মারগারেট ওকলি ডেহফ
মারগারেট বেল (ওকলি) ডেহফ (১১ই মার্চ, ১৯২৫- ৫ ফেব্রুয়ারি,১৯৮৩) একজন ভৌত রসায়নবিদ এবং জৈব তথ্যবিজ্ঞানের অন্যতম পথপ্রদর্শক। ডেহফ জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকাল সেন্টারের অধ্যক্ষ এবং ন্যাশনাল বায়োমেডিকাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনবিআরএফ)এর গবেষক বায়োকেমিস্ট। এখানেই তিনি জৈবরসায়ন ক্ষেত্রে গাণিতিক ও কম্পিউট্যাশনাল নিয়মের ব্যবহারের সূচনা করেন। তার কর্মজীবন উৎসর্গ করেন জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসায় কম্পিউট্যাশনাল প্রযুক্তির উন্নয়নে। বিশেষ করে, প্রোটিনের উৎপত্তি এবং নিউক্লিক এসিডের ডাটাবেস এবং এর তথ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপনে। তিনি প্রথম সাবস্টিটউশন ম্যাট্রিকস এবং পয়েন্ট এক্সেপ্টেড মিউটেশন, এমিনো এসিডের জন্য এক- বর্ণী কোড নকশা করেন। এতে এমিনো এসিড সিকুয়েন্সে তথ্যের আকার কমে আসে এবং পাঞ্চ-কার্ড কম্পিট্যাশন সময়ে তা অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছিল।
মারগারেট ওকলি ডেহফ | |
---|---|
জন্ম | মারগারেট বেল ওকলি মার্চ ১১, ১৯২৫ ফিলাডেলফিয়া, পেন্সিলভ্যানিয়া |
মৃত্যু | ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩ (বয়স ৫৭) সিলভার স্প্রিং, ম্যারিল্যান্ড |
জাতীয়তা | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পরিচিতির কারণ | সাবস্টিটিউশন ম্যাট্রিকস |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | জর্জ কিম্পবল |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাডেহফ ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে দশ বছর বয়সেই তিনি নিউ ইয়র্কে স্থানান্তরিত হন। ১৯৪২ সালে বে-সাইড উচ্চ বিদ্যালয়ের ভ্যালেডেক্টোরিয়ান হিসেবে বক্তব্য দেন। এখান থেকে বৃত্তি নিয়ে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াশিংটন স্কয়ার কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৫ সালে তিনি ফি বেড়া কাপ্পা হিসেবে নির্বাচিত হন।
গবেষণা
সম্পাদনাডেহফ জর্জ কিম্পবেলের তত্ত্বাবধানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ান্টাম রসায়নে পিএইচডি শুরু করেন। তার থিসিসে তিনি কম্পিউটারের সক্ষমতার নতুন আঙ্গিকে পথপ্রদর্শন করেন। তত্ত্বীয় রসায়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে, পলিসাইক্লিক জৈব মলিকুলের তথ্য ও রিজয়ান্স শক্তি গণনার ক্ষেত্রে পাঞ্চড-কার্ডের ব্যবহার শুরু করেন।তার অসাধারণ অবদানের জন্য তাকে ওয়াটসন কম্পিউটিং ল্যাবরেটরি ফেলোশীপ পুরস্কার পান। এই পদকের অংশ হিসেবে "আইবিএম এর অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক তথ্য প্রসেসিং যন্ত্রাদি" ব্যবহারের অধিকার পান।
পিএইচডি শেষ করে ডেহফ ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রি নিয়ে ডানকান এ. ম্যাকিনেসের তত্ত্বাবিধানে রকফেলার ইন্সটিটিউটে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরিবার সমেত ম্যারিল্যান্ডের যাওয়ার পর ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে গবেষক ফেলো ( ১৯৫৭- ১৯৫৯) হিসেবে নিয়োগ পান। এখানে তিনি রাসায়নিক বন্ধন নিয়ে কাজ করেছেন। ম্যারিল্যান্ডেই তিনি সর্বপ্রথম উচ্চ গতিসম্পন্ন কম্পিউটারের সান্নিধ্যে আসেন। এরপর তিনি ন্যাশনাল বায়োমেডিকাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই পদে তিনি ২১ বছর ধরে আসীণ ছিলেন। এখানেই পদার্থবিজ্ঞানে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন দন্তচিকিৎসক রবার্ট লেডলির সাথে কম্পিটার প্রযুক্তি বায়োমেডিকাল সমস্যার সমাধান ক্ষেত্রে ব্যবহার নিয়ে কাজ করেন।
পরবর্তী জীবন
সম্পাদনাডেহফের প্রণীত 'এটলাস' বড় আকারের ডিএনএ অথবা প্রোটিন সম্পর্কিত বায়োমেডিকাল গবেষণায় উল্লেখযোগ্য টেমপ্লেট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ তাকে পুরস্কার প্রদান করে। যদিও, তিনি লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন বলে অনেকক্ষেত্রেই উল্লেখ করা হয়। বিশেষ করা, তার অবদানে তুলনায় তাকে যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি বললেই চলে। . ডেহফের 'এটলাস' কার্যকরীভাবে সফল হলেও অনেক বিজ্ঞানীই নিজেদের সিকুয়েন্সিং তথ্য অত্যন্ত মূল্যবান এবং জনসাধারনের জন্য প্রকাশ করাকে সমর্থন করেন না।
ডেহফ হৃদরোগ জটিলতায় ৫৭ বছর বয়সে ১৯৮৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি মৃত্যবরণ করেন। ১৯৮৪ সালে তার স্মৃতিতে মারগারেট ও ডেহফ পদকের পত্তন করা হয়। বায়োফিজিক্সের উপর কাজের জন্য সম্মানার্থে এই পদক দেয় হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাSociety, Biophysical। "Society Awards"। www.biophysics.org। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২০, ২০১৬।