ভালবাসা ভালবাসা (১৯৮৫-এর চলচ্চিত্র)
ভালোবাসা ভালোবাসা বাংলা: ভালবাসা ভালবাসা তরুণ মজুমদার পরিচালিত ১৯৮৫ সালের একটি বাংলা রোমান্টিক চলচ্চিত্র।[১] ছবিতে অভিনয় করেছেন তাপস পাল ও দেবশ্রী রায়।[২][৩] ১৯৮৫ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ।
ভালবাসা ভালবাসা | |
---|---|
পরিচালক | তরুণ মজুমদার |
প্রযোজক | মনিশা সরকার |
রচয়িতা | তরুণ মজুমদার |
শ্রেষ্ঠাংশে | তাপস পাল দেবশ্রী রায় |
সুরকার | হেমন্ত মুখোপাধ্যায় |
চিত্রগ্রাহক | শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায় |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
পটভূমি
সম্পাদনাকেয়া কলকাতার একটি কলেজের ছাত্রী এবং পাশাপাশি গান শেখার জন্য শ্রেণীতেও যায়। সে একটি মেয়েদের ছাত্রাবাসে থাকে, আর তার বাবা-মা এবং ভাইপো শিমুলতলা (বিহার) অঞ্চলে বাস করেন। অরূপ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যিনি মুরগির ব্যবসার সাথে যুক্ত এবং গরীব মানুষদের বিনামূল্যে ওষুধ এবং শিক্ষা দিয়ে সাহায্য করেন। তার মা একজন প্রসিদ্ধ গায়িকা ছিলেন, যিনি সম্প্রতি ক্যান্সারে মারা গেছেন। অরূপের বাবা তার মাকে গর্ভবতী অবস্থায় ফেলে রেখে একজন ধনী মহিলার সাথে চলে গিয়েছিলেন।
একদিন অরূপ মুরগির সরবরাহ দিতে কেয়ার ছাত্রাবাসে এলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে কেয়া জানতে পারে যে অরূপ তার মায়ের মতোই প্রতিভাবান গায়ক। ধীরে ধীরে কেয়া অরূপের প্রেমে পড়ে এবং তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। কেয়া অরূপের কাজে সাহায্য করতে থাকে। একদিন কেয়া গ্রামোফোন কোম্পানির পক্ষ থেকে অরূপকে রবীন্দ্রসঙ্গীত রেকর্ড করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু অজানা কারণে অরূপ তা মানতে অস্বীকার করে এবং উল্টো কেয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে অরূপ তার ভুল বুঝতে পারে এবং গান গাওয়া শুরু করে। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়। দুর্গাপূজার ছুটিতে কেয়া যখন শিমুলতলায় যায়, তখন পরিকল্পনামতো অরূপ তার পেছন পেছন সেখানে যায়। সেখানে তারা জানতে পারে যে কেয়ার বাবা কেয়ার বিয়ে ইতিমধ্যেই একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে ঠিক করে ফেলেছেন, যিনি আবার একজন ধনী ব্যারিস্টারের ছেলে।
অরূপ তার ভালো স্বভাবের মাধ্যমে কেয়ার বাবা-মা এবং ভাইয়ের মন জয় করার চেষ্টা করে। কিন্তু একসময় অরূপ বুঝতে পারে যে ব্যারিস্টার আর তার ছেলে আর কেউ নয়, তার নিজের বাবা এবং সৎভাই। কেয়ার মায়ের অনুরোধে অরূপ সিদ্ধান্ত নেয় যে সে কাউকে কিছু না জানিয়ে শিমুলতলা ছেড়ে চলে যাবে। তবে যাওয়ার আগে, বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে সে তার জীবনের শেষ গানটি গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গানের মাধ্যমে অরূপ তার মায়ের দুঃখের কাহিনি, তার সংগ্রাম এবং কেমন করে তার বাবা তাকে তার অসুস্থ মায়ের সাথে দেখা করানোর জন্য করা অনুরোধ উপেক্ষা করেছিল, তা প্রকাশ করে। গান শুনে অরূপের বাবা তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বুঝতে পারেন এবং তার ছেলের কাছে ক্ষমা চান। শেষে কেয়ার বাবা-মা অরূপ এবং কেয়ার বিয়েতে সম্মতি দেন। সিনেমা শেষ হয় এক সুখী পরিণতির মাধ্যমে।
অভিনয়শিল্পী
সম্পাদনা- তাপস পাল - অরূপ
- দেবশ্রী রায় - কেয়া
- রুমা গুহঠাকুরতা - কেয়ার মা
- উৎপল দত্ত - কেয়ার বাবা
- অনুপ কুমার - কেয়ার চাচাতো ভাই
- সন্তু মুখোপাধ্যায় - দেবু দা (কেয়ার সঙ্গীত শিক্ষক)
- সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় - শুভনা বউদি (দেবুর স্ত্রী)
- মাধবী মুখোপাধ্যায় - প্রতিমা (অরূপের মা)
- সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় - অবনি (অরূপের বাবা)
- কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় - অনিমেষ (অবনির দ্বিতীয় পুত্র; কেয়া’র বাগদত্তা)
সঙ্গীত
সম্পাদনাসুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
- প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী :অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, হৈমন্তী শুক্লা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্তু মুখোপাধ্যায়, শিবাজী চট্টোপাধ্যায়
পুরুষ্কার
সম্পাদনা- বিএফজেএ পুরুষ্কার (১৯৮৬)
- সেরা সম্পাদক - রমেশ জোশি
- সেরা গীতিকার- পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়
- সেরা সঙ্গীত পরিচালক- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
- সেরা প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী (নারী)- অরুন্ধতী হোম চৌধুরী
- সেরা প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী (পুরুষ)- শিবাজী চট্টোপাধ্যায়
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bhalobasha Bhalobasha (1985) - Review, Star Cast, News, Photos"। Cinestaan। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৩।
- ↑ "Bhalobasa Bhalobasa - Movie | Moviefone"। Moviefone (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-২৮।
- ↑ "Bhalobasa Bhalobasa. Bhalobasa Bhalobasa Movie Cast & Crew."। bharat-movies.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-২৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ভালবাসা ভালবাসা (ইংরেজি)