ভারতে জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-১৯৭৭)

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অধীনে ভারতে জরুরি অবস্থা

২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত ২১ মাসব্যাপী ভারতের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ। এই জরুরি অবস্থার পরামর্শদাতা ছিলেন ভারতের তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীভারতীয় সংবিধানে ৩৫২ নং ধারা অনুযায়ী এই জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়েছিল। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে এই ঘটনা ছিল সর্বাপেক্ষা বিতর্কিত।

তৎকালীন প্ৰধানমন্ত্ৰী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১শে মাৰ্চ পর্যন্ত দেশজুরে জরুরি অবস্থা বলবৎ করেন

ভারতের সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী "অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা"র কারণে রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা এই জরুরি অবস্থা ২৫ জুন ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ ১৯৭৭ পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এই আদেশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়, যার ফলে নির্বাচন বাতিল করা এবং নাগরিক অধিকার স্থগিত করা সম্ভব হয়। জরুরি অবস্থার অধিকাংশ সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিরোধীকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গান্ধী শাসনামলে ১,০০,০০০-এর বেশি রাজনৈতিক বিরোধী, সাংবাদিক এবং ভিন্নমতাবলম্বীকে আটক করা হয়। এই সময়ে, তার পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর নেতৃত্বে একটি ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান চালানো হয়।

জরুরি অবস্থা জারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি ইন্দিরা গান্ধী প্রস্তাব করেছিলেন, যা ভারতের রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেন এবং জুলাই থেকে আগস্ট ১৯৭৫-এর মধ্যে মন্ত্রিসভা ও সংসদের দ্বারা অনুমোদিত হয়। এর পেছনে যুক্তি ছিল যে, ভারতীয় রাষ্ট্রের উপর অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় ধরনের আসন্ন হুমকি ছিল।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Interview with Indira Gandhi"Interview relecast through India times। TV Eye। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬। ১১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৮ 
  2. "Recalling the Emergency years"The Indian Express। ২৯ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৮