মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপন

মহাকাশে মানুষের স্বায়ত্তশাসিত বসতি স্থাপনকে মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপন (ইংরেজি ভাষায়: Space colonization) বলা হচ্ছে। এতোদিন কেবল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর উপাদান হয়ে থাকলেও বর্তমানে বাস্তবতার কাছাকাছি চলে এসেছে নতুন ধরনের এই উপনিবেশিকতা। বেশ ক'টি জাতীয় মহাকাশ সংস্থা পৃথিবীর বাইরে উপনিবেশ স্থাপনকে চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়েছে।

শিল্পীর দৃষ্টিতে একটি মহাকাশ উপনিবেশ

অনেকে মনে করেন পৃথিবীর বাইরে মানুষের প্রথম উপনিবেশ স্থাপিত হবে চাঁদ বা মঙ্গলে। আবার অনেকের মতে, পৃথিবীর কক্ষপথেই এ ধরনের প্রথম উপনিবেশ স্থাপিত হতে পারে। অবশ্য এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, সৌরজগতের ভেতরেই প্রথম উপনিবেশ স্থাপন করবে মানুষ। আশপাশের যে গ্রহ, উপগ্রহ বা গ্রহাণু গুলোতে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়া যায় সেগুলোকেই প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেবে তারা।

২০০৫ সালে নাসা প্রশাসক মাইকেল গ্রিফিন সরাসরি মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপনকে নাসার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে এক ধরনের উপনিবেশ বলা যায়। কিন্তু এই স্টেশন স্বায়ত্তশাসিত নয়। এ কারণেই পরিপূর্ণ উপনিবেশের মর্যাদা পায়নি। তবে গ্রিফিন মনে করেন, সৌরজগতে[] অনেকগুলো উপনিবেশ স্থাপন করে ফেলবে মানুষ, তারপর সৌরজগৎ ছাড়িয়ে অন্য তারার পানে ছুটে যাবে। তিনি এক বক্তৃতায় বলেছেন, অচিরেই পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশে মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "NASA's Griffin: 'Humans Will Colonize the Solar System'"। Washington Post। সেপ্টেম্বর ২৫, ২০০৫। পৃষ্ঠা B07।