মার্কো পোলো
মার্কো পোলো (ইতালীয়: Marco Polo) (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১২৫৪-৮ই জানুয়ারি, ১৩২৪) একজন ভেনিসীয় পর্যটক এবং বণিক। পশ্চিমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম সিল্ক রোড পাড়ি দিয়ে চীন দেশে এসে পৌঁছানো লোকজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ইউরোপীয়দের কাছে চীনের তৎকালীন নাম ছিল ক্যাথে। এছাড়া তিনি সর্বপ্রথম ইউরোপীয় হিসেবে মঙ্গোলদের সাম্রাজ্যে পদার্পণকারীদের অন্যতম। সে সময় মঙ্গোল সাম্রাজ্যের (চীন) সম্রাট ছিলেন কুবলাই খান। তার বই “লিভ্রে দেস মারভেলেস দ্যু মন্দে” (অর্থঃ বিস্বয়কর পৃথিবীর বর্ণনা) সমগ্র ইউরোপের কাছে এশিয়া এবং চীনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। মার্কো পোলোর ভ্রমণ সঙ্গী ছিল তার পিতা নিকোলো এবং চাচা মাফেও পোলো ।
মার্কো পোলো | |
---|---|
Marco Polo | |
জন্ম | ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১২৫৪[২] ভেনিস, ভেনিশীয় প্রজাতন্ত্র |
মৃত্যু | ৮ই জানুয়ারি, ১৩২৪ (৬৯ বছর) ভেনিস, ভেনিশীয় প্রজাতন্ত্র |
সমাধি | সান লোরেনজো্র গির্জা 45.2613°N 12.2043°E |
জাতীয়তা | ভেনিশীয় |
পেশা | ব্যবসায়ী, অভিযাত্রী |
পরিচিতির কারণ | মার্কো পোলোর ভ্রমণ |
দাম্পত্য সঙ্গী | দান্তা বাদোর |
সন্তান | ফানতিনা, বেলেলা, এবং মোরতা |
পিতা-মাতা | মাতা: নিকোল আনা দেফুসে পিতা: নিকোলো পোলো |
জীবনকাহিনী
সম্পাদনাজন্ম ও পরিবার
সম্পাদনামার্কো পোলোর সঠিক জন্ম তারিখ ও স্থান সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন জায়গায় কিংবা তথ্য উপাত্যে তার জন্মের যে তারিখ ও স্থান দেওয়া আছে তার প্রায় সবই অনুমানভিত্তিক। বেশিরভাগ ইতিহাসবিদ মনে করেন ইতালির স্যান গিয়োভানি ত্রিসোস্টোমো শহরকেই তার জন্মস্থান হিসেবে ধরে নেওয়া উচিত কারণ তার পার্শবর্তী শহর ভেনিস ছিল তার আপন শহর। আর জন্ম সালের ব্যাপারে অনেকে মনে করেন তিনি ১২৫৪ সালের দিকে জন্মেছিলেন। মার্কো পোলোর বাবা নিকোলো একজন বণিক ছিলেন এবং তিনি মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে ব্যবসা করতেন বেশ ধনসম্পদ অর্জন করেছিলেন। নিকোলো এবং তার ভাই মাফেও মার্কো পোলোর জন্মের আগেই বাণিজ্য যাত্রার রওনা দেন।
১২৬০ সালের দিকে নিকোলো ও মাফেও কন্সটান্টিনোপলে থাকতেন কিন্তু এখানে রাজনৈতীক পরিবর্তনের বাতাস ভারি হচ্ছে টের পেয়ে তারা তাদের সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে জহরত কেনেন এবং এশিয়ার দিকে রওনা দেন। এশিয়ায় পৌছে তাদের মঙ্গোল সম্রাট কুবলাই খানের সাথে দেখা হয়। ইতোমধ্যে মার্কো পোলোর জন্ম হয় এবং তার মা মারা যায়। মার্কো পোলো তার চাচা-চাচীর কাছে বড় হতে থাকেন এবং সেইসাথে বাণিজ্য অর্থনীতি ও বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দীক্ষা লাভ করতে থাকেন।
এশিয়া গমন
সম্পাদনা১২৬৯ সালে নিকোলো ও মাফেও বাড়ি ফেরেন এবং প্রথমবারের মত মার্কো পোলোকে দেখেন। ১২৭১ সালে মার্কো পোলোর যখন প্রায় ১৭ বছর বয়স তখন আরো একবার তার বাবা ও চাচা এবং প্রথমবারের মতো মার্কো পোলো সহ এশিয়ার পথে রওনা দেন এবং ২৪ বছর পর ১২৯৫ সালে ফেরেন ভেনিসে। তারা প্রায় ১৫,০০০ মাইল বা প্রায় ২৪,০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন।
জেনোয়ায় বন্দিদশা
