ব্লু ভেলভেট (চলচ্চিত্র)
ব্লু ভেলভেট (ইংরেজি ভাষায়: Blue Velvet) ডেভিড লিঞ্চ পরিচালিত রহস্য চলচ্চিত্র যা ১৯৮৬ সালে মুক্তি পায়। এতে নয়ার চলচ্চিত্র এবং পরাবাস্তববাদ এর কিছু উপাদান প্রদর্শিত হয়েছে। সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ১৯৬৩ সালের একটি গানের নামানুসারে। ববি ভিন্টন এর সে গানটিরও নাম ছিল ব্লু ভেলভেট। উল্লেখ্য এই সিনেমার বেশ কয়েকটি মূহুর্তে এই গান গাইতে দেখা যায়। সিনেমাটি সমালোচকদের কাছে বিপুল প্রশসা অর্জন করে। কিন্তু প্রথমদিকে অনেকেই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছিলেন যার কারণে বক্স অফিসে খুব বেশি হিট করতে পারেনি। এই সিনেমা করেই ডেভিড লিঞ্চ দ্বিতীয় বারের মত সেরা পরিচালক হিসেবে অস্কার মনোনয়ন লাভ করেন। এর আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এই সিনেমার মাধ্যমেই ডেনিস হপার এর ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত হয়।
ব্লু ভেলভেট | |
---|---|
Blue Velvet | |
পরিচালক | ডেভিড লিঞ্চ |
প্রযোজক | ফ্রেড কারুসো |
রচয়িতা | ডেভিড লিঞ্চ |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | অ্যাঞ্জেলো বাদালামেন্তি |
চিত্রগ্রাহক | ফ্রেডেরিক এলমস |
সম্পাদক | ডুওয়াইন ডানহাম |
প্রযোজনা কোম্পানি | ডি লরেন্টিস এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৬ মিলিয়ন |
আয় | $৮.৬ মিলিয়ন (উত্তর আমেরিকা) |
এটা করার আগে লিঞ্চ ১৯৮৪ সালে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক সিনেমা ডিউন নির্মাণ করেন। ডিউন ছিল সমালোচক ও দর্শক সবার কাছেই ফ্লপ। তাই এর পর লিঞ্চ তার পূর্ভের স্টাইলে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তার প্রথম সিনেমা ইরেজারহেড এ যে ব্যক্তিগত গল্প ও পরাবাস্তববাদের বিষয় ছিল তা আবার ফিরিয়ে আনেন। তারপরও এই সিনেমা তৈরি করতে গিয়ে তাকে কাঠখড় পোড়াতে হয়। কারণ প্রথম দিকে অনেক স্টুডিওই এর নৃশংস যৌন দৃশ্য ও আপত্তিকর ভাষার ব্যবহারকে মেনে নিতে পারেনি। মুক্তির পর ডেভিড লিঞ্চ আবার মূলধারায় ফিরে আসতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে নব্য নয়ার জনরে যুগান্তকারী উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। ব্লু ভেলভেট কাল্ট ক্লাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
কাহিনীসূত্র
সম্পাদনাকলেজের ছাত্র জেফ্রি বুমন্ট তার বাড়ির পেছনের মাঠে মানুষের কান খুঁজে পায়। প্রথমে পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে গেলেও পরবর্তীকালে সে নিজে অনুসন্ধান চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অনুসন্ধানের কাজে তাকে সহায়তা করে শহরের গোয়েন্দা লেফটেন্যান্ট জন উইলিয়াম্সের মেয়ে হাই স্কুল পড়ুয়া স্যান্ডি উইলিয়াম্স। স্যান্ডি তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি তথ্য বুমন্টকে জানায়। অনুসন্ধান করতে গিয়ে বুমন্ট একটি আন্ডারওয়ার্ল্ড অপরাধ চক্রের অনেক কিছু জেনে যায়। এই অপরাধ জগতের বস ফ্র্যাংক বুথ খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত; একই সাথে সে চিত্তবিকারগ্রস্ত। জড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে বুমন্টও কিছুটা ইক্ষণকাম এর আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বুথের হাতে ধর্ষিত ডরোথি ভ্যালেন্স-কে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে বুমন্টের জীবনও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠে।
চরিত্রসমূহ
সম্পাদনা- কাইল ম্যাকলাকল্যাণ - জেফ্রি বুমন্ট
- ইসাবেলা রোসেলিনি - ডরোথি ভ্যালেন্স
- ডেনিস হপার - ফ্রাংক বুথ
- লরা ডার্ন - স্যান্ডি উইলিয়াম্স
- হোপ ল্যাং - মিসেস উইলিয়ামস
- ডিন স্টকওয়েল - বেন
- জর্জ ডিকারসন - গোয়েন্দা জন উইলিয়ামস
- প্রিসিলা পয়েন্টার - মিসেস বিউমন্ট
- ফ্রান্সেস বে - আন্ট বারবারা
- জ্যাক হার্ভি - টম বিউমন্ট
- কেন স্টভিৎজ - মাইক
- ব্র্যাড ডরিফ - রেমন্ড
- জ্যাক ন্যান্স - পল
- জে. মাইকেল হান্টার - হান্টার
- ডিক গ্রিন - ডন ভ্যালেন্স
- ফ্রেড পিকলার - ইয়েলো ম্যান