ভারতীয় শিল্প
এই নিবন্ধ অথবা অনুচ্ছেদটি ভারতীয় শিল্পকলা নিবন্ধের সাথে একত্রিত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। (আলোচনা করুন) |
ভারতীয় শিল্প প্রাচীনকাল থেকেই স্বতন্ত্রভাবে বিকশিত হয়েছে। সনাতন হিন্দু সভ্যতা থেকেই এর যাত্রা শুরু। মাঝে অনেক নতুন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সাথে মিলিত হবার সুযোগ পায় যার মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ, জৈন এবং ইসলাম। ইসলাম ছাড়া সবগুলো সংস্কৃতিই অবশ্য এখানকার স্বদেশী। মধ্যযুগের শেষ পর্যায়ে ব্রিটিশ সম্রাজ্য| ব্রিটিশ সম্রাজ্যের সাথে দুশ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন শেষে ভারতীয় শিল্পের ধারা এক অনন্য রূপ পেয়েছে ।
ভারতীয় শিল্প বিভিন্ন ধরনের শিল্প সমন্বয়ে গঠিত। এর মধ্য রয়েছে প্লাস্টিক আর্ট(যেমন মৃৎশিল্প এবং ভাস্কর্য), ভিজ্যুয়াল আর্ট(যেমন চিত্রশিল্প), টেক্সটাইল আর্ট (যেমন বুননকৃত সিল্ক)। ভৌগলিকভাবে এটি সম্পূর্ণ ভারতীয় উপমহাদেশে বিস্তৃত। এর মধ্য রয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ।
ভারতীয় শিল্পকলার কালক্রমিক ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রাচীন ভারতীয় শিল্প
সম্পাদনাপাথুরে শিল্প
সম্পাদনাভারতের পাথুরে শিল্পের মধ্যে রয়েছে পাথর কেটে তৈরিকৃত বস্তু, পাথরে খোদাইকৃত কাজ এবং পাথরের উপর অঙ্কিত চিত্র। ধারণা করা হয় যে, ভারত প্রায় ১৩০০ পাথুরে শিল্পের নিদর্শন পাওয়া গেছে এমন স্থান রয়েছে, যেখানে এক মিলিয়ন এর এক চতুর্থাংশেরও বেশি খোদাইকৃত নকশা, চিত্র অথবা মূর্তি রয়েছে।[১][২][৩]
ইন্ডাস ভ্যালী সভ্যতা
সম্পাদনাএকটি বিশাল এবং জনবহুল সভ্যতা হওয়া সত্ত্বেও, ইন্ডাস ভ্যালীর ক্ষেত্রে প্রথম দিককার অন্যান্য সভ্যতার মত শিল্পকলার প্রাচুর্য বা উৎকর্ষ পরিলক্ষিত হয় না। তবে এ সভ্যতার প্রাপ্ত নিদর্শন হতে অনেক জীবজন্তুর ছবি পাওয়া যায়।[৪]
মৌর্য শিল্প
সম্পাদনাভারতীয় মৌর্য সাম্রাজ্য ৩২২ খ্রিস্টপূর্ব হতে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বে উত্তর ভারতীয় অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে। এ সভ্যতার উল্লেখযোগ্য শিল্প নিদর্শন হল পাথরে গড়া স্মৃতিস্তম্ভ এবং কাঠে খোদাইকৃত শিল্প।
মৌর্য্য সাম্রাজ্য তৎকালীন যুগের অন্ততম বৃহত্তম সাম্রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হত, শুধু তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় সাম্রাজ্য কখনো তৈরী হয়নি। ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য নন্দ রাজবংশ উচ্ছেদ করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং তারপর মহান আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর পশ্চাৎ অপসারণের সুযোগে নিজ সামরিক শক্তিবলে মধ্য ও পশ্চিম ভারতের আঞ্চলিক রাজ্যগুলিকে জয় করে বিরাট সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ৩১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যেই গ্রীক সত্রপগুলিকে পরাজিত করে মৌর্য্য সাম্রাজ্য সম্পূর্ণ উত্তর-পশ্চিম ভারত জুড়ে বিস্তৃত হয়। বর্তমান যুগের মানচিত্রের নিরিখে এই সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয়, পূর্বে অাসাম, পশ্চিমে বালুচিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য ও বিন্দুসার এই সাম্রাজ্যকে দক্ষিণ ভারতে বিস্তৃত করেন এবং অশোক কলিঙ্গ রাজ্য জয় করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেন। অশোকের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে মগধে শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান ঘটে।
