ভারতের শক্তি নীতিতে মোটামুটি দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ ঘাটতি,[] এবং অচিরাচরিত বিদ্যুৎশক্তির (বিশেষত পারমাণবিক, সৌরবায়ু বিদ্যুৎ) ব্যবহার বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।[]

ভারতের বায়ুবিদ্যুৎ শিল্প বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। উৎপাদন ক্ষমতা ১১৮০০ মেগাওয়াট।[] এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর কায়াথারের উইন্ড ফার্ম।
সঞ্চিত কয়লার পরিমাণের হিসেবে বিশ্বে ভারতের স্থান তৃতীয়।[] ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের একটি কয়লাখনি।

ভারতের ৭০% বিদ্যুৎ ফসিল জ্বালানি ও ৪০% বিদ্যুৎ কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়। খনিজ তেলপ্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎশক্তির শতকরা হার যথাক্রমে ২৪% ও ৬%।[] বিদ্যুৎ চাহিদার জোগান দিতে ভারতকে ফসিল জ্বালানির আমদানির উপর গভীরভাবে নির্ভর করতে হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের বিদ্যুৎ আমদানির উপর নির্ভরশীলতা দেশের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ৫৩% ছাড়িয়ে যাবে।[] ২০০৯-১০ সালে দেশের মোট খনিজ তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ১৫৯.২৬ মিলিয়ন টন; যা দেশের ৮০% আভ্যন্তরিণ খনিজ তেল চাহিদার জোগান দিয়েছিল। এই আমদানি ছিল দেশের মোট তেল আমদানির ৩১%।[][] ভারতের বিদ্যুৎ শিল্পের মূল সমস্যা কয়লার অপ্রতুলতা।[] এর ফলে ২০১০ সালে ভারতের কয়লার আমদানি ১৮% বাড়াতে হয়েছে।[]

দ্রুত আর্থিক উন্নয়নের ফলে ভারত এখন বিশ্বের দ্রুত বাড়তে থাকা বিদ্যুৎ বাজারগুলির একটি। মনে করা হচ্ছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ১৮% বৃদ্ধি পেলে বিশ্ব বিদ্যুৎ চাহিদার নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করবে।[] একদিকে যেমন দেশে বিদ্যুতের চাহিদা উর্ধ্বমুখী, অন্যদিকে তেমনি ভারতের সঞ্চিত ফসিল জ্বালানির পরিমাণ কম। তাই দেশে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্পের প্রসার ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের বায়ুবিদ্যুতের বাজার বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম।[] ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ গিগাওয়াট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।[] তাছাড়া আগামী ২৫ বছরে দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪.২% থেকে বাড়িয়ে ৯% করার চেষ্টা করা হচ্ছে।[] দেশে পাঁচটি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে (বিশ্বে তৃতীয়)। ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ১৮টি পারমাণবিক চুল্লি (বিশ্বে দ্বিতীয়) গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আছে।[১০]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "State-wise Installations Statistics"। Wind Power India। ২০১০-০৩-৩১। ২০১০-০৪-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-২৭ 
  2. Deepak Fertilizers signs JV with Norway major
  3. India’s Widening Energy Deficit
  4. India Raises Renewable Energy Target Fourfold
  5. India Energy Profile - EIA
  6. India Electricity Output Misses Target
  7. Indian Power Plants Boost Coal Imports 18%, Market Watch Says
  8. Wind energy in India: Chinese company sold 125 wind turbines of 2 MW
  9. "Slowdown not to affect India's nuclear plans"। Business-standard.com। ২০০৯-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২২ 
  10. Going nuclear, The Economist

টেমপ্লেট:ভারতে পরমাণু শক্তি টেমপ্লেট:ভারত বিষয়ক