মাইনুল হোসেন খান নিখিল
মাইনুল হোসেন খান নিখিল একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১] ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৩]
মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল | |
---|---|
ঢাকা-১৪ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
পূর্বসূরী | আগা খান মিন্টু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৭ জুন ১৯৬৪ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনামোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ১৯৬৪ সালের ২৭শে জুন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান এবং মাতার নাম হামিদা বেগম। তিনি ১৯৭৯ সালে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৮১ সালে নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বগুড়া জেলার সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি ব্যক্তিগত জীবনে মমতাজ বেগম এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর বড় সন্তানের নাম মাসরুর হোসেন খান নাবিল এবং ছোট সন্তানের নাম মুসারাত হোসেন খান নাহিদ।
নাবিল প্রপার্টিজ লিঃ, নাবিল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এবং মিসেস খান ট্রেডার্স নামক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া তিনি চাঁদপুর জেলার নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রী কলেজ এবং খান বাড়ী বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ঢাকার মিরপুরের বায়তুল আমান জামে মসজিদ, দারুল কুরআন এতিমখানা ও মাদ্রাসা, বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, বায়তুল আশরাফ জামে মসজিদ, বায়তুল রব জামে মসজিদ, বায়তুল আহসান জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার উপদেষ্টা। তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, ঢাকা বৃহত্তর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাতাঁর জন্ম চাঁদপুরে হলেও ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে নাম লেখান। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ১৯৮৭ সালে যুবলীগে যোগ দেন তিনি। ১৯৯১ সালে ঢাকা মহানগর অভিবক্ত সাবেক ৯নং ওয়ার্ড (বর্তমানে ১৩নং ওয়ার্ড) যুবলীগের একটি আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। সেই সময় যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ২০০১ সালের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
তার পিতা মো: মোফাজ্জল হোসেন খান ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার সহ-সভাপতি। তিনি একই উপজেলার ৫নং দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। চাচা মো: মনির হোসেন খান ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই মো: মোজাম্মেল হোসেন খান টগর একজন মুক্তিযোদ্ধা। মেজো ভাই মো: মুনসুর হোসেন খান বাবুল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বেলজিয়াম শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছোট ভাই মো: মোতাহার হোসেন খান সুফল মতলব উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। অপর ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো: মোকারম হোসেন খান ওপেল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমান ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট পান। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এই নিখিল?"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "ঢাকা-১৪ আসনে জিতলেন নৌকার নিখিল"। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক। "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৮-০৬)। "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।