বৌদ্ধ শিল্প
সম্পাদনাএ সময়টিতে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটে। বৌদ্ধ আমলে তৈরিকৃত বেশিরভাগ শিল্পই হচ্ছে বিভিন্ন আকৃতির বুদ্ধমূর্তি। তবে এ সময়কার শিল্পকলাতে কাঠের ব্যবহার অত্যন্ত লক্ষণীয়।
গুপ্তা শিল্প
সম্পাদনাগুপ্তা সাম্রাজের সময়কালকে ভারতীয় শিল্প ও কলার উৎকর্ষর জন্য এক অন্যতম সময় বলে ধরা হয়। এ সময়ে প্রচুর চিত্রকর্ম ও মূর্তি তৈরি করা হয়।
মধ্যযুগীয় ভারতীয় শিল্প
সম্পাদনাভারতের মধ্যযুগীয় ইতিহাসে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম যেমন বিভিন্ন চিত্রকর্ম, পাথর বা ধাতুর তৈরি মূর্তি বা ভাস্কর্য, প্রাচীর চিত্র ইত্যাদি। এ সময়কার বিখ্যাত স্থাপনার মধ্যে রয়েছে খাজুরাহো মন্দির।[৪][৫]
প্রাক আধুনিক ভারতীয় শিল্প
সম্পাদনাপ্রাক আধুনিক ভারতীয় শিল্প রাজপুত, সুলতান, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, গজপতি, মোগল সাম্রাজ্য, মাইসোর, মারাঠা, শিখ এবং ঔপনিবেশিক শাসন আমলের সময়কালের শিল্পকর্মকে নির্দেশ করে। এ সময়কার ভারতীয় শিল্পকর্মগুলোতে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী ও ধর্মের ব্যাপক সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
আধুনিক ভারতীয় শিল্প
সম্পাদনাআধুনিক ভারতীয় শিল্পে চিত্রশিল্প এবং ভাস্কর্যের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। এ সকল শিল্পকর্মগুলোতে ভারতের আবহমান বা চিরায়ত লোক ঐতিহ্যের পাশাপাশি আধুনিক ধারার মননশৈলী পরিলক্ষিত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Harsha V. Dehejia, The Advaita of Art (Delhi: Motilal Banarsidass, 2000, আইএসবিএন ৮১-২০৮-১৩৮৯-৮), p. 97
- Kapila Vatsyayan, Classical Indian Dance in Literature and the Arts (New Delhi: Sangeet Natak Akademi, 1977), p. 8
- Mitter, Partha. Indian Art (Oxford: Oxford University Press, 2001, আইএসবিএন ০-১৯-২৮৪২২১-৮)
- ↑ Jagadish Gupta (১৯৯৬)। Pre-historic Indian Painting। North Central Zone Cultural Centre। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Shiv Kumar Tiwari (১ জানুয়ারি ২০০০)। Riddles of Indian Rockshelter Paintings। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 8–। আইএসবিএন 978-81-7625-086-3। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Rock Shelters of Bhimbetka"। UNESCO World Heritage Convention। UNESCO। ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Pathak, Dr. Meenakshi Dubey। "Indian Rock Art - Prehistoric Paintings of the Pachmarhi Hills"। Bradshaw Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Michaels, Axel (২০০৪)। Hinduism: Past and Present। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 0-691-08953-1। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |