মনোজ প্রভাকর

ভারতীয় ক্রিকেটার

মনোজ প্রভাকর (গুজরাটি: મનોજ પ્રભાકર; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯৬৩) ভারতের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। পাশাপাশি নিচের সারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করলেও ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত মাঝে-মধ্যেই ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন।

মনোজ প্রভাকর
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯ ১৩০
রানের সংখ্যা ১৬০০ ১৮৫৮
ব্যাটিং গড় ৩২.৬৫ ২৪.১২
১০০/৫০ ১/৯ ২/১১
সর্বোচ্চ রান ১২০ ১০৬
বল করেছে ৭৪৭৫ ৬৩৬০
উইকেট ৯৬ ১৫৭
বোলিং গড় ৩৭.৩০ ২৮.৮৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৬/৯২ ৫/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২০/০ ২৭/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৯৬ টেস্ট উইকেট ও ১৫৭টি ওডিআই উইকেটসহ দিল্লির পক্ষে ৩৮৫টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান।

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

প্রভাকর নিয়মিতভাবে একই খেলায় ব্যাটিং ও বোলিং উদ্বোধন করতেন যা খুব কমসংখ্যক খেলোয়াড়দেরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখা যায়। তন্মধ্যে, ৪৫বার ওডিআইয়ে এবং ২০বার টেস্টে করেছেন যা যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় বেশি।[][]

৩২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ অংশ নিয়েছেন। ঐ খেলায় সনাথ জয়াসুরিয়া’র ব্যাটিং তাণ্ডবে তার বল ব্যাপকভাবে নাস্তানুবাদ হতে হয়। ফলশ্রুতিতে শেষ দুই ওভার তাকে অফ-স্পিন বোলিং করতে হয়েছিল।[] উত্তেজিত দর্শক কর্তৃক মাঠে তাকে ধিক্কার জানাতে থাকে।

বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য তাকে ভারত দলের সদস্য মনোনীত করা হয়নি। জনগণের কাছ থেকে সমালোচনার পর তৎকালীন অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড কর্তৃক সমালোচিত হন। আজহারউদ্দীনকে পাতানো খেলায় সম্পৃক্ততার জন্য দোষী করা হয়। ১৯৯৯ সালে তেহেলকায় পাতানো খেলায় অংশগ্রহণের অভিযোগ আসলে তিনি দোষ স্বীকার করেন ও বিসিসিআই তাকে ক্রিকেটে অংশগ্রহণ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।[]

অবসর পরবর্তীকাল

সম্পাদনা

ক্রিকেট থেকে চলে আসার পর কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন ও ২০০৪ সালের ভারতীয় সংসদ নির্বাচনে দিল্লি আসনে পরাজিত হন। এরপর জাতীয় ক্রিকেটে বোলিং কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন। রাজস্থান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে দিল্লি ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ মনোনীত হন।[] কিন্তু, দলীয় ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণহীনতার বিষয়ে খেলোয়াড় ও নির্বাচকমণ্ডলীর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে অভিযোগ করলে ২০১১ সালে কোচিংয়ের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়।[][]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। জান তেরে নাম ও কমল হাসানের কালাইগনান চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ফারহীনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বর্তমানে তারা দিল্লিতে বসবাস করছেন। তাদের সংসারে রাহিল ও মানাভাংশ নামের দুই সন্তান রয়েছে। প্রভাকরের বাবা ও প্রথমা স্ত্রী সন্ধ্যা’র সন্তান ২৫ বছর বয়সী রোহন তার স্ত্রীসহ একত্রে রয়েছেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Only instances in the first and second innings are included. Records / Test matches / All-round records / Opening the batting and bowling in the same match – ESPNcricinfo. Retrieved 3 March 2015.
  2. Records / One-Day Internationals / All-round records / Opening the batting and bowling in the same match – ESPNcricinfo. Retrieved 3 March 2015.
  3. "'Sanath changed the face of ODIs'"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৪ 
  4. CricInfo report
  5. Prabhakar tipped to become Delhi coach
  6. http://www.espncricinfo.com/india/content/story/538927.html
  7. Devadyuti Das (২ নভেম্বর ২০১১)। "Manoj Prabhakar sacked as Delhi coach"। ২৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  8. Roshmila Bhattacharya (১৯ মার্চ ২০১৪)। "I turned down Baazigar opposite Shah Rukh"। timesofindia। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৪ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা