মহামুদ্রা

বৌদ্ধ দার্শনিক ধারণা

মহামুদ্রা (সংস্কৃত: महामुद्रा, তিব্বতি: ཕྱག་ཆེན་) এর আক্ষরিক অর্থ হলো "মহাসীল" বা "মহাছাপ" এবং এই সত্যকে বোঝায় যে "সমস্ত ঘটনা অনিবার্যভাবে প্রজ্ঞাশূন্যতার অবিচ্ছেদ্য সত্য দ্বারা স্ট্যাম্প করা হয়"।[]  মহামুদ্রা হলো পরবর্তী ভারতীয় বৌদ্ধধর্মতিব্বতি বৌদ্ধধর্মের বহুমুখী পরিভাষা যা "এছাড়াও মাঝে মাঝে হিন্দু এবং পূর্বএশীয় বৌদ্ধ গুপ্ততত্ত্বে দেখা যায়।"[]

মঙ্গোলিয়ান 'ফাগস-পা' লিপিতে মহামুদ্রা (মহাসীল) শব্দের সাথে সিলের নকশা

উপাধিটি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের নব্য স্থানান্তরণ সম্প্রদায়ের সমস্ত অনুশীলনের চূড়ান্ত প্রতিনিধিত্বকারী শিক্ষার অংশকেও বোঝায়, যারা এটাকে তাদের পবিত্র গ্রন্থের সবকটি বার্তা বলে বিশ্বাস করে। মহামুদ্রার অনুশীলনকে "সহজযোগ" বা "সহ-উত্থান যোগ" বলা হয়।[] তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে, বিশেষ করে কগ্যু সম্প্রদায়ে, সহজ মহামুদ্রাকে কখনও কখনও ভিন্ন বৌদ্ধ বাহন (যান), "সহজযান" হিসাবে দেখা হয়, যা আত্ম-মুক্তির বাহন হিসাবেও পরিচিত।[]

জমগন কংট্রুল, তিব্বতি অসাম্প্রদায়িক (রিমে) পণ্ডিত, মহামুদ্রাকে "মন যেমন আছে" উপলব্ধি করার পথ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন যা সমস্ত কগ্যু পথের মূলে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, "সাধারণভাবে, মহামুদ্রা ও এর নীচের সবকিছুই হলো 'মনের পথ'" "মহামুদ্রা ঐতিহ্যগতভাবে মনের স্বয়ং স্বয়ং এবং এটির সঠিক উপলব্ধির সাথে সম্পর্কিত ধ্যান অনুশীলনকে বোঝায়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Duff (2008), pp. vii, ix.
  2. Jackson (2005).
  3. Duff (2008), p. x.
  4. Traleg Kyabgon 2003, পৃ. 7-11।
  5. Namgyal & Lhalungpa (2006), p. xxii.

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা