মাইক্রোফোন এক ধরনের যন্ত্র, যাকে কথ্য ভাষায় মাইক ও বলা হয়ে থাকে। এটি এক ধরনের সেন্সর হিসেবে কাজ করে, যা শব্দ শক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তর করে। ফলে তারের মাধ্যমে সংবাহন সম্ভব হয়। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অডিও রেকর্ডার, শ্রবণসহায়ক যন্ত্র, মেগাফোন, রেডিও বা টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় ।

বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোফোন

আধুনিক কালের বেশির ভাগ মাইক্রোফোনই তড়িৎ-চুম্বকীয় আবেশ, ক্যাপাসিট্যান্স বা ধারকত্বের পরিবর্তন, পিজোইলেক্ট্রিক ইফেক্ট অথবা বাতাসের চাপের পার্থক্য ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক সিগনাল তৈরী করে।

মাইক্রোফোনের কার্যপদ্ধতি

সম্পাদনা

মাইক্রোফোনের ধাতুর তৈরি একটি পাতলা পাত বা ডায়াফ্রাম থাকে। ডায়াফ্রামের সাথে একটা চলকুণ্ডলী লাগানো থাকে যেটি একটা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ভেতর নড়াচড়া করতে পারে। যখন কেউ এই মাইক্রোফোনের সামনে কথা বলে তখন ডায়াফ্রামটি শব্দ তরঙ্গের কম্পনের সাথে কাঁপতে থাকে। ডায়াফ্রাম সাথে লাগানো চলকুণ্ডলীটিও চৌম্বক ক্ষেত্রের সামনে-পিছনে নড়তে থাকে। চৌম্বক ক্ষেত্রে একটি চলকুণ্ডলী নাড়াচাড়া করলে সেখানে একটি বিদ্যুৎ শক্তির আবেশ হয়, কাজেই মাইক্রোফোনটি শব্দ শক্তিটিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে একটি বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠায়।[]

শব্দের এই বৈদ্যুতিক সংকেত শব্দের নিখুঁত উপস্থাপন হলেও এর মান খুবই কম থাকে, তাই তাকে ব্যবহার করার জন্য অ্যামপ্লিফায়ারে বাড়িয়ে নিতে হয়। []

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. পদার্থবিজ্ঞান , নবম-দশম শ্রেণি। ঢাকা, বাংলাদেশ: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পৃষ্ঠা ৩৭২–৩৭৩ পৃষ্ঠা। 
  2. পদার্থবিজ্ঞান , নবম-দশম শ্রেণি। ঢাকা, বাংলাদেশ: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পৃষ্ঠা ৩৭২–৩৭৩ পৃষ্ঠা।