মহাশ্মশান
মহাশ্মশান বাংলার প্রথম মুসলিম কবি এবং মহাকবি কায়কোবাদ রচিত জাতীয় আখ্যান কাব্যগুলোর মধ্যে সবচাইতে সুপরিচিত একটি মহাকাব্য, যেটা বাংলা ১৩১১ বঙ্গাব্দ, ইংরেজি ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়।[১] যদিও গ্রন্থাকারে প্রকাশ হতে আরো ক'বছর দেরি হয়েছিল। কবি কায়কোবাদের মহাকবি নামের খ্যাতি এই 'মহাশ্মশান' নামের এই কাব্যের জন্যই। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধযজ্ঞ নিয়ে লেখা সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কবির মর্মভেদী এই কাব্যগ্রন্থটির পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় নয়শত।[২]
লেখক | কায়কোবাদ |
---|---|
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ |
ধরন | মহাকাব্য, কাব্যগ্রন্থ |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯০৪ |
খন্ড ও সর্গ
সম্পাদনাকাব্যটি তিন খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে ঊনত্রিশ সর্গ, দ্বিতীয় খণ্ডে চব্বিশ সর্গ এবং তৃতীয় খণ্ডে সাত সর্গ। অর্থাৎ কাব্যটি মোট ষাট সর্গে বিভক্ত।[৩]
বিষয়বস্তু
সম্পাদনাএর উপজীব্য ১৭৬১ সালে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধ ছিল ভারতের উদীয়মান হিন্দুশক্তি মারাঠাদের সঙ্গে মুসলিম শক্তি তথা আহমদ শাহ আবদালীর নেতৃত্বে রোহিলা-অধিপতি নজীবউদ্দৌলার শক্তিপরীক্ষা; যুদ্ধে মুসলমানদের জয় হলেও কবির দৃষ্টিতে তা ছিল উভয়েরই শক্তিক্ষয় ও ধ্বংস; এজন্যই তিনি একে ‘মহাশ্মশান’ বলেছেন। যুদ্ধকাহিনীর মধ্যেই কাব্যটিতে অনেকগুলি প্রণয়বৃত্তান্তও স্থান পেয়েছে।
কাব্যের প্রারম্ভে আছে ‘কবির বীণা ও কল্পনা’ এবং ‘আল্লাহু আকবর’ নামক বন্দনা অংশ। এছাড়াও ইব্রাহিম কার্দ্দি ও জোহরা বেগমের বাল্য জীবনের এক অধ্যায় শীর্ষক একটি সর্গ আছে।[৪]
চরিত্র সমূহ
সম্পাদনাপ্রধান চরিত্রগুলাে
সম্পাদনাঐতিহাসিক চরিত্র
- ইব্রাহিম কার্দি
- জোহরা বেগম
- নজীবদ্দৌলা
- সুজাউদ্দৌলা
- আহমদ শাহ্ আব্দালী
- আতা খাঁ
- দিলীপ
- বশির খাঁ
- রহিম শেখ
- জরিনা বেগম
- হিরণ বালা
কাহিনী
সম্পাদনাসম্মাননা
সম্পাদনাবিশিষ্টজনের প্রসংশা
সম্পাদনাপানিপথের তৃতীয় যুদ্ধযজ্ঞকে রূপায়িত করতে গিয়ে কবি বিশাল কাহিনী,ভয়াবহ সংঘর্ষ, গগনস্পর্শী দম্ভ,এবং মর্মভেদী বেদনাকে নানাভাবে চিত্রিত করেছেন। বিশালতার যে মহিমা রয়েছে তাকেই রূপ দিতে চেয়েছিলেন এই কাব্যে।
- সেদিন কায়কোবাদ এক নির্জিত সমাজের প্রতিনিধি-প্রতিভূ কিংবা মুখপাত্র হিসেবে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
- তাঁর স্বসমাজের লোক পেয়েছিল প্রাণের প্রেরণা ও পথের দিশা। এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলেন বলেই আমরা এই মুহূর্তেও শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি মহাশ্মশানের কবিকে।” [৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মহাশ্মশান - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩১।
- ↑ বিডি, রাইজিং। "মহাশ্মশানের মহাকবি"। https://www.risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩১।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "মহাশ্মশান - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩১।
- ↑ "মহাশ্মশান - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩১।
- ↑ ইউ., আহমেদ, মইন (২০০৯)। শান্তির স্বপ্নে : সময়ের স্মৃতিচারণ। এশিয়া পাবলিকেশন্স। আইএসবিএন 978-984-8723-01-2। ওসিএলসি 317068473।