মধেশী জাতি
মধেশী বা মধেসি (নেপালি: मधेशी) জাতি নেপালের দক্ষিণভাগে ও বিহারের উত্তরাংশের সমতলে বসবাসকারি মানুষদেরকে বলাহয়। ভারত ও নেপালের যে অংশে মধেশী জাতি বাসকরে একত্রে সেই অঞ্চলকে মধেশ বলাহয়। মধেশ শব্দটি মধ্যদেশ শব্দের অপভ্রংশ রূপ; এবং মধেশ শব্দটি থেকেই মধেশী শব্দটির উৎপত্তি।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৬.১২ মিলিয়ন (জনগণনা ২০১১) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
নেপাল | ৬.১ মিলিয়ন[১][২] |
ভারত | ২৩০০০ |
ভাষা | |
মৈথিলী, ভোজপুরি, রাজবংশী, অবাধী[৩] | |
ধর্ম | |
হিন্দু, ইসলাম, খৃষ্টান |
নেপাল ও বিহারের মধেশীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বা শারিরিক গঠনগত কনো তফাৎ নেই (যেমন:- ভারত ও বাংলাদেশের বাঙালি)।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রাচীনকালে অবাধ ও মিথিলা আলাদা-আলাদা রাজ্য ছিলো। কিন্তু ১৭০০ শতাব্দীতে নেপালের রাজা নেপালের ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিকে একত্রীকরণ শুরু করেন। এভাবে ছোটো রাজ্যগুলি জয় করার সাথেসাথে অবাধ ও মিথিলা রাজ্যের কিছু অংশও কব্জা করেন। তারপর ভারতে ইংরেজ শাসন শুরু হলে ইংরেজরা অন্য রাজ্যের সাথে অবাধ ও মিথিলা রাজ্যেও তারা দখল করে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভকরে, ও ইংরেজদের দখলকৃত অবাধ ও মিথিলা ভারতের হয় এবং নেপালদ্বার জয়কৃত অংশ নেপালেই থেকেযায়। এভাবে মধেশীরার নেপাল ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে আলাদা হয়ে বসবাস করছে।
ভাষা ও সাংস্কৃতি
সম্পাদনামধেশী জাতির লোকেরা সাধারণত বিহারে উত্তরাংশে প্রচলিত ভাষায় কথা বলে অর্থাৎ মৈথিলী, ভোজপুরি, ও অবাধী এছাড়া যারা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত তরাই অঞ্চলে বাসকরে তারা বাংলার উপভাষা রাজবংশী ভাষাতেও কথা বলে।
মধেশী আন্দোলন
সম্পাদনানভেম্বর ২০১৫ সালে নেপালে সম্পূর্ণভাবে সেদেশের সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তিত সংবিধানের আগের সংবিধানে মধেশীদের যে অধিকার ছিলো পরিবর্তিত সংবিধানে তা আরো কম করা হলে নেপালের মধেশীরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলোনের কারণে ভারত সরকার ও নেপাল সরকারের মধুর সম্পর্কেও ফাটল ধরে। এই আন্দোলনে অন্তত পঞ্চাশজন লোক মারাগেছেন পুলিশের গুলিতে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "National Population and Housing Census 2011[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "National Population and Housing Census 2011"। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১১।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৫।