ব্রাজিলের ভূগোল
ব্রাজিল দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় অর্ধেক দখল করে আছে এবং এটি আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত। ব্রাজিলের মোট আয়তন ৮৫,১৪,২১৫ কিমি২ (৩২,৮৭,৩৫৭ মা২), যার মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ ৮৪,৫৬,৫১০ কিমি২ (৩২,৬৫,০৮০ মা২) এবং জলভাগের পরিমাণ ৫৫,৪৫৫ কিমি২ (২১,৪১১ মা২)। ২,৯৯৪ মি (৯,৮২৩ ফু) দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পিকো ডা নেবলিনা ব্রাজিলের সর্বোচ্চ বিন্দু। ব্রাজিলের সীমানা রয়েছে আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, গায়ানা, প্যারাগুয়ে, পেরু, সুরিনাম, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা এবং ফ্রান্স (ফ্রান্সের দূরবর্তী অধিকৃত অঞ্চল ফ্রেঞ্চ গায়ানা) -এর সাথে।
মহাদেশ | দক্ষিণ আমেরিকা |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১০° দক্ষিণ ৫৫° পশ্চিম / ১০° দক্ষিণ ৫৫° পশ্চিম |
আয়তন | ৫ম |
• মোট | ৮৫,১৪,৮৭৭ কিমি২ (৩২,৮৭,৬১২ মা২) |
• স্থলভাগ | ৯৯.৩৪% |
• জলভাগ | ০.৬৬% |
উপকূলরেখা | ৭,৪৯১ কিমি (৪,৬৫৫ মা) |
বেশিরভাগ স্থানের জলবায়ু ক্রান্তীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় হলেও দক্ষিণে তুলনামূলকভাবে নাতিশীতোষ্ণ। বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী আমাজন ব্রাজিলের বৃহত্তম নদী।
জল ব্যবস্থা
সম্পাদনাব্রাজিল সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী ব্রাজিলে মোট ১২টি প্রধান জল ব্যবস্থা অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি নদীর অববাহিকা এলাকা তাদের প্রধান নদীর নাম অনুসারে এবং অপর ৫টি হল বিভিন্ন নদনদীর অববাহিকার সম্মিলনে গঠিত যেখানে এককভাবে কোনো নদীর প্রভাব নেই।
- মূল নদীর নামে নামকরণকৃত ৭টি জল ব্যবস্থা অঞ্চল হলো:
- ৫টি উপকূলীয় জল ব্যবস্থা অঞ্চল যেগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঞ্চলিক নদী অববাহিকার সমন্বয়ে গঠিত (উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে):
- আটলান্টিকো নর্ডেস্টি ওসিডেন্টাল (পশ্চিমের উত্তর-পূর্ব আটলান্টিক)
- আটলান্টিকো নর্ডেস্টি ওরিয়েন্টাল (পূর্বের উত্তর-পূর্ব আটলান্টিক)
- আটলান্টিকো লেস্টি (পূর্ব আটলান্টিক)
- আটলান্টিকো সুডেস্টি (দক্ষিণ-পূর্ব আটলান্টিক)
- আটলান্টিকো সুল (দক্ষিণ আটলান্টিক)