেন।[৩] [৪] এছাড়াও এই এসেক্স কাউন্টি পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ওয়াল্টার জি আলেকজান্ডার, তিনি প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান হিসেবে বিধানসভায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
লেয়ার্ড বিধানসভায় দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজ্যের কিশোর আদালতের আইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিলেন, এবং রাজ্য সরকার দ্বারা নিযুক্ত মহিলাদের জন্য সমান বেতনের আইন সমর্থন করেছিলেন। বিধানসভার কার্যাবলী শেষ হতে রাত হয়ে যাবার কারণে তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানান।[১]
লেয়ার্ড স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন, তিনি ১৯২৬ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত নিউয়ার্ক উইমেনস রিপাবলিকান ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ৯৭ বছর বয়সে নিউ জার্সির নেপচুনে একটি নার্সিং হোমে মারা যান।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Feldman, Harriet R. and Sandra Lewenson. Nurses in the Political Arena (2000), p. 45.
- ↑ ক খ "Mrs. Laird, 97, First Woman In Jersey Legislature, Dead", The New York Times, December 1, 1968.
- ↑ "Women Candidates", The New York Times, November 21, 1920.
- ↑ Gordon, Felice D. After Winning: The Legacy of the New Jersey Suffragists, 1920-1947 (1986), p. 36.