ভাইমার প্রজাতন্ত্র
ভাইমার প্রজাতন্ত্র ১৯১৯ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত যে জার্মান রাজ্য বিদ্যমান ছিল তার ডাকনাম। ইতিহাসবিদরা এই নামটি রেখেছিলেন ঐতিহাসিক শহর ভাইমার-এর নামানুসারে। এই শহরেই জার্মানির নতুন সংবিধান রচিত হয় এবং এটি কার্যকর করার জন্য এক বিশাল জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পতনের পর ঐতিহাসিক জার্মান রাইখ-এর জন্য নতুন সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৯১৯ সালের ১১ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হয় ।
জার্মান রাইখ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯১৯–১৯৩৩ | |||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: Das Lied der Deutschen | |||||||||
ভাইমার প্রজাতন্ত্রের সময় জার্মানি, স্বাধীন প্রুশিয়া রাজ্য ছিল বৃহত্তম প্রদেশ। | |||||||||
রাজধানী | বার্লিন | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | জার্মান | ||||||||
সরকার | প্রজাতন্ত্র | ||||||||
রাষ্ট্রপতি | |||||||||
• ১৯১৮-১৯২৫ | ফ্রিদরিখ এবের্ত | ||||||||
• ১৯২৫-১৯৩৩ | পল ভন হিন্ডেনবার্গ | ||||||||
চ্যান্সেলর | |||||||||
• ১৯১৯ | Philipp Scheidemann(প্রথম) | ||||||||
• ১৯৩৩ | Kurt von Schleicher (শেষ) | ||||||||
আইন-সভা | রাইখস্টাগ | ||||||||
• স্টেট কাউন্সিল | রাইখস্ট্রাট | ||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | যুদ্ধকালীন সময় | ||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ৯ নভেম্বর, ১৯১৮ ১৯১৯ | ||||||||
• হিটলারের অধিষ্ঠান | ৩০ জানুয়ারি ১৯৩৩ | ||||||||
২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৩ | |||||||||
• আইন বলবৎকরণ | ২৩ মার্চ, ১৯৩৩ ১৯৩৩ | ||||||||
আয়তন | |||||||||
১৯২৫ | ৪,৬৮,৭৮৭ বর্গকিলোমিটার (১,৮১,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯২৫ | 62411000 | ||||||||
মুদ্রা | পাপিয়েরমার্ক (১৯১৯-১৯২৩) রাইখ্সমার্ক (১৯২৪-১৯৩৩) | ||||||||
|
ভাইমার প্রজাতন্ত্রের নামকরণ:-প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরাজয়ের পর জার্মান সম্রাট কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম হল্যান্ডের পলায়ন করলে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক দল জার্মানিতে একটি প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে এই প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন জার্মানির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক নেতা ফেডারিক এবারড। ওই সময় রাজধানী বারলিনে নানা গোলযোগ চলতে থাকায় নিকটবর্তী ভাইমার শহরে এই প্রজাতান্ত্রিক সরকারের কর্ম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জন্য এই প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত।[১]