মহাবস্তু (সংস্কৃত ভাষায় ‘মহৎ ঘটনা’ বা ‘মহৎ উপাখ্যান’) হল আদি বৌদ্ধধর্মের লোকোত্তরবাদী সম্প্রদায়ের একটি ধর্মগ্রন্থ। বইটিতে আছে যে এটি বৌদ্ধদের সন্ন্যাস নিয়ামবলির (“বিনয়”) একটি ঐতিহাসিক মুখবন্ধ। বইটির অর্ধেকেরও বেশি অংশ জাতকঅবদান উপাখ্যানের সংকলন। এগুলি বুদ্ধের পূর্বজন্ম ও অন্যান্য বোধিসত্ত্বদের জীবনকাহিনি।[][]

মহাবস্তু বইটি মিশ্র সংস্কৃত, পালিপ্রাকৃত গদ্য ও পদ্যে লিখিত।[][] মনে করা হয়, বইটি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।[][]

পালি আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থে অনুরূপ উপাখ্যান

সম্পাদনা

মহাবস্তু জাতক কাহিনিগুলি পালি আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলির অনুরূপ। যদিও কাহিনিগুলি একটু আলাদা রকমভাবে বিস্তারিত হয়েছে এই বইতে। মহাবস্তুর অন্যান্য অংশগুলিতে পালি আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলির অনুরূপ কাহিনি আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিঘ নিকায় (দিঘ নিকায় ১৯, মহাগোবিন্দ সুত্ত), মজ্‌ঝিম নিকায় (মজ্‌ঝিম নিকায় ২৬, আইয়াপারিয়েসানা সুত্ত; ও মজ্‌ঝিম নিকায় ৩৬, মহাসাক্কক সুত্ত), খুদ্দকপাঠ, ধম্মপদ (অধ্যায় ৮, সহস্‌স বগ্‌গ; ও অধ্যায় ২৪, ভিক্‌খু বগ্‌গ), সুত্ত নিপাত (সুত্ত নিপাত ১। ৩, খগ্‌গবিসাঙা সুত্ত; সুত্ত নিপাত ৩। ১, পব্বজ্জা সুত্ত; ও সুত্ত নিপাত ৩। ২, পধান সুত্ত), বিমানবত্থুবুদ্ধবংশ[][]

মহাযান বিষয়বস্তু

সম্পাদনা

মহাবস্তু গ্রন্থটিকে “লোকোত্তর” বুদ্ধ ধারণার একটি প্রাথমিক সূত্র মনে করা হয়। এই ধারণা সব মহাসাংঘিকা সম্প্রদায়ে দেখা যায়। মহাবস্তু মতে, অনেক জন্ম পেরিয়ে মানবরূপী বুদ্ধ অনেক ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। যেমন, যৌনসংগম ছাড়াই যন্ত্রণাহীন গর্ভাধান; নিদ্রা, আহার, ঔষধ বা স্নান ছাড়াই জগতে স্বচ্ছন্দে বিহার; এবং কর্মের অবদমন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Law (1930), p. iv.
  2. "Mahāvastu" (2008).
  3. Jones (1949), pp. x–xi.
  4. Law (1930), "Introduction."
  5. Jones (1949), p. xi, writes: ""... the Mahāvastu is not the composition of a single author written in a well-defined period of time. Rather, it is a compilation which may have been begun in the second century B.C., but which was not completed until the third or fourth century A.D."
  6. Regarding the Dhammapada parallels, see Ānandajoti (2007), "Introduction," where Ānandajoti writes:
    Of the incomplete parallels, two chapters from yet another Dharmapada have been preserved in the Mahāvastu, one of the earliest of the Sanskritised Prakrit texts; one of the chapters is named as the Sahasravarga, and appears to be the whole of the chapter; the other is a selection that comes from an unnamed Bhikuvarga.
    From "Ancient Buddhist Texts". See also; ch. 8, "Sahassavagga", and ch. 25, "Bhikkhuvagga"
  7. Williams (1989/2007), pp. 18–19.