সম্পাদনা১২৯৮ সালে মার্কো পোলো যখন ভেনিসে ফিরলেন তখন ভেনিসের সাথে জেনোয়ার (বর্তমানে ইতালির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি বড় শহর) যুদ্ধ চলছিল। জেনোয়ার এডমিরাল ল্যাম্বা ডি’ওরি ভেনিসিয়ান একটি জাহাজ ক্রোক করে[৩] এবং এর সকল ক্রু ও যাত্রিদের বন্দি করেন। তাদের মধ্যে মার্কো পোলোও ছিলেন। কয়েক মাস ধরে জেলে বন্দি থাকাকালীন আর একজন বন্দি রুস্টচিলো দা পিসাকে তিনি তার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুলে বলেন। পরবর্তীতে রুস্টচিলো দা পিসা মার্কো পোলোর ভ্রমণের অভিজ্ঞতার সাথে তার নিজের এবং চীন সম্পর্কে শোনা অন্যান্য গল্প একত্রিত এবং সংকলিত করে সেই সংকলনের একটি বই বের করেন যার নাম ছিল “দ্যা ট্রাভেলস অফ মার্কো পোলো” এই বইয়ে মার্কো পোলোর এশিয়া হয়ে চীন যাবার গল্প ছিল যা ইউরোপীয়ানদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় এবং এশিয়া ও আরো দূরবর্তী পূর্ব এশিয়া যেমন চীন ও জাপান সম্পর্কে ইউরোপীয়ানদের আগ্রহী করে তোলে।
বিবাহ
সম্পাদনামার্কো পোলো ১২৯৯ সালের আগস্ট মাসে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান এবং ভেনিসে ফিরে যান যেখানকার কন্ট্রাডা সান গিয়োভানি শহরে তার বাবা এবং চাচা বৃহৎ আকারের একটি কোম্পানি কিনে রেখেছিল। তাদের সেই কোম্পানি ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মার্কো পোলোও অনেক বিত্তশালি হয়ে ওঠেন। তিনি এশিয়া এবং চীন অভিমুখে অনেক অভিযান পরিচালনার জন্য অর্থায়ন করেছিলেন কিন্তু নিজে আর কখনো ভেনিস ত্যাগ করেন নি। ১৩০০ সালে ভেনিসিয়ান ব্যবসায়ী ভিতাল বাদোরের মেয়ে দান্তা বাদোরকে বিয়ে করেন।
মৃত্যু
সম্পাদনা১৩২৩ সালে মার্কো পোলো অসুস্থাবস্থায় শয্যাশায়ী হন। শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি তার সম্পত্তি তার স্ত্রী, তিন মেয়ে, চার্চ এবং আরো কিছু ধর্মীয় সঙ্গগঠনের নামে উইল করেন। কিছু অর্থ তিনি সান লরেঞ্জোর উন্নয়নার্থে রাখেন যেখানে তিনি অন্তিম শয্যা গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। মার্কো পোলোর মৃত্যুর সঠিক দিন তারিখ জানা যায় না তবে ধারণা করা হয় যে ১৩২৪ সালের ৮ কিংবা ৯ জানুয়ারীর মধ্যেই কোন এক সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ভ্রমণকাহিনী
সম্পাদনাভ্রমণপথ
সম্পাদনামার্কো পোলোর ভ্রমণ বৃতান্ত বইটি পড়েই ইউরোপের মানুষ চীন, মধ্য এশিয়া সম্পর্কে জানতে পারে। তাদের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন হয়।
মার্কো পোলোর ভ্রমণ শুরু হয় যখন তার বয়স ৬ বছর। তার বাবা নিকোলো পোলো ও মাফেও পোলো বনিক ছিল। তাদের ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল-এ। ব্যবসার কাজে মাঝে মাঝে দূর দেশে যেতে হত। একবার গেলেন ক্রিমিয়ায়। সেখান থেকে বখরায়ে। এখানে তাদের দেখা হল কুবলাই খান এর সেনাদল এর সাথে। সেনা দূত তাদের কুবলাই খান এর দরবার এ আমন্ত্রণ জানাল। কুবলাই খান তাদের ইউরোপ এর রাজনীতি ও নানাবিধ প্রশ্ন করল। দুই ভাইকে বলা হল পোপের কাছ থেকে ১০০ জন পণ্ডিত লোক যারা সাতটি কাজ (গান, ব্যকরন, জ্যমিতি, পাটিগনিত, জ্যোতিবিদ্যা, অলঙ্কার বিদ্যা,-->
লিভ্রে দেস মারভেলেস দ্যু মন্দে
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ The exact source is unknown, but the portrait originated from a 16th century painting in the Gallery of Monsignor Badia in Rome. Inscription: Marcus Polus venetus totius orbis et Indie peregrator primus. It appears in the Nordisk familjebok Berg 1915, পৃ. 1261
- ↑ http://www.biography.com/people/marco-polo-9443861
- ↑ http://www.biography.com/people/marco-polo-9443861?page=3
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- National Geographic Marco Polo: Journey from Venice to China ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে
- In the Footsteps of Marco Polo: A Journey through the Met to the Land of the Great Khan
- কার্লিতে Marco Polo (ইংরেজি)
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে Marco Polo-এর সাহিত্যকর্ম ও রচনাবলী (ইংরেজি)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |