মক্কি জামে মসজিদ
জাহেদনের গ্র্যান্ড মক্কি মসজিদ (ফার্সি: مسجد جامع مکی زاهدان) হলো ইরানের বৃহত্তম সুন্নি মসজিদ। এটি সিস্তান ও বালুচেস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
মক্কার জামে মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি |
প্রদেশ | সিস্তান ও বালুচেস্তান |
নেতৃত্ব | মৌলভী আবদুল হামিদ |
অবস্থান | |
পৌরসভা | জহেদন |
দেশ | ইরান |
স্থানাঙ্ক | ২৯°২৯′১৯.৮″ উত্তর ৬০°৫১′১৪.৪″ পূর্ব / ২৯.৪৮৮৮৩৩° উত্তর ৬০.৮৫৪০০০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | অটোমান স্থাপত্য[১] |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯৭১ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৬০,০০০+ |
অভ্যন্তরীণ | ৩৩,০০০ মি২[২] |
গম্বুজসমূহ | ৫২[২] |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ৪৬ মি[২] |
মিনার | ৪[২] |
মিনারের উচ্চতা | ৯২ মি[২] |
স্থানের এলাকা | ৫০,০০০২+[৩] |
ইতিহাস
সম্পাদনামসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাওলানা আবদ-আল আজিজ মোল্লাজাদা। তিনি ১৯৮৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন কিন্তু তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, ইরানের সিস্তন-বেলুচিস্তনে বালুচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নি ধর্মীয় কর্তৃত্ব ছিলো তার হাতে। মক্কার মসজিদটি জামিয়াত দারুল উলূম সেমিনারের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা মক্কার মসজিদের পাশেই অবস্থিত। এই দারুল উলূম দেওবন্দী স্কুলের একটি অংশ।[৩]
জহেদনের দারুল উলূম হলো পূর্ব ইরানে বসবাসকারী সুন্নি বালুচদের কেন্দ্রস্থল। ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটি সেই অঞ্চলের হাজার হাজার মসজিদ, ১২০ টি দেওবন্দী মাদ্রাসা এবং প্রায় সত্তরটি মাদ্রাসার সংযোগকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় চল্লিশটি জহেদানভিত্তিক দারুল উলূমের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে ছিল।[৪]
বহু বছর এই ধরে মসজিদটি প্রচুর সংখ্যক উপাসকের ভিড়ে উপচে পড়েছিল এবং মসজিদের অভ্যন্তরে প্রত্যেকের জন্য নামাজ পড়তে পারার জন্য জায়গাটি অপ্রতুল ছিল। প্রায়শই মসজিদের আশেপাশের রাস্তায় নামাজ পড়তে হত। এজন্য একটি সম্প্রসারণ প্রকল্প শুরু করা হয়, যা সমাপ্ত হওয়ার পর এই মক্কি মসজিদটিকে ইরানের বৃহত্তম সুন্নি মসজিদে পরিণত করে।[৫] ২০১০ সালে, দুটি মিনার সহ পুরানো মসজিদ ভবনটি ভেঙে মসজিদটির চারটি মিনার স্থাপনের জন্য নতুন ৫০,০০০ বর্গমিটারবিশিষ্ট জায়গা তৈরি করা হয়েছিল।[৩]
মক্কার মসজিদে বার্ষিক সমাবেশ এবং সম্মেলনগুলি ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশ থেকে দেওবন্দী এবং অন্যান্য সুন্নি পণ্ডিতদের আকৃষ্ট করে থাকে। এই সমাবেশ এবং সম্মেলনে প্রায়শই করাচির দারুল উলুমের রাষ্ট্রপতি এবং তাবলিগী জামায়াতের সাথে যুক্ত বক্তাদের মতো বিশিষ্ট দেওবন্দী বক্তারা উপস্থিত থাকেন।[৬]
নেতৃত্ব
সম্পাদনামক্কার মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মাওলানা আবদ-আল-আজিজ মোল্লাজাদা (১৯১৬–১৯৮৭)। তিনি একজন সুপরিচিত দেওবন্দী আলেম ছিলেন। তিনি সিস্তন-বেলুচিস্তনে দেওবন্দী চিন্তার প্রচারের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন। তাঁর প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং বালুচ মানুষের ধর্মীয় কর্তৃত্ব হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং এর পরে, তাঁর ধর্মীয় কর্তৃত্ব ইরানের সমস্ত সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।[৬]
১৯৮৭ সালে আবদ-আল-আজিজ মোল্লাজাদার মৃত্যুর পরে, তার পুত্র মওলভী আবদুল হামিদ দারুল উলূমের লাগাম নেন এবং জহেদানের শেখ উল-ইসলাম উপাধিতে ভূষিত হন।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Zahedan, a city rich in potentials", Islamic Republic News Agency, ২৫ অক্টোবর ২০১৫, 81811265, সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Zahedan, a city rich in potentials", Iranian Students' News Agency, ৩ মে ২০১৭, 81811265, সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭
- ↑ ক খ গ Grand Makki Mosque of Zahedan, Published 5 April 2010; http://sunnionline.us/english/2010/04/makki-mosque-capacity-and-its-location
- ↑ Audun Kolstad Wiig, Islamist opposition in the Islamic Republic. Jundullah and the spread of extremist Deobandism in Iran, Norwegian Defence Research Establishment (FFI), 2 July 2009; https://www.ffi.no/no/Rapporter/09-01265.pdf
- ↑ Guido Steinberg, German Jihad: On the Internationalization of Islamist Terrorism, (New York 2013) pages 67-68
- ↑ ক খ Audun Kolstad Wiig, Islamist opposition in the Islamic Republic. Jundullah and the spread of extremist Deobandism in Iran, Norwegian Defence Research Establishment (FFI), 2 July 2009, page 22; https://www.ffi.no/no/Rapporter/09-01265.pdf